০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলকাতায় বিজেপির তৃণমূল বিরোধী আন্দোলনের নামে ‘ফ্লপ শো’ বিজেপির

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ মে ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 5

নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের অন্দরে শুরু হওয়া বিদ্রোহ ধামাচাপা দিয়ে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরার জন্য রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সেই আন্দোলন। এদিন কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রাণি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত ‘সংকল্প মহামিছিল’ এর আয়োজন করা হয়েছিল। ওই মহামিছিল ঘিরে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে কোমর কষে ঝাঁপিয়েছিলেন। কিন্তু গালভরা নামের কর্মসূচি ফ্লপ শো হয়েই থাকল। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা থাকলেও বিক্ষুব্ধ শিবিরের অধিকাংশ নেতাই কর্মসূচি থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখলেন।

রাণি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চ থেকে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে ব্যক্তিগত আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। কিন্তু তাতে যে মিছিলে অংশ নেওয়া কর্মীরা খুব একটা উজ্জীবিত হননি তার প্রমাণ মিলেছে শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণের মাঝপথেই। অধিকাংশ কর্মীই বিরক্তিকর ভাষণ শুনে বাড়ির পথ ধরেন।

যদিও প্রথম দিনের কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়ার পরেও হাল ছাড়ছেন না বঙ্গ বিজেপির মুখিয়া সুকান্ত মজুমদার ও তাঁর সঙ্গীরা। আজ মঙ্গলবার দলের সাংসদ বিধায়করা গান্ধি মূর্তির পাদদেশে এক বেলা অনশনে বসবেন। পরে রাস্তায় নেমে নিহত কর্মীদের পরিবারকে সাহায্যের জন্য অর্থসংগ্রহ করবেন। ৭ মে ভোট-পরবর্তী হিংসায় নিহতদের পরিবারের কাছে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেবেন। ১০ মে শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজ্যপালের কাছে দেখা করার কর্মসূচি রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলকাতায় বিজেপির তৃণমূল বিরোধী আন্দোলনের নামে ‘ফ্লপ শো’ বিজেপির

আপডেট : ৩ মে ২০২২, মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের অন্দরে শুরু হওয়া বিদ্রোহ ধামাচাপা দিয়ে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরার জন্য রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সেই আন্দোলন। এদিন কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রাণি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত ‘সংকল্প মহামিছিল’ এর আয়োজন করা হয়েছিল। ওই মহামিছিল ঘিরে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে কোমর কষে ঝাঁপিয়েছিলেন। কিন্তু গালভরা নামের কর্মসূচি ফ্লপ শো হয়েই থাকল। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা থাকলেও বিক্ষুব্ধ শিবিরের অধিকাংশ নেতাই কর্মসূচি থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখলেন।

রাণি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চ থেকে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে ব্যক্তিগত আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। কিন্তু তাতে যে মিছিলে অংশ নেওয়া কর্মীরা খুব একটা উজ্জীবিত হননি তার প্রমাণ মিলেছে শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণের মাঝপথেই। অধিকাংশ কর্মীই বিরক্তিকর ভাষণ শুনে বাড়ির পথ ধরেন।

যদিও প্রথম দিনের কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়ার পরেও হাল ছাড়ছেন না বঙ্গ বিজেপির মুখিয়া সুকান্ত মজুমদার ও তাঁর সঙ্গীরা। আজ মঙ্গলবার দলের সাংসদ বিধায়করা গান্ধি মূর্তির পাদদেশে এক বেলা অনশনে বসবেন। পরে রাস্তায় নেমে নিহত কর্মীদের পরিবারকে সাহায্যের জন্য অর্থসংগ্রহ করবেন। ৭ মে ভোট-পরবর্তী হিংসায় নিহতদের পরিবারের কাছে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেবেন। ১০ মে শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজ্যপালের কাছে দেখা করার কর্মসূচি রয়েছে।