১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আপনার ক্ষুদ্র মন প্রতিহিংসায় ভরা’ , নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরির নাম পরিবর্তনে, মোদিকে নিশানা জয়রাম রমেশের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৬ জুন ২০২৩, শুক্রবার
  • / 40

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  দিল্লির ইতিহাস প্রসিদ্ধ ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’কে এবার থেকে মানুষ জানবে ‘প্রধানমন্ত্রীর জাদুঘর ও সোসাইটি’ বলে। ঘটনায় বিতর্কে ঝড়। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস।
কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানিয়েছেন। ট্যুইটে জয়রাম রমেশ লেখেন, ‘ছোট ছোট বিষয় নিয়েও অনিশ্চয়তায় ভোগেন নরেন্দ্র মোদি। আপনার মন ক্ষুদ্র এবং তা প্রতিহিংসায় ভর্তি, আপনার নাম মোদি। ৫৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের অন্যতম বুদ্ধিবৃত্তিক ল্যান্ডমার্ক এই এনএমএমএল। এখানে বই ও আর্কাইভের বিশাল সম্ভার রয়েছে। তবে এখন থেকে এটাকে প্রধানমন্ত্রীর জাদুঘর ও সোসাইটি বলা হবে। ভারতীয় জাতি-রাষ্ট্রের স্থপতির নাম ও ইতিহাসকে বিকৃত করতে, অপমান ও ধ্বংস করতে মোদি কী না পারেন। একটি ক্ষুদ্র মানুষ তার নিরাপত্তাহীনতায় ভারাক্রান্ত স্বয়ংক্রিয় বিশ্বগুরু’।

প্রসঙ্গত, নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’ এবার থেকে হবে ‘প্রাইম মিনিস্টার্স মিউজিয়াম অ্যান্ড সোসাইটি’। বৃহস্পতিবার সোসাইটির এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকটির সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা এই সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজনাথ সিং। এই সোসাইটির চেয়ারম্যান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া সোসাইটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জি কিষাণ রেড্ডি, নির্মলা সীতারামন, অনুরাগ ঠাকুরের মতো কেন্দ্রীয় নেতা সহ ২৯ জন সদস্য।

আরও পড়ুন: ইরানের সার্বভৌমত্বের উপর হামলার নিন্দা, কেন্দ্রকে কটাক্ষ কংগ্রেসের

 

আরও পড়ুন: ভারতে দ্রুত পরিষেবা চালু করতে চলেছে ‘স্টারলিঙ্ক’, সবুজ সংকেত কেন্দ্রের

গত বছরের এপ্রিলেই তিনমূর্তি কমপ্লেক্সে সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন মোদি। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকারি বাসভবন ছিল এটি। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৪, মৃত্যুর দিন পর্যন্ত এখানেই কাটিয়েছিলেন তিনি। ১৯২৯-৩০ সালে তৈরি হয়েছিল তিন মূর্তি কমপ্লেক্সটি। আগে এটি ভারতের ‘কমান্ডার-ইন-চিফ’-এর বাসভবন ছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এটি জওহরলাল নেহরুর সরকারি বাসভবন হয়। ১৯৬৬ সালে তৈরি হয় ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’। ২০১৬ সালে এই ক্যাম্পাসেই দেশের সব প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সংগ্রহশালা তৈরির ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: পার্লামেন্টোফোবিয়ায় ভুগছে মোদি সরকার, খোঁচা ডেরেকের

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘আপনার ক্ষুদ্র মন প্রতিহিংসায় ভরা’ , নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরির নাম পরিবর্তনে, মোদিকে নিশানা জয়রাম রমেশের

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  দিল্লির ইতিহাস প্রসিদ্ধ ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’কে এবার থেকে মানুষ জানবে ‘প্রধানমন্ত্রীর জাদুঘর ও সোসাইটি’ বলে। ঘটনায় বিতর্কে ঝড়। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস।
কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানিয়েছেন। ট্যুইটে জয়রাম রমেশ লেখেন, ‘ছোট ছোট বিষয় নিয়েও অনিশ্চয়তায় ভোগেন নরেন্দ্র মোদি। আপনার মন ক্ষুদ্র এবং তা প্রতিহিংসায় ভর্তি, আপনার নাম মোদি। ৫৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের অন্যতম বুদ্ধিবৃত্তিক ল্যান্ডমার্ক এই এনএমএমএল। এখানে বই ও আর্কাইভের বিশাল সম্ভার রয়েছে। তবে এখন থেকে এটাকে প্রধানমন্ত্রীর জাদুঘর ও সোসাইটি বলা হবে। ভারতীয় জাতি-রাষ্ট্রের স্থপতির নাম ও ইতিহাসকে বিকৃত করতে, অপমান ও ধ্বংস করতে মোদি কী না পারেন। একটি ক্ষুদ্র মানুষ তার নিরাপত্তাহীনতায় ভারাক্রান্ত স্বয়ংক্রিয় বিশ্বগুরু’।

প্রসঙ্গত, নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’ এবার থেকে হবে ‘প্রাইম মিনিস্টার্স মিউজিয়াম অ্যান্ড সোসাইটি’। বৃহস্পতিবার সোসাইটির এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকটির সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা এই সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজনাথ সিং। এই সোসাইটির চেয়ারম্যান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া সোসাইটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জি কিষাণ রেড্ডি, নির্মলা সীতারামন, অনুরাগ ঠাকুরের মতো কেন্দ্রীয় নেতা সহ ২৯ জন সদস্য।

আরও পড়ুন: ইরানের সার্বভৌমত্বের উপর হামলার নিন্দা, কেন্দ্রকে কটাক্ষ কংগ্রেসের

 

আরও পড়ুন: ভারতে দ্রুত পরিষেবা চালু করতে চলেছে ‘স্টারলিঙ্ক’, সবুজ সংকেত কেন্দ্রের

গত বছরের এপ্রিলেই তিনমূর্তি কমপ্লেক্সে সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন মোদি। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকারি বাসভবন ছিল এটি। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৪, মৃত্যুর দিন পর্যন্ত এখানেই কাটিয়েছিলেন তিনি। ১৯২৯-৩০ সালে তৈরি হয়েছিল তিন মূর্তি কমপ্লেক্সটি। আগে এটি ভারতের ‘কমান্ডার-ইন-চিফ’-এর বাসভবন ছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এটি জওহরলাল নেহরুর সরকারি বাসভবন হয়। ১৯৬৬ সালে তৈরি হয় ‘নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি’। ২০১৬ সালে এই ক্যাম্পাসেই দেশের সব প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সংগ্রহশালা তৈরির ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: পার্লামেন্টোফোবিয়ায় ভুগছে মোদি সরকার, খোঁচা ডেরেকের