মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই, রাজ্যের শিক্ষানীতি রূপরেখা তৈরিতে বৈঠক

- আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২২, শনিবার
- / 8
পুবের কলম প্রতিবেদক: মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যের শিক্ষানীতির রূপরেখা তৈরিতে বৈঠক ডাকছে শিক্ষা দফতর। কেন্দ্র সরকারের শিক্ষানীতি নয়, রাজ্য সরকারই নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করার কথা আগেই ঘোষণা করেছে শিক্ষা দফতর। সেই শিক্ষানীতি গড়তে নতুন নকশা তৈরি করা হচ্ছে। এই নিয়ে নয়া কমিটি গড়ছে শিক্ষা দফতর। মে মাসেই শিক্ষানীতি নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
রাজ্য সরকার আগেই জানিয়েছে, কেন্দ্রের নীতি নয়, রাজ্যে পড়াশোনা চলবে নিজস্ব শিক্ষানীতিতে। সেই নীতি তৈরির জন্য আগেই বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্র। আর এবার আরও একধাপ এগোতে চলেছে রাজ্যে শিক্ষা দফতর। আগামী ৬ মে ওই কমিটি আলোচনায় বসবে। সেখানে নয়া শিক্ষানীতিতে কী থাকবে, কী থাকবে না। তা নিয়ে আলোচনা হবে। শুধুমাত্র স্কুল নয়, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাও হবে সেই নীতি অনুসারেই।
কেমন হবে সিলেবাস, কী ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে স্কুল কলেজে কোন পথে হবে পঠন-পাঠন তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে শিক্ষানীতি নিয়ে যে বৈঠক ডাকা হয়েছে সেখানে থাকার কথা রয়েছে অধ্যাপিকা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। বৈঠকে থাকার কথা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের। নিজস্ব নীতির একটি নীল নকশা তৈরি করবে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। আগে থেকেই কমিটিতে রাখা হয়েছে সুগত বসু,, সুরঞ্জন দাস, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি সহ ১০ জনকে। এই কমিটিতে আরও কয়েকজনকে রাখা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।
সম্প্রতি শিক্ষানীতিতে বেশ কিছু বদল এনেছে কেন্দ্র। ২০২০-র নয়া শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে। সেই নীতি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন একের পর এক গাইডলাইনও পাঠিয়ে চলেছে। কিন্তু সে সব গাইডলাইন মানতে চায় না রাজ্যের শিক্ষা মহলের একাংশ।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তত্বাবধানে তৈরি হয়েছে এই কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন, সিলেবাস কমিটির অভীক মজুমদার।
৮ টি পৃথক বিষয়ের জন্য আনা হয়েছে ৮ জন মেন্টরকে। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন অধ্যাপকও রয়েছেন সেই কমিটিতে। মেন্টর ছাড়াও প্রত্যেক বিষয়ের জন্য স্কুল থেকে একজন ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কমিটির অন্যতম সদস্য তথা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি মনে করেন, জাতীয় শিক্ষার যে নীতি তাতে অনেকাংশে আমেরিকার স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের নীতিকে অনুকরণ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ভারত ১৩০ কোটির দেশ।
এ দেশে এমন অনুকরণ সম্ভবত কাজ করবে না। ফলে জাতীয় শিক্ষানীতির যে যে অংশে অনুকরণ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সেগুলির বিরোধিতা করবে রাজ্যের নয়া নীতি। শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষাবিদ মহল।