কুরআনের হাফিজ হওয়া আমার নিট পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনে সাহায্য করেছে মন্তব্য আবদুল রহিমের
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নিট পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য অর্জন হাফিজ-এ-কুরআন আবদুল রহিমের। ৭০০ মধ্যে ৬৭০ পেয়ে অল ইন্ডিয়ায় ২৭০২ র্যাঙ্ক অর্জন করেছেন তিনি। হায়দরাবাদের তালাব কাট্টারের বাসিন্দা তিনি। শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে উর্দু মাধ্যমে পড়াশোনা করলেও পরে ইংরেজিতে স্থানান্তর করে। মাত্র ১২ বছর বয়সে কুরআনের হাফিজ হওয়া আবদুল রহিমের গল্প সত্যি অনুপ্রেরণামূলক।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবদুল রহিমের পরিবার জানিয়েছেন, ছোট থেকেই তীক্ষ্ণ স্মৃতির অধিকারী। অল্প সময়ের মধ্যেই সব মুখস্থ করে নিতে পারত। মাত্র ২ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন শরিফ মুখস্থ করে নিয়েছিলেন তিনি।
তাঁরা আরও জানান, আমাদের মনে হয়েছিল আবদুলের তীক্ষ্ণ স্মৃতি ও প্রখর মেধা ওকে মেডিক্যাল ফিল্ডে অনেক সাহায্য করবে। তাই আমরা ওকে চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনার জন্য উৎসাহ দিতে থাকি। তার ফলাফল আজ আমাদের হাতে।
আবদুল রহিম সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মাদ্রাসা বোর্ডের পড়ুয়াদের ইংরেজি জানা অত্যাবশ্যকীয়। এর মাধ্যমে শুধু মেডিক্যাল নয় তাঁরা যে কোনও ক্ষেত্রে পারদর্শী হতে পারে। কারণ কুরআন মুখস্থ করার পর তাঁদের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। যে কোনও জিনিস মুখস্থ করতে সহায়তা করে। অনেকেই মনে করেন মাদ্রাসা বোর্ডের ছাত্ররা ইংরাজি ও বিজ্ঞানের মত বিষয়ে দক্ষ হতে অপারগ। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল।
কুরআন এর হাফিজ হওয়ার লাভ আমি নিটের প্রস্তুতিতে কাজে লাগাতে পেরেছি। আমি অল্প সময়ে সব কিছু আয়ত্তে আনতে পারতাম। হ্যাঁ পড়াশোনার প্রাথমিক পর্যায়ে একটু সমস্যা হলেও সেটা খুব নগণ্য।
উল্লেখ্য, রহিম নিউরোলজিতে বিশেষজ্ঞ হতে চান। নিউরন মানবদেহের সবচেয়ে জটিল অঙ্গ। অন্যান্য মেডিকেল স্টাডির তুলনায় এর অধ্যয়ন কিছুটা কঠিন। সেজন্য আবদুল রহিম এটা পড়তে চায়।
আবদুল রহিমের মতে, তার মন সহজ জিনিসে সন্তুষ্ট নয় যার কারণে সে আরও চ্যালেঞ্জিং এবং কঠিন বিষয় পছন্দ করে। হায়দরাবাদের গান্ধী মেডিকেল কলেজে পড়তে চান। তার ইচ্ছা রাজ্যে থেকে পড়াশোনা করার। যাতে তিনি তার রাজ্যের জনগণের সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন।
পুরনো হায়দরাবাদ শহরে বিশেষজ্ঞদের (ডাক্তার) অভাব রয়েছে যার কারণে দরিদ্র লোকেরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। আমি কঠোর পরিশ্রম করব। আমার এমবিবিএস-এর পর আমার স্পেশালাইজেশন সম্পূর্ণ করব । তারপর আমি ইনশাআল্লাহ অভাবী, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা শুরু করব।