পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জি-২০ বৈঠকে উঠে এল বিবিসির দফতরে আয়কর অভিযান প্রসঙ্গ। আর এই ইস্যুটিকে সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিবিসি ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ব্রিটেনের বিদেশ সচিবকে বললেন, ‘ভারতের হয়ে কাজ করা সংস্থাগুলিকে প্রাসঙ্গিক আইন মেনেই চলতে হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
প্রসঙ্গত, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ঘিরে খবরের শিরোনামে বিবিসি। গুজরাত দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে এই তথ্যচিত্র নির্মিত হয়। সেই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০০২ সালে রাজ্যের অস্থির পরিস্থিতির সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদির ভূমিকা কি ছিল তা তুলে ধরা হয় তথ্যচিত্রে। এর পরেই বিবিসির দিল্লি-মুম্বই অফিসে আয়কর দফতর তল্লাশি অভিযান শুরু করে। প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে সেই তল্লাশি। এই অভিযানে একজন ব্রিটিশ সঞ্চালক সহ বিবিসির প্রায় ১০ জন কর্মীকে আটকে থাকতে হয় অফিসের মধ্যেই।
Began the morning with a bilateral meeting with Foreign Secretary @JamesCleverly of the UK.
Reviewed the progress in our relationship since our last discussion. Noted in particular the commencement of the Young Professional Scheme. pic.twitter.com/R3aUvX1U4Z
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) March 1, 2023
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের বিদেশ সচিব জেমস ক্লেভারলি বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জয়শঙ্করের কাছে বিবিসি দফতরে আয়কর ইস্যু প্রসঙ্গ তার সামনে তুলে ধরেন। ঠিক তখনই মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সুচতুরভাবে সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ভারতে কর্মরত সমস্ত সংস্থাকে দেশের প্রাসঙ্গিক আইন ও প্রবিধান মেনে চলতে হবে। কিছুই নিয়ম কানুনের ঊর্ধ্বে নয়।
উল্লেখ্য, এই বছর জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে ভারত। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই জোটের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। সেখানে হাজির থাকবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে পৌঁছেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ভারতে এসেছেন ব্রিটেনের বিদেশসচিব জেমস ক্লেভারলি। বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। তখনই দিল্লি ও মুম্বইয়ের বিবিসি দফতরে আয়কর হানার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ক্লেভারলি।
জয়শঙ্কর একটি ট্যুইটে জানিয়েছেন, ‘বৈশ্বিক বিষয়গুলি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মত আদান-প্রদান হয়েছে। দুই দেশের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইয়ং প্রফেশনাল স্কিমে ব্রিটিশ নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার কাজ শুরু হওয়া নিয়েও পারস্পরিক মত বিনিময় হয়েছে’।
এক বিবৃতিতে বিদেশ সচিব ক্লেভারলি বলেছেন, ‘ভারত যুক্তরাষ্ট্রের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ইয়ং প্রফেশনাল স্কিম যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বৃদ্ধি করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য আমাদের শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করব। এই স্কিমটি আমাদের উভয় দেশকেই উজ্জ্বল ও সেরা নতুন সুযোগগুলির দরজা খুলে দিতে সক্ষম হবে। ভারত বিশ্বের দরবারে এক উদীয়মান নেতা হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির দিক দিয়ে এই স্কিম দুই দেশের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রচুর নয়া সুযোগ তৈরি করবে।