০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ না মানায় কর্তৃপক্ষকে তলব রাজ্যের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 18

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ এডুকেশনে পিএইচডি’তে ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ না মানায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তলব করল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, ২০২১-’২২ শিক্ষাবর্ষের এডুকেশনের পিএইচডিতে ওবিসি-এ সংরক্ষণ মানেনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। এই নিয়ে তৎপর হয়েছে শিক্ষা দফতর। সংরক্ষণ নিয়ম কেন মানা হয়নি, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকারের জয়েন্ট কমিশনার ফর রিজারভেশন এন্ড এক্স-অফিসিও জয়েন্ট সেক্রেটারি এ. মুখোপাধ্যায়।

 

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে কমিশনার চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রামে সংরক্ষণ নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে তথ্য সহ অভিযোগ রাজ্য সরকারের জয়েন্ট কমিশনারকে জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষায় সংরক্ষণ আইন ২০১৩ এর ওবিসি-এ ক্যাটাগরি নিয়ম মানেনি। এই নিয়ে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। ওই দফতর আরও জানিয়েছে, সংরক্ষণ নিয়ম সঠিকভাবে কাযকর করার জন্য সমস্ত দফতরকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ নিয়ম অমান্য করতে পারে না বলে জানিয়েছে কমিশনার।

 

উল্লেখ্য, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনে পিএইচডিতে ওবিসি- ‘এ’ ১৯ জনের মধ্যে একজনকেও নেওয়া হয়নি। এই নিয়ে পুবের কলমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রিভিউ কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রিভিউ কমিটি গঠনের প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও একজন ওবিসি ‘এ’ প্রার্থীকে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য সুপারিশ করেনি ওই কমিটি। শুধু দু’মাসে একটি মিটিং, অন্যটি তিন মাস পর। এডুকেশন ছাড়াও গণিত সহ একাধিক বিভাগে ওবিসি ‘এ’-এর একজনকেও ভর্তি নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ একাধিকবার উঠে এসেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ছাত্রভর্তি এবং চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি উপেক্ষা করছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মানস কুমার স্যান্যালের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে অধ্যাপক নিয়োগেও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে।

 

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণে অনীহা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। অভিযোগের ভিত্তিতে নামমাত্র কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারণ তিন মাস কেটে যাওয়ার পরও সংরক্ষণ কোনওভাবে কার্যকর করা হয়নি। শুধু বৈঠকের পর বৈঠক করে সময় নষ্ট করে সেশনকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দূরশিক্ষা ও বিভিন্ন পদে চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ মানা হয়নি। বার বার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এদিকে পিএইচডি ভর্তিতে ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়।

 

 

বহু বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষণ মানলেও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তা মানছে না। এই নিয়ে ক্ষোভ বিশিষ্ট মহলেও। ভর্তির পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্রেও যাতে ওবিসি ‘এ’ প্রার্থীরা একশো শতাংশ রোস্টার মেনে সুযোগ পায়, তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কেন সংরক্ষণ নিয়ম মানছে না, তা জানতে চেয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ না মানায় কর্তৃপক্ষকে তলব রাজ্যের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ এডুকেশনে পিএইচডি’তে ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ না মানায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তলব করল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, ২০২১-’২২ শিক্ষাবর্ষের এডুকেশনের পিএইচডিতে ওবিসি-এ সংরক্ষণ মানেনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। এই নিয়ে তৎপর হয়েছে শিক্ষা দফতর। সংরক্ষণ নিয়ম কেন মানা হয়নি, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকারের জয়েন্ট কমিশনার ফর রিজারভেশন এন্ড এক্স-অফিসিও জয়েন্ট সেক্রেটারি এ. মুখোপাধ্যায়।

 

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে কমিশনার চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রামে সংরক্ষণ নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে তথ্য সহ অভিযোগ রাজ্য সরকারের জয়েন্ট কমিশনারকে জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষায় সংরক্ষণ আইন ২০১৩ এর ওবিসি-এ ক্যাটাগরি নিয়ম মানেনি। এই নিয়ে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। ওই দফতর আরও জানিয়েছে, সংরক্ষণ নিয়ম সঠিকভাবে কাযকর করার জন্য সমস্ত দফতরকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ নিয়ম অমান্য করতে পারে না বলে জানিয়েছে কমিশনার।

 

উল্লেখ্য, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনে পিএইচডিতে ওবিসি- ‘এ’ ১৯ জনের মধ্যে একজনকেও নেওয়া হয়নি। এই নিয়ে পুবের কলমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রিভিউ কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রিভিউ কমিটি গঠনের প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও একজন ওবিসি ‘এ’ প্রার্থীকে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য সুপারিশ করেনি ওই কমিটি। শুধু দু’মাসে একটি মিটিং, অন্যটি তিন মাস পর। এডুকেশন ছাড়াও গণিত সহ একাধিক বিভাগে ওবিসি ‘এ’-এর একজনকেও ভর্তি নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ একাধিকবার উঠে এসেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ছাত্রভর্তি এবং চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি উপেক্ষা করছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মানস কুমার স্যান্যালের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে অধ্যাপক নিয়োগেও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে।

 

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণে অনীহা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। অভিযোগের ভিত্তিতে নামমাত্র কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারণ তিন মাস কেটে যাওয়ার পরও সংরক্ষণ কোনওভাবে কার্যকর করা হয়নি। শুধু বৈঠকের পর বৈঠক করে সময় নষ্ট করে সেশনকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দূরশিক্ষা ও বিভিন্ন পদে চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ মানা হয়নি। বার বার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এদিকে পিএইচডি ভর্তিতে ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়।

 

 

বহু বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষণ মানলেও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তা মানছে না। এই নিয়ে ক্ষোভ বিশিষ্ট মহলেও। ভর্তির পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্রেও যাতে ওবিসি ‘এ’ প্রার্থীরা একশো শতাংশ রোস্টার মেনে সুযোগ পায়, তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কেন সংরক্ষণ নিয়ম মানছে না, তা জানতে চেয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর।