বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে গণবিবাহের সময় কনেদের প্রেগনেন্সি টেস্ট! ‘অপমান করা হয়েছে গরিব মানুষকে’, সরব কংগ্রেস

- আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার
- / 11
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গণবিবাহের সময় কনেদের গর্ভাবস্থার পরীক্ষা করানো হল মধ্যপ্রদেশে। এই ঘটনায় মেয়েদের অপমান করা হয়েছে বলে সরব হয়েছে কংগ্রেস। তবে গর্ভাবস্থার পরীক্ষায় বেশ কয়েকজনের পরীক্ষার ফল ইতিবাচক এসেছে বলে জানা গেছে। বাতিল হয়েছে তাদের বিয়ে। এই ঘটনায় চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রদেশে।
বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান গণবিবাহ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এই প্রকল্পে বিবাহে ইচ্ছুক অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির তরুণ-তরুণীদের একছাতার তলায় এনে বিয়ের জন্য আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের সমস্ত খরচ করা হয় সরকারের তরফে। শনিবার ২১৯ জন কনের মধ্যে ৫ জনের বিয়ে বাতিল করা হয়েছে। কারণ তাঁদের প্রেগনেন্সি রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী ‘কন্যা বিবাহ/নিকাহ স্কিম’-এর প্রকল্পে এই গণবিবাহের আসর আয়োজিত হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরির গড়সরাই এলাকায়। সেখানে বিয়ের আগেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয়। পাঁচজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যাঁদের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তাঁদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, তিনি বিয়ের আগে থেকেই তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। সেই কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তার জন্য যে আলাদা করে পরীক্ষা করা হবে, বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে, ভাবতে পারেননি কেউ। তবে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা স্পষ্ট করে এই বিষয়ে কিছু জানাননি।
রাজ্য কংগ্রেস প্রধান কমলনাথ এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি মিডিয়া রিপোর্ট উদ্ধৃতি করে দাবি করেছেন যে, অনুষ্ঠানে ২০০’র বেশি মহিলাকে গর্ভাবস্থার পরীক্ষা করানো হয়েছিল। ট্যুইট করে কমল নাথ লেখেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই এই খবর সত্যি কিনা। এই খবর যদি সত্যি হয়, তাহলে কার নির্দেশে মধ্যপ্রদেশের মেয়েদের এমন অপমান করা হল? মুখ্যমন্ত্রীর চোখে কি দরিদ্র ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের কন্যাদের কোনও মর্যাদা নেই? শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের অধীনে মধ্যপ্রদেশ মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে’।
স্থানীয় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বলেছেন, ‘‘অতীতে কখনও এ ভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। এটা মহিলাদের অপমান। যাঁদের বিয়ে বাতিল হল, তাঁরা এখন কী করবেন, কোথায় যাবেন?’’
ডিন্ডোরী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত কনেদের বয়স যাচাই করতে এবং রক্তাল্পতা বা অন্য কোনও অসুস্থতা আছে কি না, তা জানতে পরীক্ষা করা হয়। অন্তঃসত্ত্বার পরীক্ষা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয়েছে। ওই মহিলাদের বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ যোজনা’-এর অধীনে, রাজ্য সরকার যোগ্য দম্পতিদের আর্থিক সহায়তা হিসাবে ৫৬,০০০ টাকা প্রদান করে। প্রকল্পটি ২০০৬ সালে চালু হয়েছিল