কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে খুন ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর, চাঞ্চল্য পুণেতে

- আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
- / 11
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়া’ই স্ত্রীর গলা কেটে খুন স্বামীর। স্বামীর সন্দেহ, মেয়ে নিশ্চয়ই অন্য কারও! পাঁচ মাস আগেই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণে জেলায়।
উল্লেখ্য, কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়া কোনও মতেই মেনে নিতে পারছিল না ওই মহিলার স্বামী। তার জন্য প্রায়শই তাদের মধ্যে বিবাদ লেগে থাকতো। এমনকি সদ্যোজাতের পিতৃত্ব গ্রহণ না করার কথাও বলেন তিনি। এদিন তাদের ঝামেলা চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। বিবাদের একটা পর্যায়ে মহিলার স্বামী রাগান্বিত হয়ে রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে, স্ত্রীর গলা কেটে দেয়। তারপর নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন । বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ওই ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম রাজেন্দ্র। ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর নান্দেতে তার ও জ্যোতির বিয়ে হয়। চলতি বছরের ২৭ জুন স্ত্রী জ্যোতি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু মেয়ে হওয়া কোনও মতেই মেনে নিতে পারেনি রাজেন্দ্র। সোমবার পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছায় যে, রাজেন্দ্র সন্তানের পিতৃত্ব গ্রহণে অস্বীকার করেন। একটা সময় রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে কোপ বসিয়ে দেয় স্ত্রীর গলায়। এমনকি দেহ থেকে ধর আলাদা করার চেষ্টা করতে থাকে সে। একটা সময় ছটফট করতে করতে মারা যায় জ্যোতি। তবে ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাজেন্দ্রর সম্বিত ফিরলে নিজের ভুল বুঝতে পারে সে। তারপর অনুশোচনা হয় তার। তখন তিনি গিয়ে বাড়িওয়ালার কাছে সব খুলে বলেন। জানান তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চান। খবর যায় পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এসে গ্রেফতার করে তাঁকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাজেন্দ্র ও জ্যোতি দু’ই জনই পেশায় আইটি ইঞ্জিনিয়ার। কর্মসূত্রে পুণেতে বসবাস করতেন। ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তারা বলেই খবর । একটি তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্রে চাকরিজীবী ছিলেন জ্যোতি। সন্তানের জন্ম দেওয়ায় কিছু দিন আগে কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। তারপর সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার পর পুনরায় কাজে যোগ দেন জ্যোতি। তবে তিন দিন আগে সেই কাজ থেকে ইস্তফা দেয় সে। এদিন স্থানীয়রা আরও জানান, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা হত। এদিন সেটি চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।