এবার স্কুলেও ভাগবত গীতা, পাঠ্যপুস্তকে বদল আনবে এনসিইআরটি

- আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
- / 49
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রাজনীতিতে গেরুয়াকরণ শুরু হয়েছে বহুকাল আগে থেকেই। তবে শিক্ষায় গেরুয়াকরণ প্রবণতা ইদানিং যেমন প্রবল হয়ে উঠেছে অটল জমানাতে তেমনটা ছিল না। বর্তমানে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বদলানোর চেষ্টা হচ্ছে সুচারুভাবে। এবার সংসদেও সে চেষ্টা দেখা গেল।
জানা গিয়েছে পড়ুয়াদের চরিত্র গঠন করতেই নাকি এনসিইআরটির পাঠ্যপুস্তকে আসতে চলেছে বড়সড় বদল। এবার স্কুলেও পড়ানো হবে গীতা। সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী জানিয়েছেন, ভাগবত গীতার রেফারেন্স পড়ানো হবে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীতে। পাশাপশি ভগবত গীতার শ্লোক থাকবে একাদশ শ্রেণী এবং দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত পাঠ্যপুস্তকে।
সোমবার লোকসভায় লিখিতভাবে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী এমন কথা বলেন। তিনি জানান, শিক্ষার প্রচারের জন্য ২০২০ সালে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের একটি ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছে।
তাঁর দাবি,এই শতাব্দীতে জ্ঞানকে শক্তি বানাতে হলে আমাদের অবশ্যই নিজেদের ঐতিহ্যকে বুঝতে হবে। সোমবার স্কুল পাঠ্যপুস্তক কমিটির বিষয়বস্তু ও নকশা সংসদে পেশ করা হয়।
কেবল ভাগবত গীতা নয়, গেরুয়া দল ও সংগঠন যাদের জাতীয় বীর বলে মনে করে, তাদের নামও এনসিআরটিতে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। গেরুয়া শিবির যে সব ঐতিহাসিক নেতাদের জাতীয় বীর বলে দাবি করে, নিরপেক্ষ ইতিহাসে তাদের অনেকেই বীর বলা যায় না।
গান্ধীর খুনি গডসের বন্দনা করতে পারে না নিরপেক্ষ ইতিহাস। সাভারকর কিংবা গোলওয়ালকর জাতীয় বীর হতে পারেন না । কারন তাদের মন্তব্য সর্বদা গেরুয়াবাদীদের তুষ্ট করেছে। তাদের বক্তব্যে ঐক্যের কথা ছিল না । ছিল হিন্দু সুপ্রিমেসির কথা।