আরও ৭ দেশের উপর আংশিক বিধিনিষেধ
আমেরিকায় ঢুকতে পারবেন না ১২টি দেশের নাগরিকেরা

- আপডেট : ৫ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 285
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আগামী ৯ জুন ২০২৫ থেকে আমেরিকায় ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হতে চলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্সিতে অভিবাসননীতি আরও কঠোর করে এই নতুন নির্দেশিকায় সই করেছেন।
একই সঙ্গে আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুরোপুরি নিষিদ্ধ ১২টি দেশ হলn আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, কঙ্গো (ডিআরসি), ইকুইটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। এ ছাড়া আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে : বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার উপর।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। এক্স -এ এক ভিডিয়ো বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এমন কোনও দেশের মানুষকে ঢুকতে দেব না যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়। আমাদের উচিত এমন অভিবাসীদের প্রতিরোধ করা, যাদের আমরা সঠিকভাবে যাচাই করতে পারি না।’ তিনি আরও জানান, তালিকাটি ভবিষ্যতে সংশোধন হতে পারে এবং নতুন দেশ যোগ হতে পারে।
নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, কলোরাডোর বোল্ডারে এক ইসরাইলপন্থী সমাবেশে হামলার ঘটনা, যেটিতে অভিযুক্ত ছিলেন এক মিশরীয় নাগরিক। ওই ব্যক্তি ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’ স্লোগান দিয়ে আগুনে বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি নাগরিকদের মাধ্যমে সম্ভাব্য হুমকির উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কিছু দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ; তারা সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালিবান শাসন, ইরানে কট্টরপন্থা এবং কিউবায় কমিউনিস্ট প্রশাসনের দৃষ্টান্ত টেনে এই সিদ্ধান্তকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, চাদ বা ইরিত্রিয়ার মতো দেশ থেকে আগত অনেকে আমেরিকায় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, যারা চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত বা ‘সংবেদনশীল’ বিষয় পড়ছেন, এমন শিক্ষার্থীদের ভিসা ‘আক্রমণাত্মকভাবে’ বাতিল করা হবে।
অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, আমেরিকার এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। যুক্তরাষ্ট্র মুখে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’, ‘সন্ত্রাসবাদ রোধ’ ইত্যাদির কথা বললেও, বাস্তবে তারা নিজেই বিশ্বের বহু অঞ্চলে সংঘাত ছড়াতে সক্রিয়ভাবে জড়িত। বিশেষ করে ইসরাইলের সঙ্গে মার্কিন জোট গাজায় যা করছে, তাকে অনেকেই ‘রাষ্ট্রায়ত্ত সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিহিত করছেন। ফিলিস্তিনে শিশু, নারী, বৃদ্ধ নির্বিচারে নিহত হচ্ছেন ; যার মধ্যে অনেক ঘটনাই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গ করছে। এই সহিংসতায় রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে সবচেয়ে বড় সহযোগী দেশই হল যুক্তরাষ্ট্র।