২৬-এর ভোটের আগে বাঙালি আবেগে জোর, বিজেপিকে তীব্র আক্রমণে মমতা-অভিষেক এক মঞ্চে

- আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার
- / 37
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে ফের বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিনরাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাফ বলেছেন, বিজেপি আসলে বঙ্গবাসী-বঙ্গভাষী বিরোধী। এবার কলকাতার ধর্মতলার মঞ্চে একযোগে পথে নামতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই জনসমাবেশে দাঁড়িয়ে মমতা বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে নজর রাখছি। প্রতিদিন আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে, আমাদের দেখতে হচ্ছে। ভারত সরকার ও বিজেপির আচরণে আমি অত্যন্ত দুঃখিত, লজ্জিত ও ব্যথিত।’’
এরপরই তৃণমূল নেত্রী বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের নোটিফিকেশন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। মমতা বলেন, ‘‘একটা প্রবাদ আছে— বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়, শাড়ির চেয়ে গামছা, মন্ত্রীর চেয়ে আমলা বড়, নেতার চেয়ে চামচা! ভারত সরকার একটা নোটিফিকেশন জারি করেছে, আমরা সেটা চ্যালেঞ্জ করব।’’
মমতার অভিযোগ, বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার এই বিজ্ঞপ্তি গোপনে প্রকাশ করেছে এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে তা পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘ওই নোটিফিকেশন লুকিয়ে লুকিয়ে করেছে ওরা। তাতে বলা হয়েছে, যাকেই বাংলা ভাষায় কথা বলতে দেখা যাবে, সন্দেহ হলেই তাকে গ্রেফতার করে ডিটেনশন ক্যাম্পে (হোল্ডিং এরিয়া) পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি কেউ আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতেও গেলে রেহাই নেই!’’
ধর্মতলার মঞ্চ থেকে আরও আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমরা সবাইকে সম্মান করি। কিন্তু বাঙালিদের ওপর অত্যাচার হলে ছেড়ে কথা বলব না। দিল্লিওয়ালারা কী ভাবছেন— দেশের জমিদারি নিয়েছেন? যাকে ইচ্ছে জেলা বদলি করে দেবেন? বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা বলে দাগিয়ে দেবেন? এটা হতে দেওয়া হবে না।’’
বঙ্গ রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের আগে বাঙালি স্বার্থ ও বাঙালি পরিচয় রক্ষার এই আবেগই তৃণমূলের অন্যতম বড় অস্ত্র হতে চলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।