২০ নভেম্বর থেকে বাড়ছে পাউরুটির দাম

- আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২২, রবিবার
- / 35
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আগামী ২০ নভেম্বর রবিবার থেকে রাজ্যে বাড়ছে পাউরুটির দাম। পশ্চিমবঙ্গ বেকারি মালিকদের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সম্পাদক তথা ভগবানগোলার বিধানসভার বিধায়ক ইদ্রিশ আলি এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন।
এদিন তিনি বলেন, ২০ নভেম্বর থেকে ৪০০ গ্রাম পাউরুটির দাম ৪ টাকা বাড়বে। ২০০ গ্রাম পাউরুটির দাম ২ টাকা এবং ১০০ গ্রাম পাউরুটির দাম ১ টাকা বাড়বে। অর্থাৎ আগে ৪০০ গ্রাম পাউরুটির দাম ছিল ২৮ টাকা তা বেড়ে হবে ৩২ টাকা। ২০০ গ্রাম পাউরুটির দাম ছিল ১৪ টাকা। তা বেড়ে হবে ১৬ টাকা। এবং ১০০ গ্রাম পাউরুটির দাম ছিল ৭.৫০ টাকা তা বেড়ে হবে ৮.৫০ টাকা। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সম্পাদক ইদ্রিশ আলি বলেন, ২০ নভেম্বরের আগে কোনও মতেই পাউরুটির দাম বাড়ানো যাবে না।
কেউ যদি তার আগে দাম বাড়িয়ে দেয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাউরুটির দাম বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে পাউরুটি তৈরির যে কাঁচামাল তার অত্যাধিক দাম বৃদ্ধি হয়েছে। বাধ্য হয়ে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, চিনি, ঘি সহ আরও অন্যান্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বিশেষ করে ময়দার দাম ক্যুইন্টালে ৬০০ টাকা দাম বেড়েছে।
তাই বেকারি শিল্প বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি। জনাব ইদ্রিশ আলি বলেন, গত এক বছরে পাউরুটির দাম বাড়েনি। ২০১৮ সালের পর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দাম বেড়েছিল । আর এ বছর বাড়ছে। তিনি বলেন, গুজরাত, বিহার, ঝাড়খন্ড, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ প্রত্যেক রাজ্যের ৪০০ গ্রাম পাউরুটির দাম ৩৬ টাকা থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে এখনও ৩০ টাকার নিচে রয়েছে। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মানবিক হওয়ায় পাউরুটির দাম বাড়েনি।
পাউরুটির দাম বৃদ্ধিতে সমর্থন জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক সে’ ইসমাইল হোসেন। তিনি গত শনিবার জয়েন্ট অ্যাকসান কমিটির সম্পাদক ইদ্রিশ আলি সঙ্গে এক বৈঠক করে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। ইসমাইল হোসেন বলেন, পাউরুটি শিল্প বর্তমানে ধুঁকছে এই শিল্পকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই দাম বৃদ্ধির প্রয়োজন। তাই এই সিদ্ধান্তকে নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স কো-অডিনেশন কমিটি। জনাব ইসমাইল হোসেন বলেন, বর্তমান বাজারে পেট্রোল, ডিজেলসহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে। সেই তুলনায় বাড়েনি পাউরুটির দাম। তিনি বলেন,বেকারি শিল্পকে বাঁচাতে রাজ্যের সন্মানীয় ক্রেতারা এই দামকে মেনে নিবেন।
জনাব ইদ্রিশ আলি বলেন, কোনো বেকারি যদি কম দামে পাউরুটি দেয় তাহলে ক্রেতারা যেন অবশ্যই ওজন যাচাই করে নেন। কেননা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে কম দামে পাউরুটি ওজনে কম ছাড়া দিতে পারবে না। তাই ক্রেতাদের সর্তর্ক করেন তিনি।