পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : প্রজ্বল রেভান্না ‘সেক্স স্ক্যান্ডাল’ কাণ্ডে ঘুরিয়ে কর্নাটক সরকারের ঘাড়েই দোষ চাপিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রেভান্নাকে নিয়ে মোদি বলেন, ‘এই ধরনের মানুষের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া উচিত। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের সরকারের।’
একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রেভান্নার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল মোদিকে। কর্নাটক সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বাংলাকেও আক্রমণ করতে ছাড়লেন না মোদি। সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের ঘটনা যদি বাংলাতে ঘটত, তাহলে সেই রাজ্যের সরকারকে দায়িত্ব নিতে হত। সেইভাবে গুজরাতে একই ধরনের ঘটনা ঘটলে সেই রাজ্যের সরকার দায়িত্ব নিত। তাই কর্নাটকে এই ঘটনা ঘটেছে, তাই সেই রাজ্যের সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
রেভান্নার ঘটনায় মোদি বলেন, এই ধরনের ঘটনায় বিজেপি, সংবিধান জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। মোদির আরও মন্তব্য, রেভান্নার ভিডিয়োগুলি নিশ্চয়ই একদিনে রেকর্ড করা হয়নি, সেগুলি সম্ভবত জেডি(এস) কংগ্রেসের সঙ্গে যখন জোটে ছিল, সেই সময়ের শ্যুট করা।
উল্লেখ্য, ভোটের আবহে কর্নাটকের রাজনীতি সরগরম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার নাতি প্রজ্বল রেভান্নার সেক্স স্ক্যান্ডাল নিয়ে। রেভান্নার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ করেছেন তার বাড়ির পরিচারিকা সমেত তার দলের রাজনৈতিক মহিলা কর্মীরা। খুনের ভয় দেখিয়ে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরে বিদেশে পলাতক রেভান্না। নাম জড়িয়েছে তার বাবা এইচডি রেভান্নার, গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
এদিকে লোকসভা ভোটের আগেই রেভান্না কাণ্ড সামনে আসায় প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি সরকার। কারণ ২০২৩ সালে রেভান্নার সেক্স ভিডিয়ো সামনে আসার পরেও জেডি(এস)এর সঙ্গে জোট করে বিজেপি। তার পর থেকেই বিরোধীদের কটাক্ষ সব জেনে শুনে কেন জেডি(এস)-এর সঙ্গে জোট করল বিজেপি। প্রজ্বলের গুণকীর্তি সম্পর্কে জানার পরেও কেন তার মতো একজন নারীশোষণকারিকে হাসান থেকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার টিকিট দেওয়া হল। কিভাবে ঘটনার পরে কূটনৈতিক ভিসায় রেভান্না দেশ থেকে পালাতে পারল? অভিযোগ, এই সমস্ত কিছুতেই মদদ রয়েছে কেন্দ্র সরকারের, অথচ সব জেনে শুনেও নিশ্চুপ মোদি সরকার। এদিকে কর্নাটক সরকার সিট গঠন করে প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।