০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অফিস টাইমে নেই পর্যাপ্ত বাস, ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 50

পুবের কলম প্রতিবেদক: সরকারিভাবে বলা হচ্ছে রাস্তায় চলছে পর্যাপ্ত বাস। তবে বাস্তব কিন্তু বলছে অন্য কথা। অফিস টাইমে মিলছে না বাসের দেখা। এমনটাই বলছেন অফিস ফেরত সাধারণ যাত্রীরা। সূত্রের খবর, তেলের দাম উঠছে না, তাই বাস কমছে রাস্তায়।

জানা গিয়েছে, আগে সিএসটিসি প্রথম ট্রিপে বাস নামাত ৫৫০টি। এখন বাস নামাচ্ছে ৩০০টি। সিএসটিসি দ্বিতীয় ট্রিপে বাস নামাত ৪৫০টি এখন বাস নামাচ্ছে প্রায় ২০০টি। সিটিসি আগে প্রথম ট্রিপে বাস নামাত ২৫০টি। এখন সেটা কমে হয়েছে ১০০। সিটিসি দ্বিতীয় ট্রিপে বাস নামাত ১২০টি। সেই সংখ্যাটাও কমে গিয়েছে। সিটিসির প্রথম ট্রিপে বাস নামছে ৫৫টি। স্বাভাবিকভাবেই অফিস টাইমে মিলছে না বাস। সন্ধ্যার পর অফিস বা কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরতে হলে মিলছে না বাস। নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের।

আরও পড়ুন: কার্নিভাল উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে কলকাতা

জানা গিয়েছে, বর্তমানে সিএসটিসির ১১টি ও সিটিসি’র ১২টি ডিপো আছে। প্রতি সপ্তাহে বাস চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় ২৩ ট্যাঙ্কার তেল। তবে টিকিট বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তাতে ১০ ট্যাঙ্কারের বেশি তেল কেনা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, কর্মীদের বেতন থেকে শুরু করে সব খরচ বহন করে পরিবহণ নিগম। তবে বাসের তেলের টাকা তুলতে হয় টিকিট বিক্রি করেই। এখানেই ফ্যাসাদে পড়েছে পরিবহণ সংস্থা। ক্রমাগত তেলের দাম বাড়লেও বাসের ভাড়া বাড়েনি। ফলে আয় ও ব্যায়ের মধ্যে ভারসাম্য থাকছে না।

আরও পড়ুন: NCRB Report: কেন্দ্রীয় রিপোর্টে চতুর্থবার দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা

জানা গিয়েছে, ডিপোগুলিকে সপ্তাহে এক ট্যাঙ্কার করে তেল দেওয়া হয়। এই এক ট্যাঙ্কার তেল বা ১২০০০ লিটার তেলের জন্য আগে খরচ হত প্রায় ৮ থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা। সেই অঙ্কটা বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা। এক ধাক্কায় তেলের দাম বাড়লেও টিকিট বেচে আয় হচ্ছে না পরিবহণ নিগমের। আগে সিএসটিসি’র সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আয় ছিল ৩০ লাখ টাকা। এখন সেই আয় কমে হয়েছে ১৪ লাখের মতো। শনি ও রবিবার আয় ছিল ১২-১৪ লাখ টাকা, এখন তা হয়েছে ৮ লাখ টাকার কাছাকাছি।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মুখে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর উপলক্ষ্যে একাধিক রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা জারি লালবাজারের

যদিও রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলছেন, রাস্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস নামানো হয়েছে। যে সংখ্যক বাস চলে তাই চলছে। তবে বাস্তব কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অফিস টাইমে নেই পর্যাপ্ত বাস, ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা

আপডেট : ৫ এপ্রিল ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: সরকারিভাবে বলা হচ্ছে রাস্তায় চলছে পর্যাপ্ত বাস। তবে বাস্তব কিন্তু বলছে অন্য কথা। অফিস টাইমে মিলছে না বাসের দেখা। এমনটাই বলছেন অফিস ফেরত সাধারণ যাত্রীরা। সূত্রের খবর, তেলের দাম উঠছে না, তাই বাস কমছে রাস্তায়।

জানা গিয়েছে, আগে সিএসটিসি প্রথম ট্রিপে বাস নামাত ৫৫০টি। এখন বাস নামাচ্ছে ৩০০টি। সিএসটিসি দ্বিতীয় ট্রিপে বাস নামাত ৪৫০টি এখন বাস নামাচ্ছে প্রায় ২০০টি। সিটিসি আগে প্রথম ট্রিপে বাস নামাত ২৫০টি। এখন সেটা কমে হয়েছে ১০০। সিটিসি দ্বিতীয় ট্রিপে বাস নামাত ১২০টি। সেই সংখ্যাটাও কমে গিয়েছে। সিটিসির প্রথম ট্রিপে বাস নামছে ৫৫টি। স্বাভাবিকভাবেই অফিস টাইমে মিলছে না বাস। সন্ধ্যার পর অফিস বা কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরতে হলে মিলছে না বাস। নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের।

আরও পড়ুন: কার্নিভাল উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে কলকাতা

জানা গিয়েছে, বর্তমানে সিএসটিসির ১১টি ও সিটিসি’র ১২টি ডিপো আছে। প্রতি সপ্তাহে বাস চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় ২৩ ট্যাঙ্কার তেল। তবে টিকিট বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তাতে ১০ ট্যাঙ্কারের বেশি তেল কেনা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, কর্মীদের বেতন থেকে শুরু করে সব খরচ বহন করে পরিবহণ নিগম। তবে বাসের তেলের টাকা তুলতে হয় টিকিট বিক্রি করেই। এখানেই ফ্যাসাদে পড়েছে পরিবহণ সংস্থা। ক্রমাগত তেলের দাম বাড়লেও বাসের ভাড়া বাড়েনি। ফলে আয় ও ব্যায়ের মধ্যে ভারসাম্য থাকছে না।

আরও পড়ুন: NCRB Report: কেন্দ্রীয় রিপোর্টে চতুর্থবার দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা

জানা গিয়েছে, ডিপোগুলিকে সপ্তাহে এক ট্যাঙ্কার করে তেল দেওয়া হয়। এই এক ট্যাঙ্কার তেল বা ১২০০০ লিটার তেলের জন্য আগে খরচ হত প্রায় ৮ থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা। সেই অঙ্কটা বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা। এক ধাক্কায় তেলের দাম বাড়লেও টিকিট বেচে আয় হচ্ছে না পরিবহণ নিগমের। আগে সিএসটিসি’র সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আয় ছিল ৩০ লাখ টাকা। এখন সেই আয় কমে হয়েছে ১৪ লাখের মতো। শনি ও রবিবার আয় ছিল ১২-১৪ লাখ টাকা, এখন তা হয়েছে ৮ লাখ টাকার কাছাকাছি।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মুখে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর উপলক্ষ্যে একাধিক রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা জারি লালবাজারের

যদিও রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলছেন, রাস্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস নামানো হয়েছে। যে সংখ্যক বাস চলে তাই চলছে। তবে বাস্তব কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে।