০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা, উত্তরে ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 21

পুবের কলম প্রতিবেদক: তীব্র দাবদাহের পর কিছুদিন বর্ষা প্রবেশ করায় স্বস্তি মিলেছিল দক্ষিণবঙ্গে। তবে এই সুখ স্থায়ী হচ্ছে না। ছত্তিশগড়ে সরে গিয়েছে নিম্নচাপ। তা ক্রমশ আরও পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাবে। যার ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। একইসঙ্গে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় আদ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়বে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ থেকে ৯৭ শতাংশ।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল তা ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের দিকে। এছাড়াও পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা রয়েছে রাজস্থান থেকে বঙ্গোপসাগরের ওপর। একটি অক্ষরেখা রয়েছে গুজরাট থেকে কেরলা উপকূল পর্যন্ত। আগামী দু’দিনে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু গুজরাট রাজস্থানের আরো কিছু অংশ ঢুকে যাবে। একইসঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে হরিয়ানা পাঞ্জাবের বাকি অংশে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের জন্য খুব একটা স্বস্তির আবহাওয়া থাকছে না।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বুধবার পর্যন্ত। বেশ কয়েকটি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। বৃহস্পতিবার থেকে বাড়বে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। ইতিমধ্যেই তিস্তা তোর্সা জলঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলি জলস্তর বেড়ে বিপদ সীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় নদীর জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা, উত্তরে ফের প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

আপডেট : ২৭ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: তীব্র দাবদাহের পর কিছুদিন বর্ষা প্রবেশ করায় স্বস্তি মিলেছিল দক্ষিণবঙ্গে। তবে এই সুখ স্থায়ী হচ্ছে না। ছত্তিশগড়ে সরে গিয়েছে নিম্নচাপ। তা ক্রমশ আরও পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাবে। যার ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। একইসঙ্গে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় আদ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়বে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ থেকে ৯৭ শতাংশ।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল তা ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের দিকে। এছাড়াও পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা রয়েছে রাজস্থান থেকে বঙ্গোপসাগরের ওপর। একটি অক্ষরেখা রয়েছে গুজরাট থেকে কেরলা উপকূল পর্যন্ত। আগামী দু’দিনে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু গুজরাট রাজস্থানের আরো কিছু অংশ ঢুকে যাবে। একইসঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে হরিয়ানা পাঞ্জাবের বাকি অংশে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের জন্য খুব একটা স্বস্তির আবহাওয়া থাকছে না।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বুধবার পর্যন্ত। বেশ কয়েকটি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। বৃহস্পতিবার থেকে বাড়বে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। ইতিমধ্যেই তিস্তা তোর্সা জলঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলি জলস্তর বেড়ে বিপদ সীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফের ভারী বৃষ্টির আশঙ্কায় নদীর জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।