০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দূষণ নিয়ে কেজরি সরকারকে ফের তীব্র ভর্ৎসনা শীর্ষ আদালতের, দেখুন কি বলল আদালত

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, বুধবার
  • / 46

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দূষণ নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে দিল্লি সরকার। বুধবার দুষণ মামলায় শুনানি  চলাকালীন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা কেজরি সরকারের প্রতি তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করে বলেন, ‘পাঁচ, সাততারা হোটেলে  বসে বলছেন দূষণের জন্য কৃষকেরা দায়ী? আপনি জমি প্রতি তাদের আয় দেখেছেন?  

প্রধান বিচারপতি এদিন আরও বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে দিওয়ালির পরেও আরও ১০ দিন ধরে  বাজি পোড়ানো হল। আমরা কিভাবে এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করতে পারি?  নিজেদের কিছু দায়িত্ব থাকা উচিত, সব কাজ কি বিচার বিভাগ করে দেবে?

আরও পড়ুন: মাহমুদাবাদ মামলা: তদন্তে দেরি নিয়ে সিটকে ভর্ৎসনায় করল সুপ্রিম কোর্ট

শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সূর্যকান্ত প্রশ্ন করেন, ‘যখন দিল্লি-এনসিআর যখন দূষণে মারাত্বক অবস্থায় পরিণত হয়েছে, তখন যেদিন সরকারি অফিসগুলি বন্ধ থাকে তখন কেন এক বা দু’দিন যান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় না?

আরও পড়ুন: ‘উদয়পুর ফাইলস’ মামলা: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীর্ষ আদালত

সরকারি পক্ষের আইনজীবী মনু সিঙ্ঘভি সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে বলেন,  ‘পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে একমাত্র দিল্লি হলফনামা জমা দিয়েছে। যেখানে ১০০ শতাংশ ঘর থেকে কাজ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের এসআইআর বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

আদালত এদিন বলে, ‘রাজ্য জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য দু-পক্ষেরই কাজের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আবহাওয়ার কবে উন্নতি হবে, তার জন্য আপনি অপেক্ষা করে বসে থাকার কোনও দরকার নেই।

বিচারপতি আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রত্যেকেই এটিকে নির্বাচনী প্রচারণা হিসেবে দেখতে চাইছে।

এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, কিছু নির্দেশ জারি করার পরে সেগুলি কার্যকর হল কিনা সেটি না দেখে ইতিবাচক  পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ভালো হয়।

সরকারি আইনজীবী সিঙ্ঘভি বলেন, কেন্দ্রের তালিকা ছাড়াও এই অবস্থা কাটাতে দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ কাজ করে ফেলেছে। সিএনজি বাসের চলাচল বাড়াতে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, এর আগে  বিচারপতি চন্দ্রচূড় দিল্লির রাস্তায় সিএনজি বাস চলাচলের পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার বন্ধ রাখতে পারে। সেই সময় আইনজীবী সিঙ্ঘভি জানিয়েছিলেন, কিছুদিনের জন্য দিল্লিতে এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।

সিঙ্ঘভি জানান, তাদের সরকার কোনও আইনি তর্কে যেতে চান না। ইতিমধ্যে দিল্লি সরকার দূষণ বিরোধী ১৫টি মেশিন কেনার অনুমতি দিয়েছে। দিল্লি কর্পোরেশন( এমসিডি) সেইগুলি কেনার প্রস্তুতি শুরু করেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দূষণ নিয়ে কেজরি সরকারকে ফের তীব্র ভর্ৎসনা শীর্ষ আদালতের, দেখুন কি বলল আদালত

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দূষণ নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে দিল্লি সরকার। বুধবার দুষণ মামলায় শুনানি  চলাকালীন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা কেজরি সরকারের প্রতি তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করে বলেন, ‘পাঁচ, সাততারা হোটেলে  বসে বলছেন দূষণের জন্য কৃষকেরা দায়ী? আপনি জমি প্রতি তাদের আয় দেখেছেন?  

প্রধান বিচারপতি এদিন আরও বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে দিওয়ালির পরেও আরও ১০ দিন ধরে  বাজি পোড়ানো হল। আমরা কিভাবে এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করতে পারি?  নিজেদের কিছু দায়িত্ব থাকা উচিত, সব কাজ কি বিচার বিভাগ করে দেবে?

আরও পড়ুন: মাহমুদাবাদ মামলা: তদন্তে দেরি নিয়ে সিটকে ভর্ৎসনায় করল সুপ্রিম কোর্ট

শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সূর্যকান্ত প্রশ্ন করেন, ‘যখন দিল্লি-এনসিআর যখন দূষণে মারাত্বক অবস্থায় পরিণত হয়েছে, তখন যেদিন সরকারি অফিসগুলি বন্ধ থাকে তখন কেন এক বা দু’দিন যান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় না?

আরও পড়ুন: ‘উদয়পুর ফাইলস’ মামলা: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীর্ষ আদালত

সরকারি পক্ষের আইনজীবী মনু সিঙ্ঘভি সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে বলেন,  ‘পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে একমাত্র দিল্লি হলফনামা জমা দিয়েছে। যেখানে ১০০ শতাংশ ঘর থেকে কাজ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের এসআইআর বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

আদালত এদিন বলে, ‘রাজ্য জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য দু-পক্ষেরই কাজের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আবহাওয়ার কবে উন্নতি হবে, তার জন্য আপনি অপেক্ষা করে বসে থাকার কোনও দরকার নেই।

বিচারপতি আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রত্যেকেই এটিকে নির্বাচনী প্রচারণা হিসেবে দেখতে চাইছে।

এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, কিছু নির্দেশ জারি করার পরে সেগুলি কার্যকর হল কিনা সেটি না দেখে ইতিবাচক  পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ভালো হয়।

সরকারি আইনজীবী সিঙ্ঘভি বলেন, কেন্দ্রের তালিকা ছাড়াও এই অবস্থা কাটাতে দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ কাজ করে ফেলেছে। সিএনজি বাসের চলাচল বাড়াতে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, এর আগে  বিচারপতি চন্দ্রচূড় দিল্লির রাস্তায় সিএনজি বাস চলাচলের পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার বন্ধ রাখতে পারে। সেই সময় আইনজীবী সিঙ্ঘভি জানিয়েছিলেন, কিছুদিনের জন্য দিল্লিতে এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।

সিঙ্ঘভি জানান, তাদের সরকার কোনও আইনি তর্কে যেতে চান না। ইতিমধ্যে দিল্লি সরকার দূষণ বিরোধী ১৫টি মেশিন কেনার অনুমতি দিয়েছে। দিল্লি কর্পোরেশন( এমসিডি) সেইগুলি কেনার প্রস্তুতি শুরু করেছে।