০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিরলতম গ্রুপের রক্তে এসএসকেএমে প্রাণ পেলেন রোগিণী

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার
  • / 19

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বে  প্রতি  ১০ হাজার  জনের একজন হন বম্বে পজিটিভ গ্রুপের,  একলাখে একজন  বম্বে নেগেটিভ গ্রুপের। কেরল থেকে  কলকাতার এসএসকেম হাসপাতালে উড়িয়ে  নিয়ে আসা হল সেই রক্ত। প্রাণ  বাঁচল রোগীর।পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বে  প্রতি  ১০ হাজার  জনের একজন হন বম্বে পজিটিভ গ্রুপের,  একলাখে একজন  বম্বে নেগেটিভ গ্রুপের। কেরল থেকে  কলকাতার এসএসকেম হাসপাতালে উড়িয়ে  নিয়ে আসা হল সেই রক্ত। প্রাণ  বাঁচল রোগীর।

পূর্ব মেদিনীপুরের মানসুরা বিবির শরীরে ছিল এই বিরলতম রক্ত। হটাৎ করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অস্ত্রপচারের প্রয়োজন হয়। চিকিৎসকরা জানান রোগীকে দিতে হবে বম্বে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত। যা একেবারেই বিরলের মধ্যে বিরলতম।

আরও পড়ুন: প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পীর কেবিনে বসে সময় কাটালেন মমতা

শেষ পর্যন্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে  কেরল থেকে সন্ধান মেলে এই বিরলের মধ্যে বিরলতম রক্তের। কেরলের বন্দনা হাসপাতাল থেকে যোগাড় হয় রক্ত।

আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পিছু পিছু এসএসকেএম-এ পৌঁছল ইডি-ও

কিন্তু কেন বিরল এই গ্রুপের রক্ত, চিকিৎসকরা বলছেন মোট চারটি সাধারণ রক্তের গ্রুপ রয়েছে। এগুলি হল এ, বি, এবি এবং ও। এছাড়া যে দুর্লভ রক্তের গ্রুপটি, যা বম্বে ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত, তা বম্বে বা অধুনা মুম্বইয়ে আবিষ্কৃত হয়। ১৯৫২ সালে এ আবিষ্কার করেন ডাক্তার ওয়াই এম ভেন্ডে। প্রতিটি রক্তকোষের উপরিতলে অ্যান্টিজেন থাকে, যার মাধ্যমে রক্তের গ্রুপ কী, তা বোঝা যায়। বম্বে ব্লাড গ্রুপ, যা hh নামেও পরিচিত, তার লোহিতকণিকায় H অ্যান্টিজেন থাকে না। এবি ব্লাড গ্রুপে এ ও বি এই দুধরনের অ্যান্টিজেনই থাকে। এ গ্রুপের রক্তে থাকে এ অ্যান্টিজেন, বি গ্রুপে থাকে বি অ্যান্টিজেন। hh গ্রুপের রক্তে কোনও এ বা বি অ্যান্টিজেন থাকে না। ( ছবি সংগৃহীত)

আরও পড়ুন: ডাক্তারি পড়ুয়াদের জাতিগত শংসাপত্র তলব করলো হাইকোর্ট

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিরলতম গ্রুপের রক্তে এসএসকেএমে প্রাণ পেলেন রোগিণী

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বে  প্রতি  ১০ হাজার  জনের একজন হন বম্বে পজিটিভ গ্রুপের,  একলাখে একজন  বম্বে নেগেটিভ গ্রুপের। কেরল থেকে  কলকাতার এসএসকেম হাসপাতালে উড়িয়ে  নিয়ে আসা হল সেই রক্ত। প্রাণ  বাঁচল রোগীর।পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বে  প্রতি  ১০ হাজার  জনের একজন হন বম্বে পজিটিভ গ্রুপের,  একলাখে একজন  বম্বে নেগেটিভ গ্রুপের। কেরল থেকে  কলকাতার এসএসকেম হাসপাতালে উড়িয়ে  নিয়ে আসা হল সেই রক্ত। প্রাণ  বাঁচল রোগীর।

পূর্ব মেদিনীপুরের মানসুরা বিবির শরীরে ছিল এই বিরলতম রক্ত। হটাৎ করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অস্ত্রপচারের প্রয়োজন হয়। চিকিৎসকরা জানান রোগীকে দিতে হবে বম্বে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত। যা একেবারেই বিরলের মধ্যে বিরলতম।

আরও পড়ুন: প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পীর কেবিনে বসে সময় কাটালেন মমতা

শেষ পর্যন্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে  কেরল থেকে সন্ধান মেলে এই বিরলের মধ্যে বিরলতম রক্তের। কেরলের বন্দনা হাসপাতাল থেকে যোগাড় হয় রক্ত।

আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পিছু পিছু এসএসকেএম-এ পৌঁছল ইডি-ও

কিন্তু কেন বিরল এই গ্রুপের রক্ত, চিকিৎসকরা বলছেন মোট চারটি সাধারণ রক্তের গ্রুপ রয়েছে। এগুলি হল এ, বি, এবি এবং ও। এছাড়া যে দুর্লভ রক্তের গ্রুপটি, যা বম্বে ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত, তা বম্বে বা অধুনা মুম্বইয়ে আবিষ্কৃত হয়। ১৯৫২ সালে এ আবিষ্কার করেন ডাক্তার ওয়াই এম ভেন্ডে। প্রতিটি রক্তকোষের উপরিতলে অ্যান্টিজেন থাকে, যার মাধ্যমে রক্তের গ্রুপ কী, তা বোঝা যায়। বম্বে ব্লাড গ্রুপ, যা hh নামেও পরিচিত, তার লোহিতকণিকায় H অ্যান্টিজেন থাকে না। এবি ব্লাড গ্রুপে এ ও বি এই দুধরনের অ্যান্টিজেনই থাকে। এ গ্রুপের রক্তে থাকে এ অ্যান্টিজেন, বি গ্রুপে থাকে বি অ্যান্টিজেন। hh গ্রুপের রক্তে কোনও এ বা বি অ্যান্টিজেন থাকে না। ( ছবি সংগৃহীত)

আরও পড়ুন: ডাক্তারি পড়ুয়াদের জাতিগত শংসাপত্র তলব করলো হাইকোর্ট