০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাথর বের করতে গিয়ে কিডনিই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! ১১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলল আদালত

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 25


পুবের কলম ওয়েবডেস্ক :
অপারেশনের ফল যে এমন মারাত্মক হবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি রোগী। খেদা জেলার বাসিন্দা দেবেন্দ্রভাই রাভাল। হঠাৎই পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। সঙ্গে প্রস্রাবের সমস্যাও ছিল। অসুস্থ শরীরে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বালাসিনরো শহরের কেএমজি হাসপাতালে যান তিনি। সেখানকার চিকিৎসক ড. শিবুভাই প্যাটেলকে দেখান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি জানান, দেবেন্দ্রভাইয়ের কিডনিতে ১৪ মিলিমিটার লম্বা পাথর জমেছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে।

কিডনি থেকে পাথর সরানোর বদলে আস্ত কিডনিই কেটে বাদ দিয়ে দিলেন চিকিৎসক। এর কিছুদিনের মধ্যেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ২০১১ সালের এই ঘটনার জল গড়াল আদালতে। শেষপর্যন্ত দিন কয়েক আগে ওই ব্যক্তির পরিবারকে বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

আরও পড়ুন: Pahalgam terror attack: গুজরাতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক মুসলিম, ভারতীয় হওয়া সত্ত্বেও উঠছে হেনস্তার অভিযোগ

চিকিৎসকদের দাবি, রোগীকে বাঁচাতে কিডনি বাদ দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এ সম্পর্কে প্রথমে রোগীর পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি। চার মাস পরে নতুন করে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই কিডনি বাদ দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। চিকিৎসা চলাকালীন দেবেন্দ্রভাইয়ের মৃত্যুও হয়।

আরও পড়ুন: গুজরাটে বাজি কারখানায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সাহায্য, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

আদালতের দ্বারস্থ হন দেবেন্দ্রভাইয়ের স্ত্রী। মামলায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক-সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পালটা উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আইনি টানাপোড়েনের পর হাসপাতালকে ১১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

আরও পড়ুন: কাঁথিতে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ বহু গ্রামবাসী!

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাথর বের করতে গিয়ে কিডনিই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! ১১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলল আদালত

আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার


পুবের কলম ওয়েবডেস্ক :
অপারেশনের ফল যে এমন মারাত্মক হবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি রোগী। খেদা জেলার বাসিন্দা দেবেন্দ্রভাই রাভাল। হঠাৎই পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। সঙ্গে প্রস্রাবের সমস্যাও ছিল। অসুস্থ শরীরে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বালাসিনরো শহরের কেএমজি হাসপাতালে যান তিনি। সেখানকার চিকিৎসক ড. শিবুভাই প্যাটেলকে দেখান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি জানান, দেবেন্দ্রভাইয়ের কিডনিতে ১৪ মিলিমিটার লম্বা পাথর জমেছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে।

কিডনি থেকে পাথর সরানোর বদলে আস্ত কিডনিই কেটে বাদ দিয়ে দিলেন চিকিৎসক। এর কিছুদিনের মধ্যেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ২০১১ সালের এই ঘটনার জল গড়াল আদালতে। শেষপর্যন্ত দিন কয়েক আগে ওই ব্যক্তির পরিবারকে বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

আরও পড়ুন: Pahalgam terror attack: গুজরাতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক মুসলিম, ভারতীয় হওয়া সত্ত্বেও উঠছে হেনস্তার অভিযোগ

চিকিৎসকদের দাবি, রোগীকে বাঁচাতে কিডনি বাদ দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এ সম্পর্কে প্রথমে রোগীর পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি। চার মাস পরে নতুন করে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই কিডনি বাদ দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। চিকিৎসা চলাকালীন দেবেন্দ্রভাইয়ের মৃত্যুও হয়।

আরও পড়ুন: গুজরাটে বাজি কারখানায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সাহায্য, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

আদালতের দ্বারস্থ হন দেবেন্দ্রভাইয়ের স্ত্রী। মামলায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক-সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পালটা উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আইনি টানাপোড়েনের পর হাসপাতালকে ১১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

আরও পড়ুন: কাঁথিতে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ বহু গ্রামবাসী!