১৯ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তৃণমূলের প্রচারে কেন পরমব্রত কেন ? মুখ খুললেন অভিনেতা নিজেই

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার
  • / 66

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছেন তারকাই। এবার তালিকায় যুক্ত হল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম। শুক্রবার নেতাজিনগরে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে প্রচার করতে দেখা গেল ‘বামমনস্ক’ তারকাকে। ঘাসফুল শিবিরের প্রচারে কেন গিয়েছিলেন, তা জানালেন অভিনেতা।

আচমকা ঘাসফুল শিবিরের প্রচারে কেন? প্রশ্ন করা হলে হোয়াটসঅ্যাপে পরমব্রত জানান, ব্যক্তিগত কারণেই অল্প সময়ের জন্য অরূপ চক্রবর্তীর প্রচারে তিনি গিয়েছিলেন। অভিনেতার কথায়, “ব্যক্তিগতভাবে একজনের প্রচারে গিয়েছিলাম। অল্প সময়ের জন্য। তাঁকে আমি একজন কৃতী, শিক্ষিত, বুদ্ধিমান, রুচিবান মানুষ হিসেবে চিনি তাই। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, আলাদা করে নয়। এটাই একমাত্র।”

আরও পড়ুন: আগরতলায় তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল

১৯ ডিসেম্বর কলকাতার পুরভোট।শুক্রবারই ছিল প্রচারের শেষ দিন।কলকাতার পুরভোটে সেই অর্থে তৃণমূল ছাড়া আর কাউকেই তেমন একটা তৎপর হতে দেখা যায়নি। মাটিতেই হোক কিংবা সোশ্যাল সাইটে–প্রচারের তৃণমূলের ধারে পাশে নেই বিজেপি, বাম কিংবা কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

গত কয়েকদিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছেন তৃণমূলের নেতা, কর্মী, প্রার্থীরা। চমক দেখাতে টেলি তারকাদের নিয়ে চলছে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার। গোয়া থেকে ফিরে শেষবেলায় প্রচার সারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতায় মহামিছিল করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে ভোটদানের আরজি জানান তিনি। অভিষেক বলেন, “১৯ ডিসেম্বর ভারতের কাছে কলকাতাকে সেরা প্রমাণ করার নির্বাচন। কানে শুনে নয়, চোখে দেখে ভোট দিন।”

অনেকে বলছেন যারা প্রকৃত অর্থে বামপন্থী তারা অনেকেই তৃণমূলের আস্থা রাখছেন। বামদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখে তারা যেমন হতাশ তেমনই, বিজেপির বিদ্বেষ ভাষণ শুনে তারা বিরক্ত। অধীরের বয়ানবাজি ছাড়া বাংলায় কংগ্রেসের তেমন ভূমিকা নজরে আসেনি। সে কারণে বামপন্থীরা অনেকেই ঘাসফুলে আস্থা রাখছেন। তৃণমূল যে ভারতের কথা বলে তা সম্প্রীতির কথা বলে, ঐক্যের কথা বলে, সেখানে আর যাই হোক বিদ্বেষ নেই।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তৃণমূলের প্রচারে কেন পরমব্রত কেন ? মুখ খুললেন অভিনেতা নিজেই

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছেন তারকাই। এবার তালিকায় যুক্ত হল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম। শুক্রবার নেতাজিনগরে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে প্রচার করতে দেখা গেল ‘বামমনস্ক’ তারকাকে। ঘাসফুল শিবিরের প্রচারে কেন গিয়েছিলেন, তা জানালেন অভিনেতা।

আচমকা ঘাসফুল শিবিরের প্রচারে কেন? প্রশ্ন করা হলে হোয়াটসঅ্যাপে পরমব্রত জানান, ব্যক্তিগত কারণেই অল্প সময়ের জন্য অরূপ চক্রবর্তীর প্রচারে তিনি গিয়েছিলেন। অভিনেতার কথায়, “ব্যক্তিগতভাবে একজনের প্রচারে গিয়েছিলাম। অল্প সময়ের জন্য। তাঁকে আমি একজন কৃতী, শিক্ষিত, বুদ্ধিমান, রুচিবান মানুষ হিসেবে চিনি তাই। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, আলাদা করে নয়। এটাই একমাত্র।”

আরও পড়ুন: আগরতলায় তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল

১৯ ডিসেম্বর কলকাতার পুরভোট।শুক্রবারই ছিল প্রচারের শেষ দিন।কলকাতার পুরভোটে সেই অর্থে তৃণমূল ছাড়া আর কাউকেই তেমন একটা তৎপর হতে দেখা যায়নি। মাটিতেই হোক কিংবা সোশ্যাল সাইটে–প্রচারের তৃণমূলের ধারে পাশে নেই বিজেপি, বাম কিংবা কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

গত কয়েকদিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছেন তৃণমূলের নেতা, কর্মী, প্রার্থীরা। চমক দেখাতে টেলি তারকাদের নিয়ে চলছে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার। গোয়া থেকে ফিরে শেষবেলায় প্রচার সারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা-অভিষেক

শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতায় মহামিছিল করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে ভোটদানের আরজি জানান তিনি। অভিষেক বলেন, “১৯ ডিসেম্বর ভারতের কাছে কলকাতাকে সেরা প্রমাণ করার নির্বাচন। কানে শুনে নয়, চোখে দেখে ভোট দিন।”

অনেকে বলছেন যারা প্রকৃত অর্থে বামপন্থী তারা অনেকেই তৃণমূলের আস্থা রাখছেন। বামদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখে তারা যেমন হতাশ তেমনই, বিজেপির বিদ্বেষ ভাষণ শুনে তারা বিরক্ত। অধীরের বয়ানবাজি ছাড়া বাংলায় কংগ্রেসের তেমন ভূমিকা নজরে আসেনি। সে কারণে বামপন্থীরা অনেকেই ঘাসফুলে আস্থা রাখছেন। তৃণমূল যে ভারতের কথা বলে তা সম্প্রীতির কথা বলে, ঐক্যের কথা বলে, সেখানে আর যাই হোক বিদ্বেষ নেই।