২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে অভিশপ্ত লঞ্চ দুর্ঘটনা, ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার
  • / 41

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বাংলাদেশের যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০। আশঙ্কাজনকভাবে হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১৫০ জন।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্রমশ বাড়তে মৃতের সংখ্যা। প্রথমে লঞ্চ থেকে ২৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি তিনটি মরদেহ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে আরও ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে দমকল কর্মীরা। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।  আচমকা এই ঘটনায় মানুষ দিশেহারা হয়ে সুগন্ধী নদীতে ঝাঁপ দেয়। ঘটনায় ভস্মীভূত গোটা লঞ্চ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু

দমকলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ অনেক যাত্রী মারা গেছে। অনেকই প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অনেকে সাঁতার জানে না, ফলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। তাদের উদ্ধার করা যায়নি।

আরও পড়ুন: ‘July uprising anniversary’: স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা

যাত্রীরা জানিয়েছেন, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ঘটনাস্থলে পুলিশ,  ফায়ার  সার্ভিস ও  যৌথ বাহিনী। এ ঘটনায় প্রথমে ৭৫ জনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আরও ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

‘এমভি-অভিযান ১০’ নামে তিনতলা ওই লঞ্চে প্রায় এক হাজার যাত্রী ছিল। ঘটনায় মানুষ আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়।

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এইচএম সইফুল ইসলাম জানান,  তাঁদের হাসপাতালে বার্ন ইউনিট বন্ধ রয়েছে। এদিকে যাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁদের অধিকাংশ মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছেন। ৬৭ জনকে সার্জারি ইউনিটে রাখা সম্ভব হলেও বাকিদের স্থানান্তরিত করতে হয় ঢাকায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাদেশে অভিশপ্ত লঞ্চ দুর্ঘটনা, ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ

আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বাংলাদেশের যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০। আশঙ্কাজনকভাবে হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১৫০ জন।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্রমশ বাড়তে মৃতের সংখ্যা। প্রথমে লঞ্চ থেকে ২৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি তিনটি মরদেহ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে আরও ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে দমকল কর্মীরা। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে।  আচমকা এই ঘটনায় মানুষ দিশেহারা হয়ে সুগন্ধী নদীতে ঝাঁপ দেয়। ঘটনায় ভস্মীভূত গোটা লঞ্চ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু

দমকলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধোঁয়ায় দমবন্ধ অনেক যাত্রী মারা গেছে। অনেকই প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অনেকে সাঁতার জানে না, ফলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। তাদের উদ্ধার করা যায়নি।

আরও পড়ুন: ‘July uprising anniversary’: স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা

যাত্রীরা জানিয়েছেন, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ঘটনাস্থলে পুলিশ,  ফায়ার  সার্ভিস ও  যৌথ বাহিনী। এ ঘটনায় প্রথমে ৭৫ জনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আরও ১৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

‘এমভি-অভিযান ১০’ নামে তিনতলা ওই লঞ্চে প্রায় এক হাজার যাত্রী ছিল। ঘটনায় মানুষ আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়।

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এইচএম সইফুল ইসলাম জানান,  তাঁদের হাসপাতালে বার্ন ইউনিট বন্ধ রয়েছে। এদিকে যাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁদের অধিকাংশ মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছেন। ৬৭ জনকে সার্জারি ইউনিটে রাখা সম্ভব হলেও বাকিদের স্থানান্তরিত করতে হয় ঢাকায়।