ছাড় নয়, বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ বিক্রিতে শর্ত আদানির

- আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার
- / 22
ঢাকা: বাংলাদেশের বিদ্যুতের জন্য ছাড় দিতে নারাজ ভারতের আদানি গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে তাদের সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। কিন্তু কোনও বাড়তি ছাড় বা কর ছাড়ের সুবিধা পাবে না ঢাকা। কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশকে পুরো ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে ভারতের আদানি পাওয়ার বলে খবর।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির আওতায় পরিচালিত ঝাড়খণ্ডের ২ বিলিয়ন ডলারের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত করে। এর মূল কারণ ছিল বাংলাদেশ সরকারের বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব। এরপর গত ১ নভেম্বর ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। শীতে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে। সে-কারণে বাংলাদেশও বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়।
কয়েকদিন আগেই গ্রীষ্মের কথা ভেবে আদানি গোষ্ঠীর থেকে ফের বিদ্যুৎ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকার। সেইসঙ্গে বাড়তি কর ছাড় এবং মোট বকেয়া অর্থে ছাড়ের অনুরোধ করেছিল ঢাকা। দাম কমিয়ে বিদ্যুৎ কিনতে ইচ্ছুক ছিল ইউনূস সরকার। তবে মুহাম্মদ ইউনূসের এই শর্তে সায় দেয়নি আদানি পাওয়ার। আগের দামেই ঝাড়খণ্ড প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে গৌতম আদানির মালিকানাধীন এই সংস্থা। বাংলাদেশ সরকার গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে যথাক্রমে ৯৭ মিলিয়ন ডলার ও ৮৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করলেও বিশাল পরিমাণ বকেয়ার তুলনায় এটি ছিল খুবই সামান্য। আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ১৭০.০৩ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র নিশ্চিত করা হয়নি এবং মোট ৮৪৬ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধও হয়নি।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন পেমেন্ট করছি। আমরা আরও অর্থ পরিশোধের চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্দেশ্য ওভারডিউ কমানো। এখন আদানি নিয়ে বড় কোনও সমস্যা নেই।’