০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাস ব্যবসায় জড়িত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় !

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২২, বুধবার
  • / 69

হাইলাইটস:  আমেরিকার এই প্রাচীন ও সম্পদশালী বিশ্ববিদ্যালয়টি দাস ব্যবসায় যুক্ত ছিল। এ থেকে যে অর্থ আসত তা ভাগ করে নিতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও নেতাগণ। এই অর্থ দিয়ে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মদ, পশম ও রেলের ব্যবসা চলত। এরই পাশাপাশি মার্কিন সমাজে ধনী দাস ব্যবসায়ীদের অর্থ নিয়ে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট অনুযায়ী, আধুনকি সমাজে দাস প্রথা উঠে গেলে বিশিষ্ট অধ্যাপকরা শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী তত্ত্বের প্রচলন ঘটান।

 

আরও পড়ুন: বিদেশি ছাত্র ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অতীতের কালো ইতিহাস উন্মোচিত হল। বিশ্বের অন্যতম সেরা বিদ্যাপিঠ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দাসদের দিয়ে কায়িক শ্রম করানো হতো বলে জানা গিয়েছে। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ও উর্ধ্বতন আধিকারিকরা দাসপ্রথাকে মেনে নিয়েছিলেন। ফলস্বরুপ বর্ণবৈষম্যের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল হার্ভার্ড। এই রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পরই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা নষ্ট হতে বসেছে। অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা না চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট লরেন্স বাকো এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আক্রান্তদের বংশধরদের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করার কথা জানিয়েছেন। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট বাকোই এই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন। এতে দেখা গিয়েছে, ১৬৩৬ থেকে ১৭৮৩ সালের মধ্যে হার্ভার্ডের কর্মচারী ও নেতারা অন্তত ৭০জন কৃষ্ণাঙ্গকে বন্দি করে তাদের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছিল। তবে রিপোর্টে দাসদের যে সংখ্যা উঠে এসেছে তা আসলে কম বলে মনে করা হচ্ছে। অতীতের রেকর্ড থেকে শুধু সেসকল দাসদের নাম ও পরিচয় জানা গিয়েছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গবেষক দলের মতে, এই দাসরা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও অধ্যাপকদের সেবা ও ছাত্রদের দেখভাল করতেন। ১৯ শতক পর্যন্ত এমনটা চলেছে। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সমান বা বেশি মাত্রায় এর প্রতিকারে বিনিয়োগ করা উচিত। তবে এই রিপোর্টে দাসদের বংশধরদের সরাসরি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। রিপোর্ট প্রস্তুতকারী দলের প্রধান বাকো বলেন, ’শিক্ষা প্রদান, গবেষণা ও পরিষেবা’ দেওয়ার মাধ্যমে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তার অতীতে ভুলগুলিকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবে। ইতিমধ্যে এ নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাকো। তিনি বলেছেন, এই অনুসন্ধানী প্রতিবদন ’জঘন্য’ এবং স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা চালিত ব্যস্থা ’অনৈতিক’ ছিল।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আমদানি প্রায় বন্ধ! ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়ীরা

 

আরও পড়ুন: কথা না শুনলে Harvard University-তে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ: Donald Trump

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দাস ব্যবসায় জড়িত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় !

আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২২, বুধবার

হাইলাইটস:  আমেরিকার এই প্রাচীন ও সম্পদশালী বিশ্ববিদ্যালয়টি দাস ব্যবসায় যুক্ত ছিল। এ থেকে যে অর্থ আসত তা ভাগ করে নিতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও নেতাগণ। এই অর্থ দিয়ে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মদ, পশম ও রেলের ব্যবসা চলত। এরই পাশাপাশি মার্কিন সমাজে ধনী দাস ব্যবসায়ীদের অর্থ নিয়ে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট অনুযায়ী, আধুনকি সমাজে দাস প্রথা উঠে গেলে বিশিষ্ট অধ্যাপকরা শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী তত্ত্বের প্রচলন ঘটান।

 

আরও পড়ুন: বিদেশি ছাত্র ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অতীতের কালো ইতিহাস উন্মোচিত হল। বিশ্বের অন্যতম সেরা বিদ্যাপিঠ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দাসদের দিয়ে কায়িক শ্রম করানো হতো বলে জানা গিয়েছে। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ও উর্ধ্বতন আধিকারিকরা দাসপ্রথাকে মেনে নিয়েছিলেন। ফলস্বরুপ বর্ণবৈষম্যের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল হার্ভার্ড। এই রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পরই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা নষ্ট হতে বসেছে। অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা না চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট লরেন্স বাকো এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আক্রান্তদের বংশধরদের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করার কথা জানিয়েছেন। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট বাকোই এই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন। এতে দেখা গিয়েছে, ১৬৩৬ থেকে ১৭৮৩ সালের মধ্যে হার্ভার্ডের কর্মচারী ও নেতারা অন্তত ৭০জন কৃষ্ণাঙ্গকে বন্দি করে তাদের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছিল। তবে রিপোর্টে দাসদের যে সংখ্যা উঠে এসেছে তা আসলে কম বলে মনে করা হচ্ছে। অতীতের রেকর্ড থেকে শুধু সেসকল দাসদের নাম ও পরিচয় জানা গিয়েছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গবেষক দলের মতে, এই দাসরা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও অধ্যাপকদের সেবা ও ছাত্রদের দেখভাল করতেন। ১৯ শতক পর্যন্ত এমনটা চলেছে। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সমান বা বেশি মাত্রায় এর প্রতিকারে বিনিয়োগ করা উচিত। তবে এই রিপোর্টে দাসদের বংশধরদের সরাসরি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। রিপোর্ট প্রস্তুতকারী দলের প্রধান বাকো বলেন, ’শিক্ষা প্রদান, গবেষণা ও পরিষেবা’ দেওয়ার মাধ্যমে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তার অতীতে ভুলগুলিকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবে। ইতিমধ্যে এ নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাকো। তিনি বলেছেন, এই অনুসন্ধানী প্রতিবদন ’জঘন্য’ এবং স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা চালিত ব্যস্থা ’অনৈতিক’ ছিল।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আমদানি প্রায় বন্ধ! ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়ীরা

 

আরও পড়ুন: কথা না শুনলে Harvard University-তে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ: Donald Trump