আমি কাউকে মারিনি, তিলজলা-কাণ্ডে সাফাই প্রাক্তন ওসি’র
পুবের কলম প্রতিবেদক: অবশেষে মুখ খুললেন তিলজলা থানার পুলিশ অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে মারিনি।’ প্রথমে রাজ্যের শিশু সুরক্ষার কমিশনের উপর বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।
তিনি বলেন, থানায় যখন কমিশন নিহত শিশুর পরিবারের বয়ান রেকর্ড করছিল, সে সময় ওসির ঘরে গোপনে বডি ক্যাম রেখে তা রেকর্ড করা হচ্ছিল। বাধা দিলে গেলে তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায় মারধর করেন এবং ক্যামেরা কেড়ে নেন। এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে লালবাজার।
ফৌজদারি কার্যবিধিতে মামলা রুজু করা হয় ওসি-সহ কয়েকজন বিরুদ্ধে। সরিয়ে দেওয়া ওসিকে। সেই ঘটনা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে মুখ খুললেন তিলজলা থানার প্রাক্তন ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়। তাতে তিনি মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, তদন্ত প্রভাবিত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে; তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে’। অতএব গরু বা ভেড়ার মত অন্য লোককে অনুকরণ না করে মেরুদন্ড সোজা করে ভেড়ার দলকে তাকে অনুসরণ করতে বাধ্য করাই প্রকৃত মানুষের কাজ। আমি কাউকে মারিনি। আমি স্বামীজীর ভক্ত। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস আর ভয় একসঙ্গে থাকতে পারে না। তাই আমি ভয় পাই না।
জানা গিয়েছে, তিলজলার ঘটনায় নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে গুন্ডাদমন শাখা। ওসির বিরুদ্ধে মামলা থেকে ওসিকে সরিযে দেওয়া হলেও জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রধাণ অবশ্য তাতে খুশি নন। তিলজলার শিশুর খুনের তদন্ত কলকাতা পুলিশের বদলে সিবিআইয়ের তদন্তের সুপারিশ করবেন বলে জানান তিনি।