০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে অরবিন্দ  কেজরিওয়ালের  পিএ-কে তলব ইডির

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দিল্লির আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে নয়া চাঞ্চল্য। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার পর অরবিন্দ  কেজরিওয়ালের  পিএ-কে তলব করল ইডি। দীর্ঘ সময় ধরে জেরা পর্ব চলে বলেই জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী’র পিএ বিভাব  কুমারকে নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুটি চার্জশিট জমা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে তারা বলেছে, অন্তত ৩৬জন অভিযুক্ত লেনদেন এবং  বেআইনি কারবার গোপন করতে ঘন ঘন মোবাইল সেট বদল করে। সেই তালিকায় মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং কেজরিওয়ালের পিএ বিভাব কুমারের নাম রয়েছে। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালও মদনীতি তৈরির প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন। সেই কাজে তাঁর ‘ফ্রন্ট ম্যান’ ছিলেন বিভাব।

উল্লেখ্য, সিবিআই ও ইডি যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত করছে। তবে মূল তদন্ত করছে সিবিআই। গত বছরই দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার নির্দেশেই দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও সিবিআই। অভিযোগ ওঠে, নতুন আবগারি নীতি কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই তৈরি করেছিল আপ সরকার। বিভিন্ন মদ ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি থেকে শুরু করে লাইসেন্স ফি মকুব করে দেওয়ার মতো নানা সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল মোটা অঙ্কের বিনিময়ে। এই দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে অরবিন্দ  কেজরিওয়ালের  পিএ-কে তলব ইডির

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দিল্লির আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে নয়া চাঞ্চল্য। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার পর অরবিন্দ  কেজরিওয়ালের  পিএ-কে তলব করল ইডি। দীর্ঘ সময় ধরে জেরা পর্ব চলে বলেই জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী’র পিএ বিভাব  কুমারকে নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুটি চার্জশিট জমা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে তারা বলেছে, অন্তত ৩৬জন অভিযুক্ত লেনদেন এবং  বেআইনি কারবার গোপন করতে ঘন ঘন মোবাইল সেট বদল করে। সেই তালিকায় মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং কেজরিওয়ালের পিএ বিভাব কুমারের নাম রয়েছে। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালও মদনীতি তৈরির প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন। সেই কাজে তাঁর ‘ফ্রন্ট ম্যান’ ছিলেন বিভাব।

উল্লেখ্য, সিবিআই ও ইডি যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত করছে। তবে মূল তদন্ত করছে সিবিআই। গত বছরই দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার নির্দেশেই দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও সিবিআই। অভিযোগ ওঠে, নতুন আবগারি নীতি কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই তৈরি করেছিল আপ সরকার। বিভিন্ন মদ ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি থেকে শুরু করে লাইসেন্স ফি মকুব করে দেওয়ার মতো নানা সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল মোটা অঙ্কের বিনিময়ে। এই দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে।