০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কারণে রাত ১২ টার পর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ অক্টোবর ২০২২, রবিবার
  • / 12

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের রাত জেগে ইন্টারনেটের ব্যবহার থামাতে রাত ১২ টার পর থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া উচিত, এমনটাই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। উদ্দ্যেশ্য একটা, জাতিকে মেধাশূন্য হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা।

 

উল্লেখ্য, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় এমন মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক।

 

তিনি এদিন আরও বলেন, এখনকার শিক্ষার্থীরা যে ভাবে পড়াশোনাকে অবহেলা করে মোবাইলে মনোনিবেশ করে, সেটি সত্যিই আশঙ্কা জনক। এই প্রযুক্তির জন্য ভবিষ্যতে জাতি মেধাশূন্য হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তাই এদিন তিনি সরকারের কাছে রাত ১২ টার পর ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সুপারিশ করেন। তবে এটি সবার জন্য প্রযোজ্য হবে না। যাঁরা বৈদেশিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, বা বিদেশের সঙ্গে ব্যবসা–বাণিজ্য করেন, তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে পারে, এমনটাও জানান তিনি।

 

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে টেকনোলজি, বিশেষ করে মোবাইলের কারণে আমাদের সন্তানেরা রাত ১২টা, ১টা ও ২টা পর্যন্ত এগুলো নিয়েই পড়ে থাকে৷ আমাদের সময় আমরা যেভাবে লাইব্রেরিতে যেতাম, নানান রকমের অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এখন যেনো সেগুলোই বিলুপ্তপ্রায়। এমনকি লেখাপড়ার যে উদ্যোগ ছিল, এখন সেগুলো নেই৷ এগুলো সত্যই অ্যালরমিং।

 

তবে হ্যাঁ নিঃসন্দেহে যুগের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা খুবই প্রয়োজন। সময় এখন যে পর্যায়ে গেছে এখন নিশ্চয় কানেকটিভিটি বা টেকনোলজি প্রয়োজন। তবে সবকিছুর একটা মাত্রা থাকা দরকার। সেই মাত্রাটা সীমালঙ্ঘন করলেই বিপত্তি ঘটে।

 

যেমন আজকাল সামাজিক মাধ্যমের যা অপব্যবহার করা হয়, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়কাজ। এই প্ল্যাটফর্ম গুলোকে ব্যবহার করে যে ভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার চলে সেটি সত্যই ভয়ানক। এই বিষয় গুলি যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে দেশে সুস্থ রাজনীতি বা সুস্থ জীবন যাপন করা খুব কঠিন হয়ে যাবে।”

 

উল্লেখ্য, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাক্তন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ, ডুআ’র প্রাক্তন সভাপতি মঞ্জুরে এলাহী, প্রাক্তন মহাসচিব ড. ফরাস উদ্দিন ও রঞ্জন কর্মকার, সংবাদ মাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি সেলিমা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব মোলতা মোহাম্মদ আবু কাউসার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যে কারণে রাত ১২ টার পর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী!

আপডেট : ৯ অক্টোবর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের রাত জেগে ইন্টারনেটের ব্যবহার থামাতে রাত ১২ টার পর থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া উচিত, এমনটাই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। উদ্দ্যেশ্য একটা, জাতিকে মেধাশূন্য হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা।

 

উল্লেখ্য, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় এমন মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক।

 

তিনি এদিন আরও বলেন, এখনকার শিক্ষার্থীরা যে ভাবে পড়াশোনাকে অবহেলা করে মোবাইলে মনোনিবেশ করে, সেটি সত্যিই আশঙ্কা জনক। এই প্রযুক্তির জন্য ভবিষ্যতে জাতি মেধাশূন্য হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তাই এদিন তিনি সরকারের কাছে রাত ১২ টার পর ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সুপারিশ করেন। তবে এটি সবার জন্য প্রযোজ্য হবে না। যাঁরা বৈদেশিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, বা বিদেশের সঙ্গে ব্যবসা–বাণিজ্য করেন, তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকতে পারে, এমনটাও জানান তিনি।

 

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে টেকনোলজি, বিশেষ করে মোবাইলের কারণে আমাদের সন্তানেরা রাত ১২টা, ১টা ও ২টা পর্যন্ত এগুলো নিয়েই পড়ে থাকে৷ আমাদের সময় আমরা যেভাবে লাইব্রেরিতে যেতাম, নানান রকমের অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এখন যেনো সেগুলোই বিলুপ্তপ্রায়। এমনকি লেখাপড়ার যে উদ্যোগ ছিল, এখন সেগুলো নেই৷ এগুলো সত্যই অ্যালরমিং।

 

তবে হ্যাঁ নিঃসন্দেহে যুগের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা খুবই প্রয়োজন। সময় এখন যে পর্যায়ে গেছে এখন নিশ্চয় কানেকটিভিটি বা টেকনোলজি প্রয়োজন। তবে সবকিছুর একটা মাত্রা থাকা দরকার। সেই মাত্রাটা সীমালঙ্ঘন করলেই বিপত্তি ঘটে।

 

যেমন আজকাল সামাজিক মাধ্যমের যা অপব্যবহার করা হয়, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়কাজ। এই প্ল্যাটফর্ম গুলোকে ব্যবহার করে যে ভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার চলে সেটি সত্যই ভয়ানক। এই বিষয় গুলি যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে দেশে সুস্থ রাজনীতি বা সুস্থ জীবন যাপন করা খুব কঠিন হয়ে যাবে।”

 

উল্লেখ্য, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রাক্তন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ, ডুআ’র প্রাক্তন সভাপতি মঞ্জুরে এলাহী, প্রাক্তন মহাসচিব ড. ফরাস উদ্দিন ও রঞ্জন কর্মকার, সংবাদ মাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি সেলিমা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব মোলতা মোহাম্মদ আবু কাউসার।