প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন

- আপডেট : ২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 749
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: তীব্র দাবদহের মধ্যেই আবার ধেয়ে আসছে প্রবল দুর্যোগ।প্রতিদিন বঙ্গোপসাগরের রূপ বদলাচ্ছে। উপকূল এলাকাগুলিতে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সেসব দেখেই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।আয়লা, ফণী,আমফান,যশ-এর মতন ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াল স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়ায় সুন্দরবনের উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের।
আবারও কি একটা ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসবে? আর সেই আতঙ্কই এখন তাড়া করছে সুন্দরবনের উপকূলের বেশিরভাগ বাসিন্দাদের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনও কাজ শুরু করে দিয়েছে। ফ্লাড সেন্টারগুলি খোলা হচ্ছে। শুরু হয়েছে সচেতনামূলক প্রচার। এই মরসুমে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। তারপরও যাতে কেউ দুর্যোগের সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে না যান, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের থেকে সেই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকার ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। সাগর ব্লক প্রশাসনের তরফে সমুদ্র সৈকতে চলছে পর্যটকদের সতর্ক করার জন্য মাইকিং প্রচার।মাইকিং চলছে ঝড়খালি কোস্টাল, গোসাবা, কুলতলি,মৈপীঠ কোস্টাল, সুন্দরবন কোস্টাল, রায়দীঘি, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর উপকূলবর্তী এলাকায়।দুর্যোগ হলে রাজ্যের সুন্দরবন এলাকায় যথেষ্ঠ প্রভাব পড়ে। সেজন্যই এবার আরও সতর্ক প্রশাসন।কপিলমুণির আশ্রম দর্শনে প্রতিদিনই জনসমাগম হয়। শুধু তাই নয়, বহু পর্যটকও রয়েছেন সুন্দরবন এলাকায়। আগাম সতর্কতা হিসেবে কপিলমুণির আশ্রম এলাকাতেও প্রচার শুরু হয়েছে। পর্যটকরা যাতে এখন কোনও ভাবে সমুদ্রে না নামেন, সেই বার্তা ও দেওয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে যে সমস্ত এলাকায় নদীবাঁধ দুর্বল রয়েছে, দুর্যোগের সময় ওই এলাকার মানুষজনকে সরিয়ে স্কুল, ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে।শুকনো খাবারও মজুত করা শুরু হয়েছে। সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রাও বলেন, ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে সমস্ত বিভাগকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।তিনি এও বলেন, ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনদের নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকার বেশ কিছু ফ্লাড সেন্টার ও স্কুলগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলিকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় সব রকমের প্রস্তুতি সেরে রাখছেন।