২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক দেশ এক নির্বাচন: রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করে একদিনে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের সুপারিশ কোবিন্দদের

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার
  • / 31

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এক দেশ এক নির্বাচন অর্থাৎ একদিনে লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন করানোর কথা প্রথম বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর থেকে এই ভাবনা বাস্তবায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিরোধী দল ও রাজ্যগুলির মতামতকে তোয়াক্কা না করে এক দেশ এক নির্বাচনের জন্যে কমিটিও গঠন করে সরকার। তার শীর্ষে বসানো হয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। বৃহস্পতিবার এই কমিটি তাদের ১৮ হাজার পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে।

রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন রামনাথ কোবিন্দ, অমিত শাহ, গুলাম নবী আজাদ সহ কমিটির অন্যানরা।

আরও পড়ুন: গণতন্ত্র অনেক সুদৃঢ় হবে: এক দেশ-এক নির্বাচনের পক্ষে জোর সওয়াল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

যেমনটা ভাবা হয়েছিল, ঠিক তেমনই সুপারিশ করেছেন কোবিন্দ ও তাঁর টিম। একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানোর কথা বলেছেন তারা। আর তার ১০০ দিনের মধ্যে একযোগে পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির মত, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একত্রে করার জন্য একটি কমন ভোটার তালিকা ও ভোটার আই কার্ড ইস্যু করতে হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে। আর পঞ্চায়েত ও বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বেশ কিছু সংশোধনের সুপারিশও করা হয়েছে। যে সংশোধনে রাজ্যগুলির অনুমতির প্রয়োজন হবে না।

আরও পড়ুন: ‘ভারতে এটা চলতে পারে না’, এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে প্যানেলকে উত্তর কংগ্রেসের

একদিনে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের আয়োজন প্রসঙ্গে তাদের যুক্তি, এতে খচর বাঁচবে। পরে সেই টাকা জনকল্যাণে ব্যবহার করতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলি।

আরও পড়ুন: ‘প্রস্তাব মেনে নিতে পারছি না’, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে তীব্র আপত্তি মমতার

কমিটির মতে, বারবার নির্বাচন হলে দফায় দফায় আদর্শ আচরণবিধী চালু করতে হয়। সেই সময় সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হয়। তাছাড়া বারেবারে সরকারি কর্মীদের ভোটের কাজে নিয়োগ করলে তখনও সরকারি কাজকর্ম ব্যহত হয়। কোবিন্দ ও তাঁর কমিটি যে মোদি সরকারের মতামতকে লিখিত আকারে জমা দেবে, তার আশঙ্কা আগেই করেছিল বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত হলও তাই। লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ জানালো মোদি সরকার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এক দেশ এক নির্বাচন: রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করে একদিনে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের সুপারিশ কোবিন্দদের

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: এক দেশ এক নির্বাচন অর্থাৎ একদিনে লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন করানোর কথা প্রথম বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর থেকে এই ভাবনা বাস্তবায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিরোধী দল ও রাজ্যগুলির মতামতকে তোয়াক্কা না করে এক দেশ এক নির্বাচনের জন্যে কমিটিও গঠন করে সরকার। তার শীর্ষে বসানো হয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। বৃহস্পতিবার এই কমিটি তাদের ১৮ হাজার পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে।

রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন রামনাথ কোবিন্দ, অমিত শাহ, গুলাম নবী আজাদ সহ কমিটির অন্যানরা।

আরও পড়ুন: গণতন্ত্র অনেক সুদৃঢ় হবে: এক দেশ-এক নির্বাচনের পক্ষে জোর সওয়াল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

যেমনটা ভাবা হয়েছিল, ঠিক তেমনই সুপারিশ করেছেন কোবিন্দ ও তাঁর টিম। একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানোর কথা বলেছেন তারা। আর তার ১০০ দিনের মধ্যে একযোগে পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচন আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির মত, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একত্রে করার জন্য একটি কমন ভোটার তালিকা ও ভোটার আই কার্ড ইস্যু করতে হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে। আর পঞ্চায়েত ও বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বেশ কিছু সংশোধনের সুপারিশও করা হয়েছে। যে সংশোধনে রাজ্যগুলির অনুমতির প্রয়োজন হবে না।

আরও পড়ুন: ‘ভারতে এটা চলতে পারে না’, এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে প্যানেলকে উত্তর কংগ্রেসের

একদিনে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের আয়োজন প্রসঙ্গে তাদের যুক্তি, এতে খচর বাঁচবে। পরে সেই টাকা জনকল্যাণে ব্যবহার করতে পারবে রাজনৈতিক দলগুলি।

আরও পড়ুন: ‘প্রস্তাব মেনে নিতে পারছি না’, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে তীব্র আপত্তি মমতার

কমিটির মতে, বারবার নির্বাচন হলে দফায় দফায় আদর্শ আচরণবিধী চালু করতে হয়। সেই সময় সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হয়। তাছাড়া বারেবারে সরকারি কর্মীদের ভোটের কাজে নিয়োগ করলে তখনও সরকারি কাজকর্ম ব্যহত হয়। কোবিন্দ ও তাঁর কমিটি যে মোদি সরকারের মতামতকে লিখিত আকারে জমা দেবে, তার আশঙ্কা আগেই করেছিল বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত হলও তাই। লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ জানালো মোদি সরকার।