০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাবানলে জ্বলছে তুরস্কের ইজমির, গ্রাম খালি, বিমানবন্দর বন্ধ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 24

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের ইজমির প্রদেশে দাবানলের তাণ্ডব দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত। ইতিমধ্যে চারটি গ্রাম এবং দুটি পাড়া খালি করে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

তুরস্কের বনমন্ত্রী ইব্রাহিম ইউমাকলি জানিয়েছেন, রবিবার সেফেরিহিসার ও মেন্দেরেস জেলার মাঝে প্রথম আগুন লাগে। প্রবল হাওয়ার দাপটে সেই আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। সোমবার পর্যন্ত কুইউচাক ও দোয়ানবেই এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে হওয়া বয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

আগুন নেভাতে ১,০০০-রও বেশি কর্মী, হেলিকপ্টার, অগ্নিনির্বাপক বিমান এবং জলবাহী ট্র্যাক্টরের মতো যান নামানো হয়েছে। তবে রবিবার প্রাথমিকভাবে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার কারণে বহু হেলিকপ্টার নামানোই যায়নি। সেই পরিস্থিতিতে মাত্র দুটি জলবাহী বিমান এবং মাটির দলে ভর করেই লড়াই চালিয়ে যেতে হয়।

আরও পড়ুন: তুরস্কের ‘কান’ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া, প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি

ইজমিরের আদনান মেন্দেরেস বিমানবন্দর,এর কার্যক্রমও এই আগুনের কারণে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: তুরস্ক বয়কট, মামলা গেল দিল্লি হাইকোর্টে

ইজমিরের গভর্নর সুলেমান এলবান জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সেফেরিহিসার জেলার পাঁচটি পাড়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন একেবারে বসতবাড়ির কাছাকাছি চলে আসায় কোনও ঝুঁকি না নিয়ে প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুন: তুরস্ক বিমানবন্দরে ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে ২৫০ জন যাত্রী

উর্কমেজ গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই গাছ কেটে আগুনের গতিপথ রুখতে ফায়ারব্রেক তৈরি করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুন যেন ঘরবাড়ি গ্রাস না করে, সে জন্য তারা নিজেরাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।

এছাড়াও গাজিয়েমির এলাকায় একটি বর্জ্য ফেলার স্থানে পৃথক আরেকটি আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা দ্রুত নিকটবর্তী জঙ্গলে ঢুকে পড়ে এবং ওটোকেন্ট শিল্পাঞ্চলকে হুমকির মুখে ফেলে। এই শিল্পাঞ্চলে একাধিক গাড়ি বিক্রেতার শোরুম ও গুদাম রয়েছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে ইজমিরের আকাশ, পুড়ে ছাই হয়েছে পাহাড়ের ঢালে থাকা গাছপালা। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তবে আগুন রুখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের বন বিভাগ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দাবানলে জ্বলছে তুরস্কের ইজমির, গ্রাম খালি, বিমানবন্দর বন্ধ

আপডেট : ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের ইজমির প্রদেশে দাবানলের তাণ্ডব দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত। ইতিমধ্যে চারটি গ্রাম এবং দুটি পাড়া খালি করে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

তুরস্কের বনমন্ত্রী ইব্রাহিম ইউমাকলি জানিয়েছেন, রবিবার সেফেরিহিসার ও মেন্দেরেস জেলার মাঝে প্রথম আগুন লাগে। প্রবল হাওয়ার দাপটে সেই আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। সোমবার পর্যন্ত কুইউচাক ও দোয়ানবেই এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে হওয়া বয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

আগুন নেভাতে ১,০০০-রও বেশি কর্মী, হেলিকপ্টার, অগ্নিনির্বাপক বিমান এবং জলবাহী ট্র্যাক্টরের মতো যান নামানো হয়েছে। তবে রবিবার প্রাথমিকভাবে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার কারণে বহু হেলিকপ্টার নামানোই যায়নি। সেই পরিস্থিতিতে মাত্র দুটি জলবাহী বিমান এবং মাটির দলে ভর করেই লড়াই চালিয়ে যেতে হয়।

আরও পড়ুন: তুরস্কের ‘কান’ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া, প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি

ইজমিরের আদনান মেন্দেরেস বিমানবন্দর,এর কার্যক্রমও এই আগুনের কারণে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: তুরস্ক বয়কট, মামলা গেল দিল্লি হাইকোর্টে

ইজমিরের গভর্নর সুলেমান এলবান জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সেফেরিহিসার জেলার পাঁচটি পাড়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন একেবারে বসতবাড়ির কাছাকাছি চলে আসায় কোনও ঝুঁকি না নিয়ে প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুন: তুরস্ক বিমানবন্দরে ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে ২৫০ জন যাত্রী

উর্কমেজ গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই গাছ কেটে আগুনের গতিপথ রুখতে ফায়ারব্রেক তৈরি করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুন যেন ঘরবাড়ি গ্রাস না করে, সে জন্য তারা নিজেরাই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।

এছাড়াও গাজিয়েমির এলাকায় একটি বর্জ্য ফেলার স্থানে পৃথক আরেকটি আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা দ্রুত নিকটবর্তী জঙ্গলে ঢুকে পড়ে এবং ওটোকেন্ট শিল্পাঞ্চলকে হুমকির মুখে ফেলে। এই শিল্পাঞ্চলে একাধিক গাড়ি বিক্রেতার শোরুম ও গুদাম রয়েছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে ইজমিরের আকাশ, পুড়ে ছাই হয়েছে পাহাড়ের ঢালে থাকা গাছপালা। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তবে আগুন রুখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের বন বিভাগ।