বড়সড় সাফল্য বনদফতরের, গ্রেফতার কুখ্যাত চোরা শিকারি লেকেন বাসুমাতারি, ১২৫ টি গণ্ডার হত্যার অভিযোগ
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কমপক্ষে ১২৫ টি গণ্ডার হত্যার অভিযোগ। যৌথ অভিযানে গ্রেফতার কুখ্যাত চোরা শিকারি লেকেন বাসুমাতারি। অভিযুক্তকে দেখা মাত্রই গুলি করার নির্দেশ ছিল অসম সরকারের। পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে এই দুই রাজ্যে অন্তত ১২৫ টি গণ্ডার হত্যার কাণ্ডে লেকেন জড়িত বলে দাবি বন দফতর ও পুলিশ আধিকারিকের।
চলতি সপ্তাহে অসমের ডেরা থেকে গ্রেফতার হয়েছে গণ্ডা হত্যার মূল পাণ্ডা লেকেন। এরপর অসমের চিরাঙ জেলা আদালতে তাকে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে বুধবার আলিপুরদুয়ারের নিয়ে আসা হয়েছে।
বন দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে গরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে যত গণ্ডার হত্যা হয়েছে, সবগুলোর সঙ্গে জড়িত লেকেন।
এর আগেও একবার পুলিশের প্রায় নাগাল থেকে পালিয়ে যায় লেকেন বসুমাতারী। সেই সময় তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় তিনটি রাইফেল, কার্তুজ। তবে সেই সময় শৃঙ্গটি কেটে নিয়ে পালাতে সক্ষম হয় লেকেন। কিন্তু এবার পুলিশ ও বন দফতরের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে যায় সে। লেকেন বসুমাতারী গ্রেফতার হওয়ায় ওই অঞ্চলে গণ্ডারের শিকার ও চোরাচালান অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ।
২০১০ সাল থেকে সে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ২৫টি ও অসমের কাজিরাঙা ও মানস জাতীয় উদ্যানে অন্তত ১০০টি গন্ডার হত্যা করেছে লেকেন। সম্প্রতি সে পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলে ফের গন্ডার চোরাশিকারের পরিকল্পনা করেছিল। সেকথা জানতে পেরেই অভিযান চালায় পুলিশ ও বনদফতরের যৌথ বাহিনী।
সম্প্রতি গোপন সূত্রে বনদফতর খবর পায়, উত্তরের জঙ্গলে গন্ডার হত্যার পরিকল্পনা করছে লেকেন। এর পরেই দল গড়ে যৌথ অভিযানে নামে বন দফতর ও পুলিশ। আসাম ও বাংলা মিলে প্রায় একশো ২৫ টি গন্ডার-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যার ফলে অসমের বনদফতর লেকেন বসুমাতারিকে দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশ জারি করে রেখেছিল। আর এই কাজের ফলে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যার ফলে চোরা শিকারের পর সে প্রতিবারই জঙ্গি ডেরায় আত্মগোপন করত। কিন্তু এবার যৌথ বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায়। এই প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন ‘যৌথ অভিযানে ওই বড় সাফল্য মিলেছে।