পুবের কলম প্রতিবেদক: শনিবার কলকাতা পুরসভার বাজেট পেশ হয়। এদিন বাজেট পেশ করে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অনুমিত আয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ৫৪ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি ঘাটতির পরিমাণ ১১২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র। উল্লেখ্য, গত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৪৬ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ করা হয়েছিল। এবার সেই ঘাটতির পরিমাণ কমেছে ৩৪ কোটি। একইসঙ্গে, আগামী বিধানসভা এবং পুরভোটকে মাথায় রেখে পানীয় জল পরিষেবাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে।
শনিবারের বাজেট প্রস্তাবে মেয়র জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অনুমিত আয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ৫৪ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। অনুমিত ব্যয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ১৬৬ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা।এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের পুর বাজেটে সম্ভাব্য আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৪০ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা। তবে, আয় হয় ৩ হাজার ৮৭১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৬৭০ কোটি টাকা কম আয় হয়। আয়ের এই ঘাটতি প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র বলেন, ‘এই ঘাটতি বাজেট তো আজ হয়নি। অনেকদিন ধরে চলছে। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা হয়ে গিয়েছিল। আমরা তা কিছুটা কমাতে পেরেছি। এই ব্যবধান ধীরে ধীরে আরও কমবে। আমি তো আর ম্যাজিক জানি না। আজ বলব কাল কমে যাবে। ঘাটতির থেকে বড় কথা হচ্ছে নাগরিক পরিষেবা। এটা আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্ববপূর্ণ। খাতায় কলমে যোগ বিয়োগ, সরকারের কাছ থেকে কি পেলাম তার থেকেও বড় কথা হল নাগরিক পরিষেবা।’
একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা বিজ্ঞাপনে যেভাবে ভেবেছিলাম সেটা এখনও করতে পারিনি। একটা বড় রেভিনিউ আমাদের চলে যাচ্ছে। আমরা বিজ্ঞাপনের পলিসি চূড়ান্ত করেছি। সেটা খুব শীঘ্রই লাগু করব। আরও কয়েকটা বিভাগ আছে যেখান থেকে আমরা যতটা আয় হবে ভেবেছিলাম ততটা হয়নি।
এদিকে, কলকাতা পুরসভার বাজেট পেশ হওয়ার পরে পুরনিগমের এই ঘাটতি বাজেট নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। যদিও, নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকারান্তরে ঘাটতি কমার কথা স্বীকার করে নিয়ে কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ‘নাগরিক পরিষেবার কোনও সমস্যা হবে না বলছেন মেয়র কিন্তু উনি তো টাকা ছাপাতে পারবেন না। টাকা আসবে কোথা থেকে?’