০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার ভয়ে সীমান্তে দেওয়াল ফিনল্যান্ডের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ জুন ২০২২, শুক্রবার
  • / 145

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: রাশিয়ার ভয়ে সীমান্ত আইন পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে ফিনল্যান্ডের সরকার। এটি মূলত ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন পরবর্তী হুমকি মোকাবিলার প্রস্তুতি জোরালো করার একটি পদক্ষেপ। সম্প্রতি রুশ হুমকি উপেক্ষা করে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড। রাশিয়ার সঙ্গে তাদের যুদ্ধের ইতিহাসও আছে। অনেকেই আশঙ্কা করে বলছেন, ভবিষ্যতে ফিনল্যান্ডে আক্রমণ চালাতে পারে রুশ সেনা। আর তাই আগে থেকে সীমানা ঘিরতে শুরু করেছে হেলসিঙ্কি। বর্তমানে দুই দেশের জঙ্গলঘেরা সীমান্ত কেবল চিহ্ন ও প্লাস্টিক লাইনে ঘেরা রয়েছে। দুই দেশের মোট সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১৩০০ কিলোমিটার হলেও বেশিরভাগ স্থানেই তা কেবল চিহ্ন দিয়ে রাখা আছে। মনে করা হচ্ছে, ফিনল্যান্ডের ওপর চাপ বাড়াতে সীমান্তে আশ্রয় প্রার্থীদের পাঠাতে পারে মস্কো। মস্কোর এই চাপ প্রয়োগের নীতির পালটায় সীমান্তে দেওয়াল, নতুন সড়ক ও টহল বাড়াতে সীমান্ত স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ফিনিশ সরকারের। ফিনল্যান্ড সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আশ্রয় প্রার্থীরা কেবল নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে প্রবেশের আবেদন করতে পারবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান আইন অনুযায়ী, যেকোনও ইইউ সদস্য দেশের দেওয়া প্রবেশপথ দিয়ে প্রবেশ করে অভিবাসীরা আশ্রয় চাইতে পারে।

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাশিয়ার ভয়ে সীমান্তে দেওয়াল ফিনল্যান্ডের

আপডেট : ১০ জুন ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: রাশিয়ার ভয়ে সীমান্ত আইন পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে ফিনল্যান্ডের সরকার। এটি মূলত ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন পরবর্তী হুমকি মোকাবিলার প্রস্তুতি জোরালো করার একটি পদক্ষেপ। সম্প্রতি রুশ হুমকি উপেক্ষা করে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড। রাশিয়ার সঙ্গে তাদের যুদ্ধের ইতিহাসও আছে। অনেকেই আশঙ্কা করে বলছেন, ভবিষ্যতে ফিনল্যান্ডে আক্রমণ চালাতে পারে রুশ সেনা। আর তাই আগে থেকে সীমানা ঘিরতে শুরু করেছে হেলসিঙ্কি। বর্তমানে দুই দেশের জঙ্গলঘেরা সীমান্ত কেবল চিহ্ন ও প্লাস্টিক লাইনে ঘেরা রয়েছে। দুই দেশের মোট সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১৩০০ কিলোমিটার হলেও বেশিরভাগ স্থানেই তা কেবল চিহ্ন দিয়ে রাখা আছে। মনে করা হচ্ছে, ফিনল্যান্ডের ওপর চাপ বাড়াতে সীমান্তে আশ্রয় প্রার্থীদের পাঠাতে পারে মস্কো। মস্কোর এই চাপ প্রয়োগের নীতির পালটায় সীমান্তে দেওয়াল, নতুন সড়ক ও টহল বাড়াতে সীমান্ত স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ফিনিশ সরকারের। ফিনল্যান্ড সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আশ্রয় প্রার্থীরা কেবল নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে প্রবেশের আবেদন করতে পারবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান আইন অনুযায়ী, যেকোনও ইইউ সদস্য দেশের দেওয়া প্রবেশপথ দিয়ে প্রবেশ করে অভিবাসীরা আশ্রয় চাইতে পারে।

আরও পড়ুন: Earthquake: রাশিয়ায় ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প