পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: গত কয়েক বছরে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা শিরোনাম দখল করেছে, যেখানে পোষ্য কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রতিবেশী, পথচারী বা খোদ পোষ্যের মালিকের। এধরণের ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারের লোকজন আদালতের দ্বারস্থও হয়। ২০২৩ সালে হিংস্র কুকুর নিয়ে সরকারকে আলোচনা করে, পদক্ষেপ নিতে বলেছিল আদালত। তারপর নড়েচড়ে বসে সরকার। নাগরিক সংগঠন, পশু প্রেমী সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে সরকার জানিয়েছে, হিংস্র জাতের কুকুর বিক্রি, প্রজনন ও আমাদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে, যাতে তাদের কামড়ে মানুষের ক্ষতি না হয়। এই মর্মে রাজ্যগুলিকেও এধরণের কুকুর সম্পর্কে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
এবার থেকে রটওয়েইলার, পিটবুলস, টেরিয়ারস, উল্ফ উগস, ম্যাস্টিফ জাতের কুকুর আর আমদানি করা যাবে না। এদের প্রজনন বা বিক্রি কোনওটাই করা যাবে না। এই ধরণের হিংস্র কুকুরের মিশ্র ও ক্রসব্রিড জাতের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম পালন করতে হবে। কিন্তু যদি এইধরণের কুকুর ইতিমধ্যেই কারোর বাড়িতে থেকে থাকে, তাহলে তাদের কি হবে? এর জবাবে বলা হয়েছে, ওই কুকুরগুলিকে জীবাণুমুক্ত করা হবে। যাতে তাদের কারণে কারোর মৃত্যু না হয়। কিন্তু নতুন করে যাতে এই ধরণের কুকুরের সংখ্যা না বাড়ে, তার দিকে নজর রাখা হবে।