কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার

- আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 54
আবুল খায়েরঃ দেশের অনান্য মহানগরের তুলনায় দিওয়ালিতে শধ দূষণ এবং বায়ু দূষণ অনেক কম রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রেড রোডে অবস্থিত পুলিশ স্মৃতিসৌধে শহিদ স্মরণে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমারও ভর্মা। এ দিনের অনুষ্ঠান শেষে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীপাবলিতে শধবাজির তান্ডব নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বলেন, ক্ষ্মআমরা সন্ধ্যা অবধি নজরদারি চালিয়েছিলাম। তখনও অবধি সারা ভারতের নিরিখে কলকাতায় দূষণের মাত্রা অনেকটাই কম ছিল। এখনও ১০টা ও ১২টার রিপোর্ট বিশ্লেষণ করা বাকি রয়েছে। তবে এটা বলতে পারি যে গতবছরের তুলনায় ও দেশের অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অনেক কম রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এবারে কালীপুজোয় রাজ্যে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্তই পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি ফাটানোর অনুমতি ছিল। স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল, শধবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সেই নির্দেশ মেনে কালীপুজোর আগে নিষিদ্ধ শধবাজির ব্যবহার নিয়ে সমন্বয় বৈঠক থেকে সর্তকবার্তা দিয়েছিলেন খোদ নগরপাল। কিন্তু বাস্তবে সেই নির্দেশ অনেক জায়গাতেই মানা হয়নি। রাত বাড়তেই কলকাতার আকাশে শুরু হয় শধবাজির তাণ্ডব। সোমবার রাতে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে শহরের একাধিক এলাকায় বাজির বিকট আওয়াজ শোনা যায়। সল্টলেক, বেলগাছিয়া, গড়িয়া, নিউটাউন, টালিগঞ্জ, বিভিন্ন এলাকা থেকে শধবাজি ফাটানোর অভিযোগ ওঠে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, রাত ৯টার সময় বালিগঞ্জে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৮৫, বিধাননগরে ৭৭, ফোর্ট উইলিয়ামে ৭৩, যাদবপুরে ১০৬ এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কাছে ১৪০। কিন্তু রাত ১১টা নাগাদ সেই সংখ্যাগুলি আরও বেড়ে যায়. বালিগঞ্জে একিউআই পৌঁছয় ১০৪, বিধাননগরে ৯৮, ফোর্ট উইলিয়ামে ৭৬, যাদবপুরে ১২৪, আর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংলগ্ন এলাকায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৩।
তবে স্বস্তির খবর এটাই যে দীপাবলির আগে থেকে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, এদিন নিষিদ্ধ শধবাজি ফাটানোর অভিযোগে মোট ১৮৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইন ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৫১ জনকে।জুয়া খেলার অভিযোগে গ্রেফতারের সংখ্যা ৬। মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ৬৪০। এছাড়াও বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোট ৮৫২ কেজি নিষিদ্ধ বাজি। এছাড়াও ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গের অপরাধে ৮৮২টি মামলা দায়ের হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৬৮ লিটার অবৈধ মদ। অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে বলেই এদিন জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।