২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী ২০০টি নদী বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিল সেচ দফতর

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৮ মে ২০২৫, বুধবার
  • / 919

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী দুশোটি নদী বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিল সেচ দফতর। এর মধ্যে বেশিরভাগ বাঁধ রয়েছে সাগর, নামখানা, কুলতলি, রায়দীঘি, পাথরপ্রতিমা ও গোসাবায়। কোথাও রিং বাঁধ, কোথাও কংক্রিটের ব্লক করে ভাঙন রোধ করা হবে।

কয়েক সপ্তাহ আগে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্ষার আগেই যতটা সম্ভব কাজ শেষ করতে মরিয়া দফতরের আধিকারিকরা। সাগরের বেশ কিছু তীরবর্তী এলাকা ভাঙন কবলিত। নদীর জলোচ্ছ্বাসে প্রায়ই সেখানকার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে এই প্রথম পালিত হল আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস

আসন্ন বর্ষাকালের মধ্যে সেখানে মেরামতির কাজ না করা গেলে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। তাই সব মিলিয়ে এই দ্বীপাঞ্চলে ১১৩২ মিটার নদী বাঁধ তৈরি ও সংস্কার করা হবে। অন্যদিকে নামখানার মৌসুনি,  ঈশ্বরীপুর সহ বেশ কিছু জায়গা ভাঙন প্রবণ। সেখানে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: অবশেষে কুলতলিতে খাঁচা বন্দি সুন্দরবনের বাঘ

এছাড়াও গোসাবার লাহিড়ীপুর, ছোট মোল্লাখালির মতো জায়গাতেও দুর্বল বাঁধ রয়েছে।রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা বলেন, সেচমন্ত্রীর সঙ্গে জেলার সমস্ত ব্লকের বিডিও ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বৈঠক হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। কোথায় বাঁধ মেরামতি প্রয়োজন, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেই মতো দফতর থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সল্টলেক থেকে সুন্দরবনের নয়া বাস রুট চালু

এদিকে, এখনও যেসব নদী বাঁধ ঠিক করা যায়নি, সেখানকার বাসিন্দারা বেশ কিছুটা আতঙ্কে আছেন। পাথরপ্রতিমা, নামখানা সহ সুন্দরবনের বেশ কিছু উপকূলবর্তী এলাকায় এমন পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, বুধবার থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে। টানা কয়েকদিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হওয়া অফিস। জলোচ্ছ্বাস ও অমাবস্যার কোটালে বড় ধরনের ক্ষতি হবে কি না, সেই আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন সুন্দরবনবাসী।তবে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে দূর্যোগ মোকাবিলায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী ২০০টি নদী বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিল সেচ দফতর

আপডেট : ২৮ মে ২০২৫, বুধবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী দুশোটি নদী বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিল সেচ দফতর। এর মধ্যে বেশিরভাগ বাঁধ রয়েছে সাগর, নামখানা, কুলতলি, রায়দীঘি, পাথরপ্রতিমা ও গোসাবায়। কোথাও রিং বাঁধ, কোথাও কংক্রিটের ব্লক করে ভাঙন রোধ করা হবে।

কয়েক সপ্তাহ আগে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্ষার আগেই যতটা সম্ভব কাজ শেষ করতে মরিয়া দফতরের আধিকারিকরা। সাগরের বেশ কিছু তীরবর্তী এলাকা ভাঙন কবলিত। নদীর জলোচ্ছ্বাসে প্রায়ই সেখানকার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে এই প্রথম পালিত হল আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস

আসন্ন বর্ষাকালের মধ্যে সেখানে মেরামতির কাজ না করা গেলে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। তাই সব মিলিয়ে এই দ্বীপাঞ্চলে ১১৩২ মিটার নদী বাঁধ তৈরি ও সংস্কার করা হবে। অন্যদিকে নামখানার মৌসুনি,  ঈশ্বরীপুর সহ বেশ কিছু জায়গা ভাঙন প্রবণ। সেখানে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: অবশেষে কুলতলিতে খাঁচা বন্দি সুন্দরবনের বাঘ

এছাড়াও গোসাবার লাহিড়ীপুর, ছোট মোল্লাখালির মতো জায়গাতেও দুর্বল বাঁধ রয়েছে।রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা বলেন, সেচমন্ত্রীর সঙ্গে জেলার সমস্ত ব্লকের বিডিও ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বৈঠক হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। কোথায় বাঁধ মেরামতি প্রয়োজন, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেই মতো দফতর থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সল্টলেক থেকে সুন্দরবনের নয়া বাস রুট চালু

এদিকে, এখনও যেসব নদী বাঁধ ঠিক করা যায়নি, সেখানকার বাসিন্দারা বেশ কিছুটা আতঙ্কে আছেন। পাথরপ্রতিমা, নামখানা সহ সুন্দরবনের বেশ কিছু উপকূলবর্তী এলাকায় এমন পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, বুধবার থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে। টানা কয়েকদিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হওয়া অফিস। জলোচ্ছ্বাস ও অমাবস্যার কোটালে বড় ধরনের ক্ষতি হবে কি না, সেই আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন সুন্দরবনবাসী।তবে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে দূর্যোগ মোকাবিলায়।