পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রবিবার মানেই পরিবারের সকলে মিলে জমিয়ে ভুরিভোজ করার দিন। খাওয়ার টেবিলে সকলকে চমকে দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন চম্পারণ মাটন।
এটি বিহারের বিখ্যাত একটি পদ। চম্পারণ মটনের নামটি বিহারের চম্পারণ জেলা থেকেই এসেছে। এই পদটি ‘আহুনা মটন’, ‘মটকা গোস্ত’ ও ‘চম্পারণ মটন হান্ডি’ নামেও বিখ্যাত। ঐতিহ্যগতভাবে মাটির হাঁড়িতে বা মটকায় দম স্টাইলে রান্না করা হয় এটি। তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটি।
উপকরণ
১ কেজি মটন
৬ থেকে ৭টা মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ
৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ রসুনের পেস্ট
৩ টেবিল চামচ আদার পেস্ট
২৫ গ্রাম কাজু বাদাম বাটা এবং কিসমিস
৬ থেকে ৭ টা গোটা রসুনের কোয়া
৫০ মিলিগ্রাম ঘি
১০০ গ্রাম দই
১ টেবিল চামচ জিরে বাটা
৫টা কাঁচা লঙ্কা
লঙ্কাগুঁড়ো দুই টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো দুই টেবিল চামচ
২-৩টি তেজপাতা
১টি দারুচিনি
৫টা ছোট এলাচ
পরিমাণমতো সরিষার তেল
পরিমাণমতো নুন
প্রণালীঃ
প্রথমে মটন ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।
২) এবার একটি কড়াইতে পরিমাণমতো সরিষার তেল ও ঘি দিয়ে গরম করে, পেঁয়াজ ভেজে তুলে রাখুন।
৩) একটি পাত্রে মটন এর সঙ্গে উল্লিখিত সমস্ত উপকরণগুলি দিয়ে ভালো করে ম্যারিনেট করে নিন
৪) ম্যারিনেট করা মাংসের সঙ্গে ভেজে রাখা পেঁয়াজ ভালো করে মিশিয়ে দিন।
৫) ৩০-৪০ মিনিট ম্যারিনেট করা মাংসটি ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
৬) এবার মাটির হাঁড়িতে উনুনে বসান। ১-২ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নিন।
৭) এবার ম্যারিনেট করে রাখা মাংসটি ঢেলে দিন।
৮) এরপর সরিষার তেল এবং ঘি মিশ্রিত যে তেলে পেঁয়াজ ভেজে ছিলেন, এই তেলটি মাংসের উপরে ভালো করে ছড়িয়ে দিন।
৯) এবার হাঁড়ির মুখটা পরিষ্কার একটি পাত্র দিয়ে বন্ধ করে তার চারিদিকে মাখা আটা দিয়ে সিল করে দিন, যাতে বাষ্প বেরিয়ে যেতে না পারে।
১০) এভাবে একেবারে হালকা আঁচে হাড়িটা দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখুন।
১১) দু’ঘন্টার পর দেখুন মাংস দিয়ে সেদ্ধ হয়েছে কিনা। সেদ্ধ হয়ে গেলে তৈরি আপনার ‘চম্পারণ মটন’।
তন্দুরি রুটি, নান এর সঙ্গে দুর্দান্ত লাগে মাটন এর রেসিপি, তবে চাইলে ভাতের সঙ্গেও পরিবেশন করতে পারেন।