২৩ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান চুক্তিই সর্বোত্তম পথ­ মার্কিন বিদেশমন্ত্রী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২২, বুধবার
  • / 33

­হাইলাইটস : পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসাই হবে ইরানের পারমাণবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায়।-ব্লিঙ্কেন

 

আরও পড়ুন: নতুন রাজধানী তৈরির ঘোষণা ইরানের

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো পথ। এখনও এমনটাই মনে করে আমেরিকা। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে ইরান চুক্তি নিয়ে কথা উঠলে ব্লিঙ্কেন এই মন্তব্য করেন। তবে সেনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে বেশ কথা কাটাকাটি হয়। ইরান চুক্তি নিয়ে কংগ্রেসের সমালোচনা সত্ত্বেও মার্কিন বিদেশমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের এই চুক্তিটি ত্রুটিপূর্ন হলেও বিকল্পগুলি’র চেয়ে ঢের ভালো। ব্লিঙ্কেনের কথায়, ইরানের পরমাণু হুমকি ও আগ্রাসন মোকাবিলায় চুক্তি মেনে চলাটাই হবে সবচেয়ে ভালো রাস্তা। এভাবে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত থাকবে। আমরা অন্য পথটিও পরীক্ষা করে দেখেছি, চাপ প্রয়োগের জন্য চুক্তি থেকে আমেরিকাকে বের করে নেওয়া হয়েছিল।’ ব্লিঙ্কেন পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে চাইলেও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, তেহরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলতে পারে যা উদ্বেগের। আরও বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সময় প্রায় এক বছর কমে গেছে।

আরও পড়ুন: বোমা মারলেও ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরবে না, আমেরিকাকে বার্তা ইরানের বিদেশমন্ত্রীর

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের সঙ্গে ওই চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে তার উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই সমঝোতা চুক্তি থেকে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে নেন এবং চাপ প্রয়োগের নীতি বেছে নেন। তিনি ইরানের তেল কেনা থেকে অন্যান্য দেশকে ঠেকিয়ে রাখতে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার প্রশাসন চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছে। বিষয়টি নিয়ে ভিয়েনায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলছে। এ আলোচনায় আগের মতো চুক্তির বিনিময়ে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আলোচনায় অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে আলোচনার গতি কিছুটা থমকে গেছে। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারাই বলেছেন, আলোচনায় ইতিবাচক ফল মিলতে পারে।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, আইন পাস ইরানের সংসদে

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইরান চুক্তিই সর্বোত্তম পথ­ মার্কিন বিদেশমন্ত্রী

আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২২, বুধবার

­হাইলাইটস : পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসাই হবে ইরানের পারমাণবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায়।-ব্লিঙ্কেন

 

আরও পড়ুন: নতুন রাজধানী তৈরির ঘোষণা ইরানের

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো পথ। এখনও এমনটাই মনে করে আমেরিকা। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে ইরান চুক্তি নিয়ে কথা উঠলে ব্লিঙ্কেন এই মন্তব্য করেন। তবে সেনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে বেশ কথা কাটাকাটি হয়। ইরান চুক্তি নিয়ে কংগ্রেসের সমালোচনা সত্ত্বেও মার্কিন বিদেশমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের এই চুক্তিটি ত্রুটিপূর্ন হলেও বিকল্পগুলি’র চেয়ে ঢের ভালো। ব্লিঙ্কেনের কথায়, ইরানের পরমাণু হুমকি ও আগ্রাসন মোকাবিলায় চুক্তি মেনে চলাটাই হবে সবচেয়ে ভালো রাস্তা। এভাবে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত থাকবে। আমরা অন্য পথটিও পরীক্ষা করে দেখেছি, চাপ প্রয়োগের জন্য চুক্তি থেকে আমেরিকাকে বের করে নেওয়া হয়েছিল।’ ব্লিঙ্কেন পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে চাইলেও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, তেহরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলতে পারে যা উদ্বেগের। আরও বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সময় প্রায় এক বছর কমে গেছে।

আরও পড়ুন: বোমা মারলেও ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরবে না, আমেরিকাকে বার্তা ইরানের বিদেশমন্ত্রীর

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের সঙ্গে ওই চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে তার উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই সমঝোতা চুক্তি থেকে আমেরিকাকে প্রত্যাহার করে নেন এবং চাপ প্রয়োগের নীতি বেছে নেন। তিনি ইরানের তেল কেনা থেকে অন্যান্য দেশকে ঠেকিয়ে রাখতে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার প্রশাসন চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছে। বিষয়টি নিয়ে ভিয়েনায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলছে। এ আলোচনায় আগের মতো চুক্তির বিনিময়ে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আলোচনায় অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে আলোচনার গতি কিছুটা থমকে গেছে। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারাই বলেছেন, আলোচনায় ইতিবাচক ফল মিলতে পারে।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, আইন পাস ইরানের সংসদে