১৯ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“লখিমপুরে হিন্দু-শিখের লড়াই বাধানোর চেষ্টা হচ্ছে” এবার চাঞ্চল্যকর টুইট করলেন বরুণ গান্ধী

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২১, রবিবার
  • / 36

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ লাগাতার দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন হওয়ার পর ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি বা জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়েছিলেন বরুণ গান্ধী। তারপরও রবিবার ফের টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের সাংসদকে। রবিবার সকালে তিনি অভিযোগ করলেন, লখিমপুরে হিন্দু বনাম শিখ লড়াই বাধানোর  চেষ্টা করা হচ্ছে।

দিনকয়েক আগেই বরুণ দাবি করেছিলেন, লখিমপুরে যে গাড়ি দিয়ে কৃষকদের পিষে দেওয়া হয়েছে, সেই গাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হোক। লখিমপুর কাণ্ড নিয়ে যোগী সরকারকে একাধিক চিঠিও লিখেছেন বরুণ। যাতে সরকার তথা পুলিশ প্রশাসনকে রীতিমতো তুলোধোনা করা হয়েছে। সেই সুর রয়েছে আজকের টুইটেও।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের চাপেই গব্বর সিং ট্যাক্স কমাচ্ছেন মোদি: জয়রাম

 বরুণ লেখেন, ‘লখিমপুর খেরিকে হিন্দু বনাম শিখ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কেবল অনৈতিক ও মিথ্যা কাহিনিই নয়। এই ধরনের মিথ্যার ধাক্কায় ফের সেই ক্ষতকে জাগিয়ে তোলাটা বিপজ্জনক কাজ, যে ক্ষত সারিয়ে তুলতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেগেছে। আমরা জাতীয় ঐক্যের থেকেও রাজনৈতিক ফায়দাকে কখনওই বেশি গুরুত্ব দিতে পারি না।’

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদির মুখে আরএসএস-এর প্রশংসা

লখিমপুর খেরির অশান্তির মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্রকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত। যদিও তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ। সোমবার সেই সংক্রান্ত শুনানি হওয়ার কথা। এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চায়। কংগ্রেসের তরফে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার আবেদন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে হলফনামা জমা দিতে চান কংগ্রেস প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপির সভাপতি হলেন শমীক ভট্টাচার্য, বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নাম ঘোষণা

বরুণ গান্ধীর  এই বেসুরো মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। এর আগেও লাখিমপুরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যেটি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও পোস্ট করেছিলেন। সেটি তিনিও পোস্ট করে কৃষক হত্যার নিন্দা করেছিলেন। যদিও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব মানেকা গান্ধীকে একটা সময় গুরুত্ব দিয়েছিলে। কিন্তু বরুণ কোনও দিনই গেরুয়া শিবিরে তেমন গুরুত্ব পাননি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

“লখিমপুরে হিন্দু-শিখের লড়াই বাধানোর চেষ্টা হচ্ছে” এবার চাঞ্চল্যকর টুইট করলেন বরুণ গান্ধী

আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২১, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ লাগাতার দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন হওয়ার পর ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি বা জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়েছিলেন বরুণ গান্ধী। তারপরও রবিবার ফের টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের সাংসদকে। রবিবার সকালে তিনি অভিযোগ করলেন, লখিমপুরে হিন্দু বনাম শিখ লড়াই বাধানোর  চেষ্টা করা হচ্ছে।

দিনকয়েক আগেই বরুণ দাবি করেছিলেন, লখিমপুরে যে গাড়ি দিয়ে কৃষকদের পিষে দেওয়া হয়েছে, সেই গাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হোক। লখিমপুর কাণ্ড নিয়ে যোগী সরকারকে একাধিক চিঠিও লিখেছেন বরুণ। যাতে সরকার তথা পুলিশ প্রশাসনকে রীতিমতো তুলোধোনা করা হয়েছে। সেই সুর রয়েছে আজকের টুইটেও।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের চাপেই গব্বর সিং ট্যাক্স কমাচ্ছেন মোদি: জয়রাম

 বরুণ লেখেন, ‘লখিমপুর খেরিকে হিন্দু বনাম শিখ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কেবল অনৈতিক ও মিথ্যা কাহিনিই নয়। এই ধরনের মিথ্যার ধাক্কায় ফের সেই ক্ষতকে জাগিয়ে তোলাটা বিপজ্জনক কাজ, যে ক্ষত সারিয়ে তুলতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেগেছে। আমরা জাতীয় ঐক্যের থেকেও রাজনৈতিক ফায়দাকে কখনওই বেশি গুরুত্ব দিতে পারি না।’

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদির মুখে আরএসএস-এর প্রশংসা

লখিমপুর খেরির অশান্তির মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্রকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত। যদিও তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ। সোমবার সেই সংক্রান্ত শুনানি হওয়ার কথা। এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চায়। কংগ্রেসের তরফে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার আবেদন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে হলফনামা জমা দিতে চান কংগ্রেস প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপির সভাপতি হলেন শমীক ভট্টাচার্য, বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নাম ঘোষণা

বরুণ গান্ধীর  এই বেসুরো মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। এর আগেও লাখিমপুরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যেটি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও পোস্ট করেছিলেন। সেটি তিনিও পোস্ট করে কৃষক হত্যার নিন্দা করেছিলেন। যদিও বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব মানেকা গান্ধীকে একটা সময় গুরুত্ব দিয়েছিলে। কিন্তু বরুণ কোনও দিনই গেরুয়া শিবিরে তেমন গুরুত্ব পাননি।