২৪ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগে-ভাগেই মুকুল– চলতি বছরে আমের অধিক ফলনের আশা করছে মালদা ও মুর্শিদাবাদের চাষিরা

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 99

সুবিদ আবদুল্লাহ্: মাঘের শেষেই মুকুল এসেছে আম গাছে। এ বছর আমের বেশি ফলনের আশা করছে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার চাষিরা।

রাজ্যের রসাল ফল আম উৎপাদনের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলা। এই দুই জেলার আম ভিন্ রাজ্য ছাড়াও বিদেশে রপ্তানী হয়। উল্লেখ্য– গত বছর মুর্শিদাবাদের নবাবী শহরের কোহিতুর আম রাজধানী দিল্লির বাজারে বিক্রি হয়েছে আড়াই হাজার টাকা কেজিতে। এ বছর সেই কোহিতুর আমের গাছেও মুকুল এসেছে ঠিক সময়ে। যারজেরে চাষিরাও খুব খুশি– করছে লাভের আশা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি তকমা দিয়ে দিল্লি থেকে তাড়ানো, মুর্শিদাবাদের বাড়ি ফিরেই হৃদরোগে মৃত্যু বাংলার শ্রমিক সন্তোষ দাসের

কথা হচ্ছিল করম আলির সঙ্গে। মুর্শিদাবাদের নবাবী শহরের অদূরে তাঁর ৫০ বিঘা আম বাগান। গোলাপখাস– মোহনভোগ– সাদুল্লাহ্ আমের সঙ্গে রয়েছে কয়েকটি কোহিতুর গাছও। করম আলি জানান– গত বছর কল্যাণী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আম মেলাতে কোহিতুর সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। যে আমের সবটাই গিয়েছিল দিল্লি। এ বছরও ভালো দামের আশা করছেন তিনি।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের পর বাংলা, দেওয়ালিতে কার্বাইড গান ব্যবহার, মালদহে চোখ হারাতে বসেছে নয়জন শিশু-কিশোর

এদিকে মাঘের শেষে বৃষ্টির ফলে সুবিধা হয়েছিল আম গাছ পরিচর্যায়। বৃষ্টির জলে গাছের বৃন্ত ধুয়ে যাবার ফলে ঠিক সময় মুকুল আসার সম্ভাবনা ছিল। সদ্য প্রস্ফুটিত পুঞ্জিত মুকুলে কীটনাশক ও হরমোন স্প্রে  করতে করতে চাষি আলিফ হোসেন জানালেন– এবার আশা করছি ফলন ভালো হবে। তবে– ল্যাংড়া– লখনৌ– গোপলভোগ গাছে মুকুল  এলেও ফজলি ও আশ্বিনা গাছে এখনও মুকুল আসেনি। যদিও এই মুকুল দেরিতে আসে এবং আমও পাকে আশ্বিনের শেষের দিকে।

আরও পড়ুন: Migrant worker: অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়ে রহস্যমৃত্যু মুর্শিদাবাদের বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের

যদিও মুর্শিদাবাদ কৃষি উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গেছে– এ বছর কত হেক্টর জমি আম ফলনের আওতায় আসছে তার সার্ভে শুরু হবে শীঘ্রই। এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার নবাবী আমলের আমের  গবেষক ফারুক আবদুল্লাহ্ জানালেন– ফলন ভালো হলেও চাষিদের দাম পাওয়া নিয়ে সমস্যা হবে। মালদা– মুর্শিদাবাদ জেলায় যতদিন না আম সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে ওঠে ততদিন চাষিদের চিন্তা থাকবেই।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আগে-ভাগেই মুকুল– চলতি বছরে আমের অধিক ফলনের আশা করছে মালদা ও মুর্শিদাবাদের চাষিরা

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার

সুবিদ আবদুল্লাহ্: মাঘের শেষেই মুকুল এসেছে আম গাছে। এ বছর আমের বেশি ফলনের আশা করছে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার চাষিরা।

রাজ্যের রসাল ফল আম উৎপাদনের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলা। এই দুই জেলার আম ভিন্ রাজ্য ছাড়াও বিদেশে রপ্তানী হয়। উল্লেখ্য– গত বছর মুর্শিদাবাদের নবাবী শহরের কোহিতুর আম রাজধানী দিল্লির বাজারে বিক্রি হয়েছে আড়াই হাজার টাকা কেজিতে। এ বছর সেই কোহিতুর আমের গাছেও মুকুল এসেছে ঠিক সময়ে। যারজেরে চাষিরাও খুব খুশি– করছে লাভের আশা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি তকমা দিয়ে দিল্লি থেকে তাড়ানো, মুর্শিদাবাদের বাড়ি ফিরেই হৃদরোগে মৃত্যু বাংলার শ্রমিক সন্তোষ দাসের

কথা হচ্ছিল করম আলির সঙ্গে। মুর্শিদাবাদের নবাবী শহরের অদূরে তাঁর ৫০ বিঘা আম বাগান। গোলাপখাস– মোহনভোগ– সাদুল্লাহ্ আমের সঙ্গে রয়েছে কয়েকটি কোহিতুর গাছও। করম আলি জানান– গত বছর কল্যাণী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আম মেলাতে কোহিতুর সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। যে আমের সবটাই গিয়েছিল দিল্লি। এ বছরও ভালো দামের আশা করছেন তিনি।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের পর বাংলা, দেওয়ালিতে কার্বাইড গান ব্যবহার, মালদহে চোখ হারাতে বসেছে নয়জন শিশু-কিশোর

এদিকে মাঘের শেষে বৃষ্টির ফলে সুবিধা হয়েছিল আম গাছ পরিচর্যায়। বৃষ্টির জলে গাছের বৃন্ত ধুয়ে যাবার ফলে ঠিক সময় মুকুল আসার সম্ভাবনা ছিল। সদ্য প্রস্ফুটিত পুঞ্জিত মুকুলে কীটনাশক ও হরমোন স্প্রে  করতে করতে চাষি আলিফ হোসেন জানালেন– এবার আশা করছি ফলন ভালো হবে। তবে– ল্যাংড়া– লখনৌ– গোপলভোগ গাছে মুকুল  এলেও ফজলি ও আশ্বিনা গাছে এখনও মুকুল আসেনি। যদিও এই মুকুল দেরিতে আসে এবং আমও পাকে আশ্বিনের শেষের দিকে।

আরও পড়ুন: Migrant worker: অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়ে রহস্যমৃত্যু মুর্শিদাবাদের বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের

যদিও মুর্শিদাবাদ কৃষি উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গেছে– এ বছর কত হেক্টর জমি আম ফলনের আওতায় আসছে তার সার্ভে শুরু হবে শীঘ্রই। এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার নবাবী আমলের আমের  গবেষক ফারুক আবদুল্লাহ্ জানালেন– ফলন ভালো হলেও চাষিদের দাম পাওয়া নিয়ে সমস্যা হবে। মালদা– মুর্শিদাবাদ জেলায় যতদিন না আম সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে ওঠে ততদিন চাষিদের চিন্তা থাকবেই।