০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর নামে সুবিশাল মসজিদ উদ্বোধন করলেন এরদোগান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার
  • / 13

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দিয়ারবাকিরে সালাহউদ্দিন আল-আইয়ুবী মসজিদটি জুমার নামাযের মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হয়েছে সম্প্রতি। উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। ৪৩ হাজার ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের এই মসজিদে একসঙ্গে ২৫ হাজার মুসল্লি নামায পড়তে পারবেন। একইসঙ্গে এখানে এক হাজার ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি সভাকক্ষ রয়েছে। যার ধারণ ক্ষমতা ৭০০ জন। ৫০০ যানবাহন রাখার সুবিশাল পার্কিং জোন রয়েছে।

মসজিদটি নির্মাণে সময় লেগেছে ছয় বছর। তাছাড়া মসজিদটিতে একটি ক্যাফেটেরিয়া, পাঠাগার ও তরুণদের জন্য একটি সেন্টার ও চার হাজার বর্গমিটারের বিস্তৃত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস রুম রয়েছে। ইসলামের পাঁচজন নবীর নামে মসজিদের পাঁচটি দরজার নাম রাখা হয়েছে। তা হল আদম আ:, ইবরাহিম আ:, মুসা আ:, ঈসা আ: এবং প্রধান দরজার নাম মুহাম্মদ সা:। মসজিদটি অটোমান, সেলজুক ও মেসোপটেমিয়া স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি করা হয়। এতে বর্গাকার আকৃতির চারটি মিনার এবং ৫৬টি গম্বুজ রয়েছে।

প্রধান গম্বুজটি স্থানীয় ঐতিহাসিক স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এবং মসজিদের অভ্যন্তরীণ নকশার সরলতাকে তুলে ধরে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান ইরাকের টাইগ্রিস বা দজলা ও ইউফ্রেটিস বা ফোরাত নদী দুটির মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠা মেসোপটেমিয়ার তিকরিতে ১১৩৭ সালে জন্ম গ্রহণ করেন সালাহউদ্দিন আইয়ুবী।

তিনি ছিলেন মিশর ও সিরিয়ার প্রথম সুলতান এবং আইয়ুবীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে তার সালতানাতে মিশর, সিরিয়া, মেসোপটেমিয়া, হেজাজ, ইয়েমেন এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১১৮৭ সালে মুসলিম বীর সিপাহসালার সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর হাত ধরেই পুনরায় জেরুসালেম শহর মুসলমানদের অধিকারে আসে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তুরস্কে সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর নামে সুবিশাল মসজিদ উদ্বোধন করলেন এরদোগান

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দিয়ারবাকিরে সালাহউদ্দিন আল-আইয়ুবী মসজিদটি জুমার নামাযের মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হয়েছে সম্প্রতি। উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। ৪৩ হাজার ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের এই মসজিদে একসঙ্গে ২৫ হাজার মুসল্লি নামায পড়তে পারবেন। একইসঙ্গে এখানে এক হাজার ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি সভাকক্ষ রয়েছে। যার ধারণ ক্ষমতা ৭০০ জন। ৫০০ যানবাহন রাখার সুবিশাল পার্কিং জোন রয়েছে।

মসজিদটি নির্মাণে সময় লেগেছে ছয় বছর। তাছাড়া মসজিদটিতে একটি ক্যাফেটেরিয়া, পাঠাগার ও তরুণদের জন্য একটি সেন্টার ও চার হাজার বর্গমিটারের বিস্তৃত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস রুম রয়েছে। ইসলামের পাঁচজন নবীর নামে মসজিদের পাঁচটি দরজার নাম রাখা হয়েছে। তা হল আদম আ:, ইবরাহিম আ:, মুসা আ:, ঈসা আ: এবং প্রধান দরজার নাম মুহাম্মদ সা:। মসজিদটি অটোমান, সেলজুক ও মেসোপটেমিয়া স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি করা হয়। এতে বর্গাকার আকৃতির চারটি মিনার এবং ৫৬টি গম্বুজ রয়েছে।

প্রধান গম্বুজটি স্থানীয় ঐতিহাসিক স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এবং মসজিদের অভ্যন্তরীণ নকশার সরলতাকে তুলে ধরে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান ইরাকের টাইগ্রিস বা দজলা ও ইউফ্রেটিস বা ফোরাত নদী দুটির মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠা মেসোপটেমিয়ার তিকরিতে ১১৩৭ সালে জন্ম গ্রহণ করেন সালাহউদ্দিন আইয়ুবী।

তিনি ছিলেন মিশর ও সিরিয়ার প্রথম সুলতান এবং আইয়ুবীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে তার সালতানাতে মিশর, সিরিয়া, মেসোপটেমিয়া, হেজাজ, ইয়েমেন এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১১৮৭ সালে মুসলিম বীর সিপাহসালার সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর হাত ধরেই পুনরায় জেরুসালেম শহর মুসলমানদের অধিকারে আসে।