০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘তল্লাশি ও ব্যবসা বন্ধের হুমকি’ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ প্রাক্তন ট্যুইটার কর্তার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 17

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন ট্যুইটারের  প্রাক্তন  সিইও জ্যাক ডরসি। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ভারতে কৃষক আন্দোলনের ধাক্কা সামলাতে বেসামাল হয়ে গিয়েছিল দেশটির সরকার। অথৈজলে পড়ে গিয়েছিলেন তারা। তাই একাধিক ট্যুইটার আক্যাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করেছিল  ভারত সরকার। বিশেষ করে সাংবাদিকদের, যারা অনবরত সরকারের সমালোচনা করতেন। অন্যথায় ভারতে ব্যবসা বন্ধ থেকে আধিকারিক এবং কর্মীদের বাড়িতে ইডি-সিবিআই দিয়ে তল্লাশি চালানোর হুমকি’ও দেওয়া হয়।  যদিও কেন্দ্রের তরফে এই অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন,  একেবারে মিথ্যা বলছেন জ্যাক ডরসি। বারবার ভারতের নিয়ম ভঙ্গ করেছে ট্যুইটার, সেই ইতিহাস লুকোতেই এই অপলাপ।  তবে  সোমবার জ্যাক ডারসির মন্তব্যকে ‘তুরূপের তাস’ বানিয়ে ফের একবার মাঠে নেমছে কংগ্রেস।

ডরসির সাক্ষাৎকারের ভিডিও শেয়ার করে জাতীয় প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাস বিভি বলেন, “গণতন্ত্রের প্রকৃত রূপ দেখুন। অন্যান্য মহলেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের সমালোচনা করে অমিত মালব্য তাঁর ট্যুইটে লেখেন, প্রশ্ন হল   কংগ্রেস সহ বিরোধীরা মেরুদণ্ডহীন মিথ্যেবাদীর ‘সত্যের অপলাপ’ নিয়ে এত উত্তেজিত  হয়ে উঠল কেন? যারা ভারত বিরোধী কথা বলে তাদের প্রতি এদের এত দায়বদ্ধতা কীসের? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটি সরকারকে অপদস্থ করার কারণ কি বিদেশি মুদ্রার আকাঙ্ক্ষা? ভারতের মতো বিশাল বাজারে তারা যদি ব্যবসা চালাতে চায় তাহলে অবশ্যই  ভারত সরকারের আইন মেনেই তা করতে হবে। অন্যথা কড়া শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে তাঁদের।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন পাশ করে কেন্দ্র সরকার। তার প্রতিবাদেই ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা। গোটা দেশের মানুষ তাঁদের পাশে দাঁড়ান। লাগাতার আন্দোলনের জেরে তিনটি আইন প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। এহেন পরিস্থিতিতে ডরসির মন্তব্য ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘তল্লাশি ও ব্যবসা বন্ধের হুমকি’ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ প্রাক্তন ট্যুইটার কর্তার

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন ট্যুইটারের  প্রাক্তন  সিইও জ্যাক ডরসি। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ভারতে কৃষক আন্দোলনের ধাক্কা সামলাতে বেসামাল হয়ে গিয়েছিল দেশটির সরকার। অথৈজলে পড়ে গিয়েছিলেন তারা। তাই একাধিক ট্যুইটার আক্যাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করেছিল  ভারত সরকার। বিশেষ করে সাংবাদিকদের, যারা অনবরত সরকারের সমালোচনা করতেন। অন্যথায় ভারতে ব্যবসা বন্ধ থেকে আধিকারিক এবং কর্মীদের বাড়িতে ইডি-সিবিআই দিয়ে তল্লাশি চালানোর হুমকি’ও দেওয়া হয়।  যদিও কেন্দ্রের তরফে এই অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন,  একেবারে মিথ্যা বলছেন জ্যাক ডরসি। বারবার ভারতের নিয়ম ভঙ্গ করেছে ট্যুইটার, সেই ইতিহাস লুকোতেই এই অপলাপ।  তবে  সোমবার জ্যাক ডারসির মন্তব্যকে ‘তুরূপের তাস’ বানিয়ে ফের একবার মাঠে নেমছে কংগ্রেস।

ডরসির সাক্ষাৎকারের ভিডিও শেয়ার করে জাতীয় প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাস বিভি বলেন, “গণতন্ত্রের প্রকৃত রূপ দেখুন। অন্যান্য মহলেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের সমালোচনা করে অমিত মালব্য তাঁর ট্যুইটে লেখেন, প্রশ্ন হল   কংগ্রেস সহ বিরোধীরা মেরুদণ্ডহীন মিথ্যেবাদীর ‘সত্যের অপলাপ’ নিয়ে এত উত্তেজিত  হয়ে উঠল কেন? যারা ভারত বিরোধী কথা বলে তাদের প্রতি এদের এত দায়বদ্ধতা কীসের? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটি সরকারকে অপদস্থ করার কারণ কি বিদেশি মুদ্রার আকাঙ্ক্ষা? ভারতের মতো বিশাল বাজারে তারা যদি ব্যবসা চালাতে চায় তাহলে অবশ্যই  ভারত সরকারের আইন মেনেই তা করতে হবে। অন্যথা কড়া শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে তাঁদের।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন পাশ করে কেন্দ্র সরকার। তার প্রতিবাদেই ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা। গোটা দেশের মানুষ তাঁদের পাশে দাঁড়ান। লাগাতার আন্দোলনের জেরে তিনটি আইন প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। এহেন পরিস্থিতিতে ডরসির মন্তব্য ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।