০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের চিকিৎসক প্রাণ বাঁচালেন এক পাকিস্তানি কিশোরীর, জেনে নিন কি ভাবে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, সোমবার
  • / 12

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পাকিস্তানি নাবালিকা আফসিন গুল একটি বিরল রোগে ভুগছিলেন।যা তার ঘাড়কে ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে বাঁকিয়ে রেখেছিল।১৩ বছর বয়সি এই নাবালিকা জীবনে কখনও স্কুলে যায়নি।স্কুলে যাবে ।বন্ধু বানাবে,তাদের সঙ্গে খেলা করবে এই সব কথা গুলো তার কাছে স্বপ্নের মতন।দশ মাস বয়সে তার দিদির কোল থেকে পড়ে গিয়ে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।তারপর থেকেই গিয়ে আফসিনের ঘাড় প্রায় ৯০ ডিগ্রি বেঁকে যায়।

সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা-মা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলও মেলেনি ফল। তার ব্যথা ক্রমশ বাড়তেই থাকে। পরে অভাবের কারণে তার বাবা-মা আর চিকিৎসা করাতে পারেননি। আফসিনের সেরিব্রাল পলসির মতো জটিল রোগও রয়েছে।

বছর ১২ বাদে আফসিনের জীবনে আসে বড় পরিবর্তন। বিনা খরচে পাকিস্তানি এই নাবালিকার চিকিৎসা করেন ভারতের ডাক্তার রাজাগোপালন কৃষ্ণান। তিনি দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে আপসিনের ঘাড়ের সফল অস্ত্রোপচার করেন।

যদিও অস্ত্রোপচারের আগে ডাক্তার বলে দিয়েছিল এই অপারেশনের পর তার মৃত্যুও হতে পারে।তারপরেও ঝুঁকি নিয়েছিল আফসিনের পরিবার।
উল্লেখ্য,এক ব্রিটিশ সাংবাদিক আলেকজান্দ্রিয়া থোমাস পাকিস্তানি নাবালিকা আফসিনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখেন। আর সম্ভবত সেই সাংবাদিকই চিকিৎসক রাজাগোপালনের সঙ্গে আফসিনের পরিচয় করান। চিকিৎসকের মতে, এই ধরনের অস্ত্রোপচার সারা বিশ্বে প্রথম বলেই খবর।

আফসিনের মোট চার বার অস্ত্রপচার করা হয়। শেষ অস্ত্রোপচারটি করা হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। এখন আফসিন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছে। চিকিৎসক রাজাগোপালন নিয়মিত স্কাইপে রোগীর খোঁজখবর নেন।

অস্ত্রোপচারটির পর ডাক্তার রাজাগোপালন কৃষ্ণান বলেন, এই চিকিৎসা না করালে ওই তরুণী আর বেশি দিন বাঁচত না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারতের চিকিৎসক প্রাণ বাঁচালেন এক পাকিস্তানি কিশোরীর, জেনে নিন কি ভাবে

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পাকিস্তানি নাবালিকা আফসিন গুল একটি বিরল রোগে ভুগছিলেন।যা তার ঘাড়কে ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে বাঁকিয়ে রেখেছিল।১৩ বছর বয়সি এই নাবালিকা জীবনে কখনও স্কুলে যায়নি।স্কুলে যাবে ।বন্ধু বানাবে,তাদের সঙ্গে খেলা করবে এই সব কথা গুলো তার কাছে স্বপ্নের মতন।দশ মাস বয়সে তার দিদির কোল থেকে পড়ে গিয়ে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।তারপর থেকেই গিয়ে আফসিনের ঘাড় প্রায় ৯০ ডিগ্রি বেঁকে যায়।

সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা-মা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলও মেলেনি ফল। তার ব্যথা ক্রমশ বাড়তেই থাকে। পরে অভাবের কারণে তার বাবা-মা আর চিকিৎসা করাতে পারেননি। আফসিনের সেরিব্রাল পলসির মতো জটিল রোগও রয়েছে।

বছর ১২ বাদে আফসিনের জীবনে আসে বড় পরিবর্তন। বিনা খরচে পাকিস্তানি এই নাবালিকার চিকিৎসা করেন ভারতের ডাক্তার রাজাগোপালন কৃষ্ণান। তিনি দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে আপসিনের ঘাড়ের সফল অস্ত্রোপচার করেন।

যদিও অস্ত্রোপচারের আগে ডাক্তার বলে দিয়েছিল এই অপারেশনের পর তার মৃত্যুও হতে পারে।তারপরেও ঝুঁকি নিয়েছিল আফসিনের পরিবার।
উল্লেখ্য,এক ব্রিটিশ সাংবাদিক আলেকজান্দ্রিয়া থোমাস পাকিস্তানি নাবালিকা আফসিনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখেন। আর সম্ভবত সেই সাংবাদিকই চিকিৎসক রাজাগোপালনের সঙ্গে আফসিনের পরিচয় করান। চিকিৎসকের মতে, এই ধরনের অস্ত্রোপচার সারা বিশ্বে প্রথম বলেই খবর।

আফসিনের মোট চার বার অস্ত্রপচার করা হয়। শেষ অস্ত্রোপচারটি করা হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। এখন আফসিন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছে। চিকিৎসক রাজাগোপালন নিয়মিত স্কাইপে রোগীর খোঁজখবর নেন।

অস্ত্রোপচারটির পর ডাক্তার রাজাগোপালন কৃষ্ণান বলেন, এই চিকিৎসা না করালে ওই তরুণী আর বেশি দিন বাঁচত না।