০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গঙ্গা আরতিকে সামনে রেখে বাবুঘাটে তৈরি আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র, আজ উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 7

পুবের কলম প্রতিবেদক: টেমস নদীর তীরের সৌন্দর্যায়ন এবং বেনারসের গঙ্গা আরতি, এবার এই দুইই একসঙ্গে উপভোগ করা যাবে কলকাতায় বসে। আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এবার মূল আকর্ষণ হবে কলকাতার বাজেকদমতলা ঘাট। আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেকদমতলা ঘাটে এই নয়া উদ্যোগের সূচনা করবেন। উপস্থিত থাকবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার-সহ অন্যান্যরা। থাকবেন স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা।

গত বছর বারাণসীতে গিয়ে সেখানকার গঙ্গা আরতি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরে এসেই কলকাতাতেও গঙ্গাবক্ষে আরতি করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। এই কাজের ভার পড়েছিল কলকাতা পুরসভার ওপর। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের তৎপরতায় কয়েক মাসের মধ্যে গোটা কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। বুধবার সন্ধ্যায় শেষ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আধিকারিকদের সঙ্গে ঘাট পরিদর্শনে যান মেয়র। তিনি জানান, আরতি চলাকালীন গঙ্গাবক্ষে থাকবে ফেরি। সেখান থেকেই পর্যটকরা আরতি দেখতে পারবেন।

 

অন্যদিকে, দুদিকের গঙ্গা পাড়কেই আরও আকর্ষিত করে তুলতে হাওড়াতেও গঙ্গা তীরে বসানো হচ্ছে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড। ফিরদাহ হাকিমের কথায়, কলকাতার নতুন আকর্ষণ হতে চলেছে বাজেকদমতলা ঘাটের গঙ্গা আরতি। ধার্মিক মানুষদেরও যেমন পছন্দের জায়গা হবে, তেমনই ট্যুরিজমের দিক থেকেও সেরা দেখার জায়গা হবে।

প্রসঙ্গত, গঙ্গা আরতির জন্য ১১টি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এই ১১টি মঞ্চে মোট ২২জন পুরোহিত আরতি করবেন। ইতিমধ্যে গত সাতদিন ধরে মহড়া চলছে গঙ্গারতির। আজ বৃহস্পতিবার সেই আরতির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, বিকেল চারটে নাগাদ ১৫ জন পুরোহিতের উপস্থিতিতে শুরু হবে এই গঙ্গা আরতি। গঙ্গাবক্ষে দেবী গঙ্গার আবক্ষ মূর্তিও উন্মোচন করা হবে। বেনারসের গঙ্গাঘটের আদলে নৌকা এবং লঞ্চের মাধ্যমে গঙ্গার আরতির চাক্ষুস করা যাবে। সেক্ষেত্রে গঙ্গা আরতির জন্য ব্যবহৃত প্রদীপ এবং কপুরদানি তৈরি করা হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে খবর, সরাসরি বেনেরাস থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এই সরঞ্জাম। জানা গিয়েছে, আগামীতে কলকাতাতেও তৈরি করা হবে এই ধরণের প্রদীপগুলি। আজ মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গা আরতির সূচনা করে দিলে তা আগামী দিনে পর্যটকদের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, আগামীতে একটি লেজার শো-রও আয়োজন করা হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গঙ্গা আরতিকে সামনে রেখে বাবুঘাটে তৈরি আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র, আজ উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট : ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: টেমস নদীর তীরের সৌন্দর্যায়ন এবং বেনারসের গঙ্গা আরতি, এবার এই দুইই একসঙ্গে উপভোগ করা যাবে কলকাতায় বসে। আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এবার মূল আকর্ষণ হবে কলকাতার বাজেকদমতলা ঘাট। আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেকদমতলা ঘাটে এই নয়া উদ্যোগের সূচনা করবেন। উপস্থিত থাকবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার-সহ অন্যান্যরা। থাকবেন স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা।

গত বছর বারাণসীতে গিয়ে সেখানকার গঙ্গা আরতি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরে এসেই কলকাতাতেও গঙ্গাবক্ষে আরতি করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। এই কাজের ভার পড়েছিল কলকাতা পুরসভার ওপর। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের তৎপরতায় কয়েক মাসের মধ্যে গোটা কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। বুধবার সন্ধ্যায় শেষ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আধিকারিকদের সঙ্গে ঘাট পরিদর্শনে যান মেয়র। তিনি জানান, আরতি চলাকালীন গঙ্গাবক্ষে থাকবে ফেরি। সেখান থেকেই পর্যটকরা আরতি দেখতে পারবেন।

 

অন্যদিকে, দুদিকের গঙ্গা পাড়কেই আরও আকর্ষিত করে তুলতে হাওড়াতেও গঙ্গা তীরে বসানো হচ্ছে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড। ফিরদাহ হাকিমের কথায়, কলকাতার নতুন আকর্ষণ হতে চলেছে বাজেকদমতলা ঘাটের গঙ্গা আরতি। ধার্মিক মানুষদেরও যেমন পছন্দের জায়গা হবে, তেমনই ট্যুরিজমের দিক থেকেও সেরা দেখার জায়গা হবে।

প্রসঙ্গত, গঙ্গা আরতির জন্য ১১টি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এই ১১টি মঞ্চে মোট ২২জন পুরোহিত আরতি করবেন। ইতিমধ্যে গত সাতদিন ধরে মহড়া চলছে গঙ্গারতির। আজ বৃহস্পতিবার সেই আরতির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, বিকেল চারটে নাগাদ ১৫ জন পুরোহিতের উপস্থিতিতে শুরু হবে এই গঙ্গা আরতি। গঙ্গাবক্ষে দেবী গঙ্গার আবক্ষ মূর্তিও উন্মোচন করা হবে। বেনারসের গঙ্গাঘটের আদলে নৌকা এবং লঞ্চের মাধ্যমে গঙ্গার আরতির চাক্ষুস করা যাবে। সেক্ষেত্রে গঙ্গা আরতির জন্য ব্যবহৃত প্রদীপ এবং কপুরদানি তৈরি করা হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে খবর, সরাসরি বেনেরাস থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এই সরঞ্জাম। জানা গিয়েছে, আগামীতে কলকাতাতেও তৈরি করা হবে এই ধরণের প্রদীপগুলি। আজ মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গা আরতির সূচনা করে দিলে তা আগামী দিনে পর্যটকদের দেখার জন্য খুলে দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, আগামীতে একটি লেজার শো-রও আয়োজন করা হবে।