০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী এক বছর থাকতে চান মঙ্গলে, নাসা নেওয়া শুরু করল আবেদনপত্র

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ অগাস্ট ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 24

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এই পৃথিবীর  জল, হাওয়ায়  একঘেয়ে  লাগছে। ভাবছেন  হাওয়া বদল করবেন। নাসা আপনাকে সুযোগ  দিচ্ছে মঙ্গলে যাওয়ার। তার জন্য  নেওয়া শুরু হয়েছে  আবেদনপত্রও। কি ভাবছেন  তো মানুষ  আবার  কবে এই লাল গ্রহে পাড়ি জমানো শুরু করল। তাহলে বিষয়টা একটু খোলসা করেই বলা  যাক।মঙ্গলের আলফা টিলায় কঠিন পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে একটি বছর। নাসার চ্যালেঞ্জ এটিই। তবে সত্যি সত্যি রকেটে করে লাল গ্রহে যেতে হবে না কাউকে। পৃথিবীর বুকেই। বলা ভালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত জনসন স্পেস সেন্টারেই থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে বানানো হয়েছে তিন হাজার ৭০০ বর্গফুটের এক জায়গা।

কৃত্রিমভাবে সেখানে মঙ্গলের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। কারো বোঝার উপায় নেই তা কৃত্রিম। নাসার উদ্দেশ্য, মঙ্গলের বন্ধুর পরিবেশের চ্যালেঞ্জ সামলাতে মানুষ কতটা ভালোভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, তা দেখা। বিশেষ করে এক বছর ধরে এ রকম পরিবেশে থাকতে হলে ধৈর্য রাখা ও মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকা খুবই জরুরি।

তিন হাজার ৭০০ বর্গফুটের ওই জায়গায় মঙ্গলের মতোই বিপদ এবং অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। কৃত্রিমভাবেই সেখানে জিনিসপত্রের সীমাবদ্ধতা, যন্ত্রপাতির বিকল হয়ে পড়া, যোগাযোগে সমস্যা, পরিবেশগত সমস্যা-সব কিছু তৈরি করা হবে।আসলে এই পুরোটাই নাসার মিশন মার্সের অন্তর্ভুক্ত। চলতি  দশকেই  মঙ্গলে প্রথম মানুষ  পাঠাবে নাসা। তার জন্যই এই প্রস্তুতি।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আগামী এক বছর থাকতে চান মঙ্গলে, নাসা নেওয়া শুরু করল আবেদনপত্র

আপডেট : ১০ অগাস্ট ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এই পৃথিবীর  জল, হাওয়ায়  একঘেয়ে  লাগছে। ভাবছেন  হাওয়া বদল করবেন। নাসা আপনাকে সুযোগ  দিচ্ছে মঙ্গলে যাওয়ার। তার জন্য  নেওয়া শুরু হয়েছে  আবেদনপত্রও। কি ভাবছেন  তো মানুষ  আবার  কবে এই লাল গ্রহে পাড়ি জমানো শুরু করল। তাহলে বিষয়টা একটু খোলসা করেই বলা  যাক।মঙ্গলের আলফা টিলায় কঠিন পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে একটি বছর। নাসার চ্যালেঞ্জ এটিই। তবে সত্যি সত্যি রকেটে করে লাল গ্রহে যেতে হবে না কাউকে। পৃথিবীর বুকেই। বলা ভালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত জনসন স্পেস সেন্টারেই থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে বানানো হয়েছে তিন হাজার ৭০০ বর্গফুটের এক জায়গা।

কৃত্রিমভাবে সেখানে মঙ্গলের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। কারো বোঝার উপায় নেই তা কৃত্রিম। নাসার উদ্দেশ্য, মঙ্গলের বন্ধুর পরিবেশের চ্যালেঞ্জ সামলাতে মানুষ কতটা ভালোভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, তা দেখা। বিশেষ করে এক বছর ধরে এ রকম পরিবেশে থাকতে হলে ধৈর্য রাখা ও মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকা খুবই জরুরি।

তিন হাজার ৭০০ বর্গফুটের ওই জায়গায় মঙ্গলের মতোই বিপদ এবং অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। কৃত্রিমভাবেই সেখানে জিনিসপত্রের সীমাবদ্ধতা, যন্ত্রপাতির বিকল হয়ে পড়া, যোগাযোগে সমস্যা, পরিবেশগত সমস্যা-সব কিছু তৈরি করা হবে।আসলে এই পুরোটাই নাসার মিশন মার্সের অন্তর্ভুক্ত। চলতি  দশকেই  মঙ্গলে প্রথম মানুষ  পাঠাবে নাসা। তার জন্যই এই প্রস্তুতি।