২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রক্তের অভাবে নাজেহাল সাগরদিঘি! সন্ধ্যের পরেও ব্লাড সেন্টার খোলা রাখার দাবি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 136

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন কমবেশি হয়েই থাকে। কিন্তু সব ব্লাড সেন্টার প্রয়োজনের তুলনায় ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে না। ফলে চূড়ান্ত হয়রানির ও ভোগান্তির মুখে পড়েন রোগীর পরিবার-পরিজনরা। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকছে মুর্শিদাবাদ জেলা।

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এই জেলার এক অন্যতম ব্লাড ব্যাঙ্ক। প্রতিদিনই এই ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্তের সরবরাহ করা হয়। সাগরদিঘী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মুমূর্ষু রোগী থেকে শুরু করে বহু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রতিনিয়তই রক্তের আদান-প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ হিংসা: নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি মানবাধিকার সংগঠনের

 

আরও পড়ুন: কৃত্রিম রক্ত তৈরি করলেন জাপানি বিজ্ঞানীরা

তবে একটা সময়ের পর আর এই সেবা পাওয়া যায়না। যে খানে এই ব্লাড সেন্টারে একটা বড় অংশের রক্তের যোগান আসে নানান স্বেচ্ছা সেবক সংস্থা থেকে। সেখানেই সন্ধ্যা বা রাতের পর রক্ত পাওয়ার জন্য তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রক্তের অভাবে অনেক সময় অনেক রোগীদের জীবন বিপন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: শিন্ডের জায়গা নেবেন অজিত! দাবি উদ্ধব শিবিরের

সেই সব কথা মাথায় রেখে , স্থানীয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকরা এমনকি রোগীদের পরিবার পরিজনরা দাবি জানান যে, যেহেতু সাগরদিঘী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রক্ত আদান-প্রদানের জন্য অন্যতম তাই এটি যেনও ২৪ ঘণ্টায় খোলা থাকে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতের বেলা রক্তের জোগান না পাওয়ায়, রোগীদের জীবন বাঁচাতে, তাদের পরিবারকে বাধ্য হয়ে ছুটতে হয় জঙ্গিপুর বা বহরমপুর হাসপাতালে। এই অবস্থায় নাজেহাল হয়ে পড়ে রোগীর আত্মীয় বা স্বেচ্ছা সেবক সংস্থারা। এই সমস্যার সম্মুখীন আর যদি না হতে হয় তাই মঙ্গলবার সাগরদিঘী সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে একটা আবেদন পত্র জমা দেয় তারা।

 

তাঁদের দাবি অনুযায়ী, এই সমস্ত ব্লাড সেন্টার ২৪*৭ খোলা থাকে। তাহলে রক্তের জন্য আর কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না কাউকে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রক্তের অভাবে নাজেহাল সাগরদিঘি! সন্ধ্যের পরেও ব্লাড সেন্টার খোলা রাখার দাবি

আপডেট : ২১ জুন ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন কমবেশি হয়েই থাকে। কিন্তু সব ব্লাড সেন্টার প্রয়োজনের তুলনায় ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে না। ফলে চূড়ান্ত হয়রানির ও ভোগান্তির মুখে পড়েন রোগীর পরিবার-পরিজনরা। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকছে মুর্শিদাবাদ জেলা।

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এই জেলার এক অন্যতম ব্লাড ব্যাঙ্ক। প্রতিদিনই এই ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্তের সরবরাহ করা হয়। সাগরদিঘী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে মুমূর্ষু রোগী থেকে শুরু করে বহু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রতিনিয়তই রক্তের আদান-প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ হিংসা: নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি মানবাধিকার সংগঠনের

 

আরও পড়ুন: কৃত্রিম রক্ত তৈরি করলেন জাপানি বিজ্ঞানীরা

তবে একটা সময়ের পর আর এই সেবা পাওয়া যায়না। যে খানে এই ব্লাড সেন্টারে একটা বড় অংশের রক্তের যোগান আসে নানান স্বেচ্ছা সেবক সংস্থা থেকে। সেখানেই সন্ধ্যা বা রাতের পর রক্ত পাওয়ার জন্য তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রক্তের অভাবে অনেক সময় অনেক রোগীদের জীবন বিপন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: শিন্ডের জায়গা নেবেন অজিত! দাবি উদ্ধব শিবিরের

সেই সব কথা মাথায় রেখে , স্থানীয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকরা এমনকি রোগীদের পরিবার পরিজনরা দাবি জানান যে, যেহেতু সাগরদিঘী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রক্ত আদান-প্রদানের জন্য অন্যতম তাই এটি যেনও ২৪ ঘণ্টায় খোলা থাকে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতের বেলা রক্তের জোগান না পাওয়ায়, রোগীদের জীবন বাঁচাতে, তাদের পরিবারকে বাধ্য হয়ে ছুটতে হয় জঙ্গিপুর বা বহরমপুর হাসপাতালে। এই অবস্থায় নাজেহাল হয়ে পড়ে রোগীর আত্মীয় বা স্বেচ্ছা সেবক সংস্থারা। এই সমস্যার সম্মুখীন আর যদি না হতে হয় তাই মঙ্গলবার সাগরদিঘী সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে একটা আবেদন পত্র জমা দেয় তারা।

 

তাঁদের দাবি অনুযায়ী, এই সমস্ত ব্লাড সেন্টার ২৪*৭ খোলা থাকে। তাহলে রক্তের জন্য আর কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না কাউকে।