০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিহারের বাজির কারখানায় আগুন, মৃত ৬, আহত আরও ১০

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, রবিবার
  • / 64

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিহারের আতশবাজির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের, এবং গুরুতর আহত ৮ আরও ৮ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় সমগ্র বাড়িটি। রবিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সারান জেলার খয়রা থানার খুদাইবাগ গ্রামে। ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য,ব্যবসায়ীর বাড়িতেই তাঁর কারখানাটি ছিল।ওই ব্যবসায়ীর নাম শাবির হুসেন। সারান জেলার ওই কারখানায় আরও বেশ কয়েক জনের আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: ‘পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’, বিহারে লাঠিচার্জ নিয়ে এনডিএ সরকারকে আক্রমণ রাহুল গান্ধির

তবে কি কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।তবে মনে করা হচ্ছে একটি বাজিতে ভুলবশত আগুন লেগে যাওয়ার পর, গোটা বাড়িতেই ধারাবাহিক ভাবে একটি থেকে আরেকটিতে অগ্নিসংযোগ ঘটতে থাকে।

আরও পড়ুন: বিহারে ৩ লাখ ভোটারকে ‘সন্দেহজনক নাগরিক’ ঘোষণা

প্রতিবেশীদের দাবি, প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে বিস্ফোরণ চলতে থাকে ওই বাড়িটিতে।

আরও পড়ুন: Fire: আনন্দপুরের গুলশান কলোনীতে আগুন

সারনের পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। এমনকি ফরেন্সিক টিম ও বম্ব স্কোয়াডকেও ডাকা হয়। ইতিমধ্যেই আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই গ্রামটি ছাপড়া জেলার হেড কোয়ার্টার থেকে প্রায় 30 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এবং সাবিরের বাড়িটি নদীর পাড়ে অবস্থিত। বিস্ফোরণে প্রায় গোটা ভবনটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

 

এই ঘটনা থেকে অন্য একটি প্রশ্ন উঠে আসছে। কী করে পুলিশ ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে সাবির নিজের বাড়িতে বাজির কারখানা গড়ে তোলেন। তাহলে কী পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশের মদতেই চলছিল বাজি তৈরির ব্যবসা।

এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকার। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি প্রধান বিরোধী দল আরজেডি-সহ আরও অন্যান্যরা।

প্রসঙ্গতও, চলতি বছরের মার্চ মাসে বিহারের ভাগলপুরে একই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিল অন্তত ১৪ জন। সেবারও বাড়িতে বেআইনি বাজির কারখানা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ৪ মাসের মধ্যে ভাগলপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল সরণ জেলায়, তা নিয়ে বেশ আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্থানীয় প্রশাসন সহ এলাকাবাসী।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিহারের বাজির কারখানায় আগুন, মৃত ৬, আহত আরও ১০

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিহারের আতশবাজির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের, এবং গুরুতর আহত ৮ আরও ৮ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় সমগ্র বাড়িটি। রবিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সারান জেলার খয়রা থানার খুদাইবাগ গ্রামে। ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য,ব্যবসায়ীর বাড়িতেই তাঁর কারখানাটি ছিল।ওই ব্যবসায়ীর নাম শাবির হুসেন। সারান জেলার ওই কারখানায় আরও বেশ কয়েক জনের আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: ‘পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’, বিহারে লাঠিচার্জ নিয়ে এনডিএ সরকারকে আক্রমণ রাহুল গান্ধির

তবে কি কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।তবে মনে করা হচ্ছে একটি বাজিতে ভুলবশত আগুন লেগে যাওয়ার পর, গোটা বাড়িতেই ধারাবাহিক ভাবে একটি থেকে আরেকটিতে অগ্নিসংযোগ ঘটতে থাকে।

আরও পড়ুন: বিহারে ৩ লাখ ভোটারকে ‘সন্দেহজনক নাগরিক’ ঘোষণা

প্রতিবেশীদের দাবি, প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে বিস্ফোরণ চলতে থাকে ওই বাড়িটিতে।

আরও পড়ুন: Fire: আনন্দপুরের গুলশান কলোনীতে আগুন

সারনের পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। এমনকি ফরেন্সিক টিম ও বম্ব স্কোয়াডকেও ডাকা হয়। ইতিমধ্যেই আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই গ্রামটি ছাপড়া জেলার হেড কোয়ার্টার থেকে প্রায় 30 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এবং সাবিরের বাড়িটি নদীর পাড়ে অবস্থিত। বিস্ফোরণে প্রায় গোটা ভবনটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

 

এই ঘটনা থেকে অন্য একটি প্রশ্ন উঠে আসছে। কী করে পুলিশ ও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে সাবির নিজের বাড়িতে বাজির কারখানা গড়ে তোলেন। তাহলে কী পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশের মদতেই চলছিল বাজি তৈরির ব্যবসা।

এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকার। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি প্রধান বিরোধী দল আরজেডি-সহ আরও অন্যান্যরা।

প্রসঙ্গতও, চলতি বছরের মার্চ মাসে বিহারের ভাগলপুরে একই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিল অন্তত ১৪ জন। সেবারও বাড়িতে বেআইনি বাজির কারখানা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ৪ মাসের মধ্যে ভাগলপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল সরণ জেলায়, তা নিয়ে বেশ আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্থানীয় প্রশাসন সহ এলাকাবাসী।