১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি স্কুল ধ্বংস ইসরাইলের

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 279

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : প্রায় ২২ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজার ওপরে চলছে ইসরাইলের অকথ্য অত্যাচার ও হামলা। ইসরাইলের এই প্রতিনিয়ত হামলায় লক্ষ্যবস্তু হিসেবে প্রধান হয়ে উঠছে, স্কুল ও হাসপাতালগুলো। যেগুলো আর ব্যবহারের উপযোগী নয়। পুনর্নির্মাণ করা ছাড়া নতুনভাবে শুরু করা সম্ভব নয়।

এমনকি ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত স্কুলও ছিল বলে জানা গেছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র তথ্য অনুযায়ী, গাজার মোট ৫৬৪টি স্কুলের মধ্যে ৯৭ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫১৮টি স্কুল পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার করা ছাড়া পুনরায় শুরু করা যাবে না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এই হামলার শুরু। তারপর থেকে হাজার হাজার মানুষ বারংবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

শুধুমাত্র একটুখানি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অনেকেই এই স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি হামলায় এই স্কুলগুলি তো ধ্বংস হচ্ছে তার পাশাপাশি এখানে আশ্রিত বহু মানুষ নিহত হয়েছে। গত ১৮ই জুলাই পর্যন্ত এই স্কুলগুলোতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরাইলি হামলার জেরে ৮৩৬ জন নিহত এবং ২ হাজার ৫২৭ জন আহত হয়েছেন। এই হামলায় গাজায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: কে রুখবে নেতানিয়াহুকে? ট্রাম্পের শান্তি আহ্বান অগ্রাহ্য করে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৭০

ইউএনআরডব্লিউএ-র সংকট, সংঘাত ও অস্ত্রবিষয়ক সহযোগী পরিচালক গ্যারি সিম্পসন এই বিষয়ে বলেছেন, “বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয় দেওয়া স্কুলগুলোতে ইসরাইলের হামলা হত্যাযজ্ঞের এক নির্মম চিত্র তুলে ধরে। যে সব বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের ওপর এভাবে আক্রমণ করা কোনো দেশের সরকারের সহ্য করাই উচিত নয়।”

আরও পড়ুন: মাঝ পথেই থেমে গেল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, আটক শেষ জাহাজটিও

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গাজায় প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি স্কুল ধ্বংস ইসরাইলের

আপডেট : ২৮ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : প্রায় ২২ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজার ওপরে চলছে ইসরাইলের অকথ্য অত্যাচার ও হামলা। ইসরাইলের এই প্রতিনিয়ত হামলায় লক্ষ্যবস্তু হিসেবে প্রধান হয়ে উঠছে, স্কুল ও হাসপাতালগুলো। যেগুলো আর ব্যবহারের উপযোগী নয়। পুনর্নির্মাণ করা ছাড়া নতুনভাবে শুরু করা সম্ভব নয়।

এমনকি ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত স্কুলও ছিল বলে জানা গেছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র তথ্য অনুযায়ী, গাজার মোট ৫৬৪টি স্কুলের মধ্যে ৯৭ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫১৮টি স্কুল পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার করা ছাড়া পুনরায় শুরু করা যাবে না। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এই হামলার শুরু। তারপর থেকে হাজার হাজার মানুষ বারংবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

শুধুমাত্র একটুখানি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অনেকেই এই স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি হামলায় এই স্কুলগুলি তো ধ্বংস হচ্ছে তার পাশাপাশি এখানে আশ্রিত বহু মানুষ নিহত হয়েছে। গত ১৮ই জুলাই পর্যন্ত এই স্কুলগুলোতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরাইলি হামলার জেরে ৮৩৬ জন নিহত এবং ২ হাজার ৫২৭ জন আহত হয়েছেন। এই হামলায় গাজায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: কে রুখবে নেতানিয়াহুকে? ট্রাম্পের শান্তি আহ্বান অগ্রাহ্য করে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৭০

ইউএনআরডব্লিউএ-র সংকট, সংঘাত ও অস্ত্রবিষয়ক সহযোগী পরিচালক গ্যারি সিম্পসন এই বিষয়ে বলেছেন, “বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয় দেওয়া স্কুলগুলোতে ইসরাইলের হামলা হত্যাযজ্ঞের এক নির্মম চিত্র তুলে ধরে। যে সব বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের ওপর এভাবে আক্রমণ করা কোনো দেশের সরকারের সহ্য করাই উচিত নয়।”

আরও পড়ুন: মাঝ পথেই থেমে গেল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, আটক শেষ জাহাজটিও