০৪ মে ২০২৫, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থানা সহ সমস্ত তদন্তকারি সংস্থাগুলিতে বসাতে হবে সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 10

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:   থানা সহ সমস্ত তদন্তকারি সংস্থাগুলিকে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে শীর্ষ আদালত।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেওয়া এক নির্দেশিকা অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র, রাজ্য, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে,
তদন্তকারি সংস্থা, ইডি, জাতীয় তদন্তকারি এজেন্সিগুলিকে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে।  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে যে সব সংস্থাগুলির কাছে তদন্ত ও গ্রেফতারের ক্ষমতা আছে তাদের এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে।

প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে বিচারপতি আর এফ নারিম্যান হেফাজতে থাকাকালীন বন্দিদের নির্যাতন প্রসঙ্গে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি নারিম্যানের সিঙ্গেল বেঞ্চ নাগরিকের অধিকার ইস্যুতে আর্টিকেল ২১ উল্লেখ করে বলেছিলেন, যত শীঘ্র সম্ভব এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এর পর শীর্ষ আদালত হতাশার সঙ্গে জানায়, তিন বছরের মধ্যে কোনও আশাপ্রদ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এই সপ্তাহে বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সঞ্জয় কারোল সরকারের কাছে আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে এই বিষয়ে তাদের সম্মতিমূলক রিপোর্ট তলব করেছেন।

বর্ষীয়ান আইনজীবী সিদ্ধার্থ দাভে আদালতকে জানিয়েছেন, বহু তদন্তকারি সংস্থা, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার আদালতের নির্দেশিকা অনুসরণ করেনি। যেখানে আদালতের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল নির্দেশ না মানলে আইনত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শীর্ষ আদালত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই বিষয়টি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব সহ কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলিকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ এপ্রিল।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে সিসি ক্যামেরা থানার প্রবেশ পথের প্রধান ফটক, থানার দেওয়ালের পিছনের দিকে, থানার ভিতরে রিসেপশনে, ভিতরে চলাচলের পথে, বারান্দায়, আউট হাউস, স্টেশন হল, পুলিশ আধিকারিক, সাব ইন্সপেক্টর, কর্মরত পুলিশ আধিকারিক, লক আপ রুম, শৌচাগারের বাইরে বসানোর নির্দেশ দিয়েছে। সিসি ক্যামেরাগুলি এমনভাবে বসাতে হবে যাতে সেগুলি থেকে রাতের ঘটনার অডিও-ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা যায়। কারণ এই ফুটেজের মাধ্যমেই জিজ্ঞাসাবাদ চলার সময় বন্দিকে নির্যাতন সহ দোষ শিকারের জন্য আসামীর উপর কোনও রকমভাবে জোর খাটানো হয়েছিল কিনা তার ফুটেজ আদালত সহজেই সংগ্রহ করতে পারবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

থানা সহ সমস্ত তদন্তকারি সংস্থাগুলিতে বসাতে হবে সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:   থানা সহ সমস্ত তদন্তকারি সংস্থাগুলিকে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে শীর্ষ আদালত।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেওয়া এক নির্দেশিকা অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র, রাজ্য, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে,
তদন্তকারি সংস্থা, ইডি, জাতীয় তদন্তকারি এজেন্সিগুলিকে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে।  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে যে সব সংস্থাগুলির কাছে তদন্ত ও গ্রেফতারের ক্ষমতা আছে তাদের এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে।

প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে বিচারপতি আর এফ নারিম্যান হেফাজতে থাকাকালীন বন্দিদের নির্যাতন প্রসঙ্গে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি নারিম্যানের সিঙ্গেল বেঞ্চ নাগরিকের অধিকার ইস্যুতে আর্টিকেল ২১ উল্লেখ করে বলেছিলেন, যত শীঘ্র সম্ভব এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এর পর শীর্ষ আদালত হতাশার সঙ্গে জানায়, তিন বছরের মধ্যে কোনও আশাপ্রদ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এই সপ্তাহে বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সঞ্জয় কারোল সরকারের কাছে আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে এই বিষয়ে তাদের সম্মতিমূলক রিপোর্ট তলব করেছেন।

বর্ষীয়ান আইনজীবী সিদ্ধার্থ দাভে আদালতকে জানিয়েছেন, বহু তদন্তকারি সংস্থা, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার আদালতের নির্দেশিকা অনুসরণ করেনি। যেখানে আদালতের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল নির্দেশ না মানলে আইনত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শীর্ষ আদালত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই বিষয়টি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব সহ কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলিকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ এপ্রিল।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে সিসি ক্যামেরা থানার প্রবেশ পথের প্রধান ফটক, থানার দেওয়ালের পিছনের দিকে, থানার ভিতরে রিসেপশনে, ভিতরে চলাচলের পথে, বারান্দায়, আউট হাউস, স্টেশন হল, পুলিশ আধিকারিক, সাব ইন্সপেক্টর, কর্মরত পুলিশ আধিকারিক, লক আপ রুম, শৌচাগারের বাইরে বসানোর নির্দেশ দিয়েছে। সিসি ক্যামেরাগুলি এমনভাবে বসাতে হবে যাতে সেগুলি থেকে রাতের ঘটনার অডিও-ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা যায়। কারণ এই ফুটেজের মাধ্যমেই জিজ্ঞাসাবাদ চলার সময় বন্দিকে নির্যাতন সহ দোষ শিকারের জন্য আসামীর উপর কোনও রকমভাবে জোর খাটানো হয়েছিল কিনা তার ফুটেজ আদালত সহজেই সংগ্রহ করতে পারবে।