জলাভূমি লিজ দেওয়ার জন্য পোর্টাল চালু করছে রাজ্য সরকার

- আপডেট : ১৭ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
- / 30
পুবের কলম প্রতিবেদক: মাছ চাষের জন্য জলাভূমি এবার থেকে ই-অকশনের মাধ্যমে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই ব্যবস্থার জন্য একটি পৃথক পোর্টাল তৈরি হতে চলেছে। অনলাইন অকশন প্রক্রিয়ার জন্যই এই পোর্টালের প্রয়োজন। এতদিন মূলত অফলাইন প্রক্রিয়াতেই টেন্ডার ডাকা হত, পুকুর লিজ দেওয়ার জন্য।
পাঁচ একরের বেশি আয়তনের সরকারি বা খাস জলাভূমিকেও এখন থেকে মাছ চাষের জন্য লিজ দেবে মৎস্য দফতর। এজন্য সোমবার মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গ ভূমি ও ভূমি সংস্কার ম্যানুয়াল সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সংশোধনীর ফলে জেলাশাসকের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে ভূমি এবং মৎস্য দফতরের অধিকারিকই শুধু নয়, সেচ দফতরের আধিকারিকদেরও যুক্ত করতে হবে। কারণ সেচ দফতরের আওতাধীন খালগুলিও মৎস্যচাষের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এক প্রশাসনিক কর্তা জানাচ্ছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যে মাছের উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনই সরকারের রাজস্বও বাড়বে। এতদিন পর্যন্ত বড় জলাভূমি মাছ চাষের জন্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থা চালু না থাকায় স্বচ্ছতার অভাব ছিল। এখন জমি লিজ দেওয়ার নিয়মের ক্ষেত্রেও অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। লিজের আর্থিক সীমাও বাড়ানো হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত জেলা কমিটি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারত। তার বেশি টাকার লেনদেনের ক্ষেত্রে রাজ্যস্তরে অনুমোদন লাগত। এখন এই সীমা বাড়িয়ে বছরে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।
টেন্ডারে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও নিয়মে বদল আনা হয়েছে। আগে প্রথমবার টেন্ডারে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকত কেবল ফিশারম্যান গ্রুপ এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য। এবার শিল্পদ্যোগী এবং ব্যক্তিগত মালিকরাও এই টেন্ডারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে যাতে স্থানীয় মৎস্যচাষী কো-অপারেটিভ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্বার্থ বিঘ্নিত না হয়, সেই উদ্দেশ্যে তাদের জন্য বিশেষ ছাড়ের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কমিটি অফ মিনিস্টার্স গঠন করেছিলেন। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই সংশোধনী আনল রাজ্য। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা এর ফলে রাজ্য মাছ চাষে অরও উন্নতি করবে।