১৭ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে জন্ম, প্রাণ গেল ২০২৩-র ভূমিকম্পে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 210

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: উসমান আনিস। ১৯৯৯ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ২৪ বছরের টগবগে এই যুবক জন্মগ্রহণ করেছিলেন তুরস্কের  গাজিয়ানটেপ শহরে। কাকতালীয়ভাবে আনিসের মৃত্যুও হল ভূমিকম্পের শিকার হয়ে, ২০২৩ সালে।

সম্প্রতি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ঘটে যাওয়া স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে তিনি মারা যান। উসমান আনিসের মা আসিয়া তুর্ক বলেন, ‘ভূমিকম্পের রাতে চোখ খোলার পর দেখি সবকিছু সজোরে দুলছে।

দ্রুত আমি স্বামীকে জাগিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলি। ছেলেদের ঘুম থেকে তুলতে গিয়েই আমার মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে। তিনি আরও বলেন, ৭.৭ মাত্রার এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের রাতে আমার বড় ছেলে উসমান আনিস ছোট ছেলে আমির খানের সাথে ঘুমিয়ে ছিল।

হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে উসমান ছোট ভাই আমিরকে ধ্বংস্তূপ থেকে নিরাপদে বের করে দিলেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়ে তার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। উসমানের মায়ের কথায়, ‘আল্লাহ এই পর্যন্তই তার জীবন রেখেছিলেন!’

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে জন্ম, প্রাণ গেল ২০২৩-র ভূমিকম্পে

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: উসমান আনিস। ১৯৯৯ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ২৪ বছরের টগবগে এই যুবক জন্মগ্রহণ করেছিলেন তুরস্কের  গাজিয়ানটেপ শহরে। কাকতালীয়ভাবে আনিসের মৃত্যুও হল ভূমিকম্পের শিকার হয়ে, ২০২৩ সালে।

সম্প্রতি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ঘটে যাওয়া স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে তিনি মারা যান। উসমান আনিসের মা আসিয়া তুর্ক বলেন, ‘ভূমিকম্পের রাতে চোখ খোলার পর দেখি সবকিছু সজোরে দুলছে।

দ্রুত আমি স্বামীকে জাগিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলি। ছেলেদের ঘুম থেকে তুলতে গিয়েই আমার মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে। তিনি আরও বলেন, ৭.৭ মাত্রার এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের রাতে আমার বড় ছেলে উসমান আনিস ছোট ছেলে আমির খানের সাথে ঘুমিয়ে ছিল।

হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে উসমান ছোট ভাই আমিরকে ধ্বংস্তূপ থেকে নিরাপদে বের করে দিলেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়ে তার জীবন প্রদীপ নিভে যায়। উসমানের মায়ের কথায়, ‘আল্লাহ এই পর্যন্তই তার জীবন রেখেছিলেন!’