‘মোস্ট হোলি রোজারি’ চার্চকে কেন্দ্র করে ক্যালকাটা সিড ও আইএইচএ ফাউন্ডেশনের মানবিক প্রচেষ্টা

- আপডেট : ৩ মে ২০২৫, শনিবার
- / 61
পুবের কলম প্রতিবেদক: এলাকার পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পথশিশু পড়ুয়াদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদান কর্মসূচি পালিত হল কলকাতায়। শুক্রবার ‘ক্যালকাটা সিড’ এবং আইএইচএ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘মোস্ট হোলি রোজারি’ ক্যাথিড্রালে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিক্ষা সামগ্রী প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়। এই ক্যাথিড্রালটির বয়স এখন ২৩০ বছর। তারা খ্রিস্টান ধর্মাচরণ পালনের সঙ্গে শিক্ষা ও বিশেষত বস্তিবাসীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর তরবিয়ত দিতে সব সময় সক্রিয় রয়েছেন। আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, কলকাতার ব্রাবোর্ন রোডে সিডের সহযোগিতায় কলকাতার এই এলাকায় বসবাসকারী সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনা করে শিক্ষিত করার পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যত স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলাকার শিশুদের শিক্ষামূলক সার্বিক উন্নয়নের জন্য গত কয়েক বছর ধরেই শিশু-কিশোর পড়ুয়াদের মধ্যে পাঠ্যবই, খাতা,কলম-ব্যাগ, জলের বোতল, কলম ছাড়াও বিভিন্ন স্টেশনারি সামগ্রীর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: হাই মাদ্রাসায় যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন ফাহামিদা ইয়াসমিন
শিক্ষা সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান। তিনি আয়োজক সংস্থার এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য আগামী দিনে কমিশনের পক্ষ থেকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
ক্যালকাটা সিড পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করে থাকে। তারা কলকাতার উপকণ্ঠে ১৬ বিঘা বস্তিতেও তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করেছে। বিশেষ করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, উপার্জনের মাধ্যমে সমাজে মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য সহায়তা করে থাকে।
আরও পড়ুন: হাই মাদ্রাসায় তৃতীয় হয়েছেন আলিফনুর খাতুন
ওই কর্মসূচি প্রসঙ্গে আইএইচএ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সতনাম সিং আহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘শিক্ষা হল সবচেয়ে শক্তিশালী বীজ যা আমরা একটি শিশুর হৃদয়ে রোপণ করতে পারি। শিশু পড়ুয়াদের হাতে বই, খাতা, কলম তুলে দিয়ে শিশুদের ভবিষ্যতকে আলোকিত করতে চাই।’ আইএইচএ ফাউন্ডেশনের জন্য কাজ করে চলেছে।
ক্যালকাটা সিড-এর কর্ণধার রেভারেন্ড ড. ফ্র্যাঙ্কলিন মেনেজেস এবং আইএইচএ ফাউন্ডেশনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক গগন খান্নার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় যেমন শিশুদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তেমনি পিছিয়ে পড়া নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান সতনাম সিং আহলুওয়ালিয়া।
আহমদ হাসান ইমরান বলেন, অনেকটা মাদার টেরেসাকে অনুসরণ করে কলকাতার এই প্রাচীন চার্চ এবং সতনাম সিং আহলুওয়ালিয়ার আইএইচএ ফাউন্ডেশন সেবামূলক কাজ করে চলেছে। আমি এদের কর্ম প্রচেষ্টা দেখে সত্যিই আনন্দিত হয়েছি। আমরা চেষ্টা করব, এই ধরনের প্রচেষ্টা যাতে আরও এগিয়ে যায়, সে জন্য সহায়তা করতে।